বাংলাদেশের কোন জেলায় প্রচুর শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি হয়?
A
ঢাকা
B
বরিশাল
C
রাজশাহী
D
সিলেট
উত্তরের বিবরণ
- বাংলাদেশের সিলেট জেলায় প্রচুর শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি হয়। 
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত:
- 
জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু ভূ-পৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় পর্বতে বাধাপ্রাপ্ত হলে তা পর্বতের ঢাল বেয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। 
- 
এই বায়ু শীতল হয়ে পর্বতের প্রতিবর্তী ঢালে যে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলা হয়। 
- 
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু মেঘালয় পাহাড়ে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় সিলেট এলাকায় প্রচুর শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি হয়। 
- 
তবে পর্বত অতিক্রমকারী বায়ু যদি পর্বতের অপর পাশে, অর্থাৎ অনুবর্তী ঢালে পৌঁছায়, তখন ঐ বায়ুতে জলীয় বাষ্প কম থাকে। 
- 
ঐ বায়ু নিচে নামার ফলে আরও উষ্ণ ও শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে ঐ স্থানে বৃষ্টিপাত হয় না। 
- 
এই বৃষ্টিহীন স্থানকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল (Rain-Shadow Region) বলা হয়। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
অতিবেগুনী রশ্মি কোথা থেকে আসে?
Created: 5 months ago
A
চন্দ্র
B
তারকা
C
সূর্য
D
ব্ল্যাক হোল
সূর্য থেকে অতিবেগুনী রশ্মি আসে। বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর এই রশ্মিকে পৃথিবীতে আসতে বাধা প্রদান করে অন্যথায় পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকুল ধ্বংস হয়ে যেত এবং সমস্ত মানুষ অন্ধ হয়ে যেত। তবে জীবজগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রশ্মি হলো গামা রশ্মি।
উৎস: NASA ওয়েবসাইট।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 5 months ago
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO)-এর সদর দপ্তর কোথায়?
Created: 3 weeks ago
A
বেইজিং
B
জেনেভা
C
লন্ডন
D
প্যারিস
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা বৈশ্বিক আবহাওয়া, জলবায়ু ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং সমন্বয় সাধনের জন্য কাজ করে।
• পূর্ণরূপ: The World Meteorological Organization (WMO)
• প্রতিষ্ঠিত: ২৩ মার্চ, ১৯৫০
• সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
• বর্তমান সদস্য সংখ্যা: মোট ১৯৩টি, যার মধ্যে ১৮৭টি দেশ এবং ৬টি টেরিটরি অন্তর্ভুক্ত।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 weeks ago
যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে বলা হয়-
Created: 5 months ago
A
আয়ন বায়
B
প্রত্যয়ন বায়ু
C
মৌসুমী বায়ু
D
নিয়ত বায়ু
বায়ু সর্বদা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয় এবং এই প্রবাহ নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে। সাধারণত, উচ্চচাপের অঞ্চল থেকে ঠান্ডা ও ভারী বায়ু নিম্নচাপের অঞ্চলের দিকে গমন করে।
এছাড়া, ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী, উত্তর গোলার্ধে বায়ু ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বায়ু বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়।
বায়ুপ্রবাহ প্রধানত চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত:
- 
নিয়মিত বায়ু 
- 
ঋতুভিত্তিক বা সাময়িক বায়ু 
- 
স্থানিক বায়ু 
- 
অনিয়মিত বায়ু 
নিয়মিত বায়ু
নিয়মিত বায়ু হলো সেই বায়ুপ্রবাহ যা সারা বছর একই দিক এবং ধরনে নির্দিষ্ট উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। এই বায়ুপ্রবাহ পৃথিবীর বিভিন্ন চাপে বলয় দ্বারা প্রভাবিত হয়ে চলে।
নিয়মিত বায়ু তিন ভাগে বিভক্ত:
- 
অয়ন বায়ু (Trade Winds): কর্কট ও মকরক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়ে এই বায়ুর সৃষ্টি হয়। 
- 
পশ্চিমা বায়ু (Westerlies): এটি প্রত্যয়ন বায়ু নামেও পরিচিত, যা মধ্য অক্ষাংশ অঞ্চল থেকে উচ্চ অক্ষাংশের দিকে প্রবাহিত হয়। 
- 
মেরু বায়ু (Polar Winds): মেরু অঞ্চলের উচ্চচাপ বলয় থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তা মেরু বায়ু নামে পরিচিত। 
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
বছরের নির্দিষ্ট সময়ে যেসব বায়ু নির্দিষ্ট দিক থেকে প্রবাহিত হয়, সেগুলোকে মৌসুমি বা ঋতুবায়ু বলা হয়।
সূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 5 months ago