বাংলাদেশের প্রথম রামসার সাইট-
A
টাঙ্গুয়ার হাওর
B
চলনবিল
C
হাইল হাওর
D
সুন্দরবন
উত্তরের বিবরণ
রামসার সাইট:
- 
রামসার কনভেনশন বা রামসার চুক্তি হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা ১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে স্বাক্ষরিত হয়। 
- 
এর উদ্দেশ্য হলো জলাভূমি (wetlands) সংরক্ষণ এবং সারা বিশ্বে এসব এলাকার টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করা। 
- 
বাংলাদেশ ১৯৯২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রামসার সনদ কার্যকর করে। 
- 
বাংলাদেশের ২টি স্থান রামসার সাইট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। 
- 
রামসার সাইট দুটো হলো: সুন্দরবন ও টাঙ্গুয়ার হাওর। 
- 
বাংলাদেশের প্রথম রামসার সাইট সুন্দরবন। 
- 
১৯৯২ সালের ২১ মে সুন্দরবনকে রামসার সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 
- 
বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট হলো টাঙ্গুয়ার হাওর, যা সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। 
- 
২০০০ সালের ২৯ জানুয়ারি টাঙ্গুয়ার হাওরকে সুন্দরবনের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
সুন্দরবন বাংলাদেশের কতটি জেলায় রয়েছে?
Created: 4 days ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৬টি
D
৫টি
সুন্দরবন বাংলাদেশের ৩টি জেলায় বিস্তৃত।
এটি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। সুন্দরবন মূলত বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা—এই তিনটি জেলায় বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে আছে।
ভৌগোলিকভাবে বিশ্লেষণ করলে—
- 
খুলনা জেলা: সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় অংশ খুলনা জেলায় অবস্থিত, যেখানে কটকা, হারবাড়িয়া ও দুবলার চরসহ গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল রয়েছে। 
- 
বাগেরহাট জেলা: এই অংশে করমজল, হিরণ পয়েন্ট ও অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র অবস্থিত। 
- 
সাতক্ষীরা জেলা: এখানে সুন্দরবনের পশ্চিম প্রান্তের বনভূমি রয়েছে, যা ভারতের সুন্দরবনের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে। 
সুন্দরবন শুধুমাত্র বনভূমি নয়, এটি দেশের প্রাকৃতিক সুরক্ষা প্রাচীর, যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় অঞ্চলকে রক্ষা করে। এটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবেও স্বীকৃত।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো—
ক) ৩টি।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 4 days ago
বাংলাদেশের অন্তর্গত সুন্দরবনের আয়তন কত?
Created: 3 months ago
A
২৪০০ বর্গমাইল ১
B
৯৫০ বর্গমাইল
C
৯২৫ বর্গমাইল
D
২০০ বর্গমাইল
সুন্দরবনের মোট আয়তন ৩৮৬০ বর্গমাইল বা ১০০০০ বর্গকি.মি প্রায়।
- এর মধ্যে ৩/৫ অংশ বা ২৩১৮ বর্গমাইল বা ৬০০০ বর্গকি.মি বাংলাদেশ অংশে পড়েছে।
- কাছাকাছি অপশন হিসাবে ক) ২৪০০ বর্গমাইল অপশনটি নেওয়া হলো।
উল্লেখ্য,
- ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ৭৯৮ তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
- এটি পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং বাংলাদেশের জাতীয় বন।
উৎস: বাংলাদেশ বনবিভাগ ওয়েবসাইট ও ব্রিটানিকা।
                                                                                             
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 months ago
কোন সংস্থা সুন্দরবনকেকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে?
Created: 2 days ago
A
ইউনিসেফ
B
ইউএনডিপি
C
বিশ্বব্যাংক
D
ইউনেস্কো
সুন্দরবন পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং জীববৈচিত্র্যের এক অনন্য ভান্ডার। এই বন বাংলাদেশের গর্ব, কারণ এটি শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীকই নয়, বরং পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুন্দরবনের এই বিশ্বমানের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো (UNESCO), যেটি একে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
মূল তথ্যাবলি:
- 
ইউনেস্কো বা United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা, যার প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৪৫ সালে, এবং এর সদর দপ্তর অবস্থিত প্যারিসে (ফ্রান্স)। 
- 
এই সংস্থার মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। 
- 
ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক, প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে বিশ্ব ঐতিহ্য (World Heritage Site) হিসেবে ঘোষণা করে। 
- 
সুন্দরবনকে ইউনেস্কো ১৯৯৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। 
- 
এই ঘোষণা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দেয় এবং সুন্দরবনের সংরক্ষণে বৈশ্বিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করে। 
সুন্দরবনের গুরুত্ব:
- 
সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে প্রায় ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। 
- 
এখানে বসবাস করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, যা বাংলাদেশে বন্যপ্রাণীর প্রতীক হিসেবে পরিচিত। 
- 
এছাড়াও এখানে রয়েছে চিত্রা হরিণ, কুমির, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও মাছ। 
- 
সুন্দরবন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক বন্যা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, কারণ এটি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষতি অনেকটা কমিয়ে দেয়। 
অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
- 
ইউনিসেফ (UNICEF) শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কল্যাণে কাজ করে, তবে বিশ্ব ঐতিহ্যের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। 
- 
ইউএনডিপি (UNDP) জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি, যা মূলত দারিদ্র্য দূরীকরণ ও মানব উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। 
- 
বিশ্বব্যাংক (World Bank) অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করে, কিন্তু ঐতিহ্য ঘোষণার দায়িত্ব তাদের নয়। 
সুতরাং, সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ইউনেস্কো, যা বাংলাদেশের জন্য একটি আন্তর্জাতিক গর্বের স্বীকৃতি।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 days ago