বাংলাদেশের কোন জেলায় সর্বপ্রথম ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়?
A
চাঁপাই নবাবগঞ্জ
B
ফরিদপুর
C
বাগেরহাট
D
সাতক্ষীরা
উত্তরের বিবরণ
চাঁপাই নবাবগঞ্জে সর্বপ্রথম ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
আর্সেনিক (Arsenic):
-
আর্সেনিক দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা (Global Problem)।
-
প্রথম শনাক্তকরণ হয় তাইওয়ানে।
-
পৃথিবীর প্রায় ৫০টি দেশে ভূগর্ভস্থ বা ভূউপরিস্থ পানিতে উচ্চমাত্রার আর্সেনিক শনাক্ত হয়েছে।
-
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে চাঁপাই নবাবগঞ্জ উপজেলার বড়ঘরিয়া মৌজায় কয়েকটি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে সর্বপ্রথম ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করে।
-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী পানিতে আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ০.০১ পিপিএম।
-
যদি কোনো এলাকার পানিতে ০.০১ পিপিএম-এর বেশি আর্সেনিক থাকে, তবে সেই পানিকে আর্সেনিক দূষণযুক্ত বলা হয়।
-
বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আর্সেনিক দূষণের মাত্রা বেশি, আর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কম।
-
সর্বোচ্চ দূষণযুক্ত জেলাগুলো: চাঁদপুর (৯০%), মুন্সিগঞ্জ (৮৩%), গোপালগঞ্জ (৭৯%), মাদারীপুর (৬৯%), নোয়াখালী (৬৯%), সাতক্ষীরা (৬৭%), কুমিল্লা (৬৫%), ফরিদপুর (৬৫%), শরিয়তপুর (৬৫%), মেহেরপুর (৬০%) ও বাগেরহাট (৬০%)।

0
Updated: 6 hours ago
বাংলাদেশে আর্সেনিক দূষণ প্রথম কোন জেলায় শনাক্ত হয়?
Created: 1 week ago
A
কুষ্টিয়া
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
চাঁদপুর
D
সাতক্ষীরা
বাংলাদেশে আর্সেনিক:
-
প্রথম শনাক্ত: ১৯৯৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বড়ঘরিয়া মৌজা; নলকূপে পরীক্ষা করে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর।
-
১৯৯৫ সালে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার পর বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
-
এই আবিষ্কার দেশের আর্সেনিক দূষণ গবেষণা ও সতর্কতার সূচনা করে।
-
পরে সরকারি ও এনজিও উদ্যোগে অন্যান্য অঞ্চলেও আর্সেনিক দূষণ শনাক্ত করা হয়।

0
Updated: 1 week ago