প্রাপক বয়সে বড় হলে প্রেরক স্বাক্ষরের আগে কোন শব্দটি ব্যবহার করবে?
A
প্রীতিমুগ্ধ
B
আশীর্বাদক
C
শুভাকাঙ্ক্ষী
D
স্নেহভাজন
উত্তরের বিবরণ
প্রাপক বয়সে বড় হলে প্রেরক স্বাক্ষরের আগে শিষ্টাচার জ্ঞাপক শব্দ ব্যবহার করেন। যেমন:স্নেহের, স্নেহাস্পদ, স্নেহভাজন ইত্যাদি।

0
Updated: 2 hours ago
মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয় কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
তিলোত্তমা কাব্য
B
মেঘনাদ বধ কাব্য
C
বেতাল পঞ্চবিংশতি
D
বীরাঙ্গনা
'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭)
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত বই হলো ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’। এই গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়েই তিনি প্রথম বাংলায় যতি বা বিরামচিহ্ন ব্যবহার করেন।
'তিলোত্তমাসম্ভব' কাব্য
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি প্রসিদ্ধ কাব্য হলো ‘তিলোত্তমাসম্ভব’।
-
এর কাহিনী নেওয়া হয়েছে মহাভারতের সুন্দ ও উপসুন্দের কাহিনী থেকে।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে গ্রন্থাকারে।
-
এই কাব্যেই মধুসূদন প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন।
'মেঘনাদবধ কাব্য'
-
মধুসূদনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য হলো ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
-
এটি রচিত হয় ১৮৬১ সালের জুন মাসে।
-
মহাকাব্যের কাহিনী নেওয়া হয়েছে রামায়ণ থেকে, তবে কেবল একটি ছোট অংশকে ভিত্তি করে তিনি এ কাব্য রচনা করেন।
-
পুরো কাব্যটি নয় সর্গে রচিত, যেখানে মাত্র তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ হলো: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা ইত্যাদি।
-
সর্গগুলোর নাম: অভিষেক, অস্ত্রলাভ, সমাগম, অশোক বন, উদ্যোগ, বধ, শক্তিনির্ভেদ, প্রেতপুরী, সংস্ক্রিয়া।
'বীরাঙ্গনা কাব্য'
-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের আরেকটি বিখ্যাত রচনা হলো ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’।
-
এটি পত্রাকারে লেখা কাব্য, যা প্রকাশিত হয় ১৮৬২ সালে।
-
বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের পত্রকাব্যের সূচনা মধুসূদনের হাতেই হয়।
-
তিনি এটি রচনা করেছিলেন রোমান কবি ওভিডের ‘হেরোইডাইদ্স’ কাব্যের আদলে।
-
এতে মোট ১১টি পত্র রয়েছে।
-
এই কাব্যে পৌরাণিক নারীরা আধুনিক মনোভাব নিয়ে নিজেদের প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ প্রকাশ করেছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 weeks ago
'মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’ কাব্যগ্রন্থের কবি কে?
Created: 22 hours ago
A
রফিক আজাদ
B
শঙ্খ ঘােষ
C
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
D
শামসুর রাহমান
শঙ্খ ঘোষ বাংলাদেশের একটি বিশিষ্ট সাহিত্যিক, কবি, প্রাবন্ধিক এবং সম্পাদক। তিনি ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ সালে চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং কুন্তক নামে একটি ছদ্মনামও ব্যবহার করেছেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ, পাকশি (পাবনা, বাংলাদেশ), প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত হন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দিনগুলি রাতগুলি’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৬ সালে।
উল্লেখযোগ্য তথ্যগুলো হলো:
-
তিনি লব্ধপ্রতিষ্ঠ কবি, প্রাবন্ধিক ও সম্পাদক ছিলেন।
-
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে
-
চুপ করো, শব্দহীন হও
-
সবিনয় নিবেদন
-
বুক পেতে শুয়ে আছি ঘাসের উপরে চক্রবালে
-
হওয়া
কবির প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে:
-
-
-
সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৭৭)
-
রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৮৯)
-
কবীর সম্মান (১৯৯৮)
-
সরস্বতী সম্মান (১৯১৮)
-
অজ্ঞানপীঠ পরস্থার (২০১৬)
-

0
Updated: 22 hours ago
কোন উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত?
Created: 1 week ago
A
উপনেতা
B
উপভোগ
C
উপগ্রহ
D
উপসাগর
উপসর্গ এবং বাংলায় এর ব্যবহার
উপসর্গ হলো এমন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
উপসাগর, উপগ্রহ, উপনেতা – এখানে “উপ” ক্ষুদ্র অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
উপভোগ – এখানে “উপ” বিশেষ বা অতিরিক্ত অর্থ প্রকাশ করছে।
বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন ধরনের হয়:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। এর সংখ্যা ২১।
উদাহরণ: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
দ্রষ্টব্য: আ, সু, বি, নি এই চারটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়। -
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত থেকে আগত উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ বলা হয়।
প্রধান ২০টি তৎসম উপসর্গ:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ। -
বিদেশি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় দীর্ঘ সময় ধরে প্রচলিত বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ।-
আরবি: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু: হর
-
ইংরেজি: হেড, সাব, ফুল, হাফ
-
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 week ago