সারাংশে প্রত্যক্ষ উক্তির ক্ষেত্রে কী করতে হবে?
A
গ্রহণ করতে হবে
B
পরিবর্তন করতে হবে
C
অবিকল লিখতে হবে
D
বর্জন করতে হবে
উত্তরের বিবরণ
গদ্য বা পদ্যের অংশবিশেষের অন্তর্নিহিত মূল ভাবকে সহজ - সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় সংক্ষেপে প্রকাশ করাকে বলে - সারাংশ ।
সারাংশ বা সারমর্ম আলোচিত - বাক্যতত্ত্বে।
একটি রচনার মূলভাব নিহিত থাকে - সারাংশে বা সারমর্মে।
সারাংশের মূল উদ্দেশ্য - অন্তর্নিহিত তাৎপর্য তুলে ধরা।
‘সারাংশ লিখন’ শিক্ষার উদ্দেশ্য - বক্তব্য সংক্ষেপণ।
সারাংশ বা সারমর্ম সাধারণত অনুচ্ছেদে লিখতে হয় - একটি।
সারাংশ লিখতে ভাষায় বাহুল্য, উপমা, অলংকার এ সকল - বর্জনীয়।
সারাংশে প্রত্যক্ষ উক্তি - বর্জন করতে হয়।

0
Updated: 1 day ago
পত্র শব্দটির আভিধানিক অর্থ কী?
Created: 1 week ago
A
চিহ্ন বা স্মারক
B
যোগাযোগ
C
বিনিময়
D
সংযোগ
'পত্র' এর শাব্দিক অর্থ 'পাতা' এবং এর আভিধানিক অর্থ 'চিহ্ন' বা 'স্মারক' ।

0
Updated: 1 week ago
'বাবা' কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?
Created: 2 weeks ago
A
সংস্কৃত
B
হিন্দি
C
অহমিয়া
D
তুর্কি
‘বাবা’ শব্দ
‘বাবা’ শব্দটি এসেছে তুর্কি ভাষা থেকে। এর অর্থ হলো পিতা বা জনক।
তুর্কি ভাষা থেকে আগত আরও কিছু শব্দ
বাংলা ভাষায় তুর্কি উৎসের আরও কয়েকটি শব্দ পাওয়া যায়, যেমন—
-
বাবা
-
কোর্মা
-
খাতুন
-
উজবুক
-
চাকু
-
তোপ
-
বাবুর্চি ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 2 weeks ago
দ্রৌপদী কে?
Created: 3 weeks ago
A
রামায়ণে সীতার সহচরী
B
মহাভারতে দুর্যোধনের স্ত্রী
C
রামায়ণে লক্ষ্মণের প্রণয়প্রার্থী নারী
D
মহাভারতে পাঁচ ভাইয়ের একক স্ত্রী
মহাভারত ও বাংলা মহাভারত
-
দ্রৌপদী মহাভারতের অন্যতম প্রধান নারী চরিত্র। তিনি পাণ্ডুর পাঁচ পুত্র – যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব – অর্থাৎ পঞ্চপাণ্ডবের সম্মিলিত স্ত্রী ছিলেন।
-
মহাভারত মূলত ঋষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস রচিত একটি সংস্কৃত মহাকাব্য। এর প্রধান উপজীব্য হলো কুরু-বংশের দুই শাখা – ধৃতরাষ্ট্রপুত্র দুর্যোধনসহ শতকৌরব ও পান্ডুপুত্র পাণ্ডবদের মধ্যে বিরোধ, যা শেষ পর্যন্ত কুরুক্ষেত্রের মহাযুদ্ধে রূপ নেয়।
-
কৌরবদের নাম এসেছে তাঁদের প্রপিতামহ কুরু-এর নাম থেকে, আর পান্ডবদের নাম এসেছে তাঁদের পিতা পাণ্ডু-এর নাম থেকে। এদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধই ইতিহাসে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
ভারতের প্রায় সব আঞ্চলিক ভাষায় মহাভারতের অনুবাদ হয়েছে। বাংলা ভাষায়ও এর অনুবাদ ও পুনর্লিখন দেখা যায়। তবে বাংলা মহাভারত কেবল অনুবাদ নয়; বরং রচয়িতাদের নিজস্ব জীবনবোধ, সমাজচেতনা ও কাব্যশৈলীর কারণে এটি মৌলিক রূপ লাভ করেছে।
-
বাংলা মহাভারতের রচয়িতা একাধিক। প্রথম বাংলা মহাভারত রচনা করেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর, যা পরিচিত কবীন্দ্র মহাভারত নামে।
-
পরে সপ্তদশ শতকে কাশীরাম দাস পদ্যে মহাভারত রচনা করেন। তাঁর রচিত কাশীদাসী মহাভারত আঠারোটি পর্ব ও একশত পর্বাধ্যায়ে বিভক্ত, যা বাঙালি পাঠকের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণ।
-
এই গ্রন্থের বিভিন্ন পর্বে নানা কাহিনি বর্ণিত হয়েছে, যেমন—
-
আদিপর্ব → কুরু-পাণ্ডব বংশবিবরণ, জতুগৃহদাহ ও দ্রৌপদীর সঙ্গে পাণ্ডবদের বিবাহ।
-
সভাপর্ব → যুধিষ্ঠিরের পাশা খেলা (দ্যূতক্রীড়া) ও পরাজয়।
-
বনপর্ব → পাণ্ডবদের বনবাস।
-
বিরাটপর্ব → বিরাট নগরে অজ্ঞাতবাস।
-
উদ্যোগপর্ব → যুদ্ধের প্রস্তুতি প্রভৃতি।
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago