Blockchain Technology-এর মূল বৈশিষ্ট্য কোনটি?
A
কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
B
বিকেন্দ্রীকরণ ও স্বচ্ছতা
C
তথ্য সহজেই পরিবর্তন করা সম্ভব
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
Blockchain হলো একটি বিকেন্দ্রীভূত (Decentralized) লেজার সিস্টেম, যেখানে কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ যেমন ব্যাংক বা সরকার সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। একবার তথ্য ব্লকে যুক্ত হলে সেটি পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়, যার ফলে এটি নিরাপদ এবং স্বচ্ছ লেনদেন ব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
ব্লকচেইন:
-
প্রতিটি ব্লককে একটি অ্যাকাউন্ট ইউনিট হিসেবে ধরা যায়, যেখানে প্রতিটি লেনদেন চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয়।
-
প্রতিটি ব্লক Hashing প্রযুক্তি ব্যবহার করে শক্তিশালী নিরাপত্তা প্রদান করে, ফলে বাইরের কেউ তথ্য পরিবর্তন বা হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
-
এটি তথ্য সংরক্ষণের একটি নিরাপদ ও উন্মুক্ত পদ্ধতি।
-
ডেটা ব্লকগুলো ধারাবাহিকভাবে সংযুক্ত থাকে, অর্থাৎ একটির পর আরেকটি চেইন আকারে যুক্ত হয়।
-
একটি সাধারণ ব্লকে থাকে:
১. Hash pointer (পূর্ববর্তী ব্লকের সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্য),
২. Timestamp (লেনদেনের সময় নির্দেশ করে),
৩. List of transactions (লেনদেনের তালিকা)। -
একমাত্র Genesis Block ছাড়া প্রতিটি ব্লকে পূর্ববর্তী ব্লকের সাথে সংযোগ থাকে।
-
ব্লকচেইনের প্রথম ব্লক, যাকে Genesis Block বলা হয়, ২০০৯ সালে তৈরি করা হয়েছিল।
Blockchain-এর মূল বৈশিষ্ট্য:
-
Decentralization – নিয়ন্ত্রণ ছড়িয়ে থাকে নেটওয়ার্কের অংশগ্রহণকারীদের মাঝে।
-
Transparency – সকল ব্যবহারকারী লেনদেন যাচাই করতে পারে।
-
Security – ক্রিপ্টোগ্রাফিক হ্যাশিং ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
-
Immutability – একবার তথ্য যুক্ত হলে সেটি পরিবর্তন বা মুছে ফেলা যায় না।
আপনি চাইলে আমি Blockchain-এর ব্যবহারিক প্রয়োগ (যেমন: Cryptocurrency, Supply Chain Management, Voting System ইত্যাদি) সংক্ষেপে লিখে দিতে পারি। সেটা কি দেব?

0
Updated: 7 hours ago
সেলুলার নেটওয়ার্কে প্রধানত কোন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়?
Created: 5 days ago
A
অপটিক্যাল ফাইবার
B
রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি
C
স্যাটেলাইট লেজার
D
ইনফ্রারেড
তথ্য প্রযুক্তি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ (Types of network)
No subjects available.

0
Updated: 5 days ago
Telnet কী?
Created: 5 days ago
A
ওয়েব ব্রাউজার
B
নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল
C
হার্ডডিস্কের অংশ
D
ফাইল স্টোরেজ
Telnet
১. সংজ্ঞা
-
Telnet হলো একটি নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল, যা ব্যবহারকারীদের দূর থেকে কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়।
-
এটি ১৯৬০-এর শেষের দিকে ARPANET প্রকল্প থেকে উদ্ভূত।
২. ইতিহাস
-
Telnet-এর প্রথম সংস্করণ ১৯৭১ সালে প্রস্তাবিত হয়।
-
১৯৮৩ সালে এটি বাস্তবায়িত হয়।
-
মূল উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটারকে দূর থেকে সংযুক্ত করা।
৩. প্রযুক্তি
-
Telnet একটি Network Virtual Terminal (NVT) ব্যবহার করে, যা বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে সাধারণ নিয়ম প্রয়োগ করে।
-
এটি যোগাযোগের পার্থক্য দূর করতে সাহায্য করে।
৪. ব্যবহার
Telnet ব্যবহৃত হয়েছে:
-
লেটিন বোর্ড সিস্টেম (BBS)
-
লাইব্রেরির কার্ড ক্যাটালগ
-
টেক্সট-ভিত্তিক গেম
বর্তমানে এই অনেক অ্যাপ্লিকেশন ওয়েব-ভিত্তিক হয়ে গেছে।
৫. নিরাপত্তা ঝুঁকি
-
Telnet সব ডেটা plain text আকারে প্রেরণ করে, তাই হ্যাকাররা সহজে তথ্য পড়তে পারে।
-
হ্যাকাররা Telnet-এর বাগ ব্যবহার করে সীমাবদ্ধ সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে।
-
অনেক সিস্টেমে Telnet বন্ধ করা হয়েছে এবং এর পরিবর্তে Secure Shell (SSH) ব্যবহার করা হয়, যা সমস্ত ট্রাফিক এনক্রিপ্টেড করে।
উৎস: ব্রিটানিকা

0
Updated: 5 days ago
GSM কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সার্ভিস প্রদান করে?
Created: 5 days ago
A
CDMA
B
TDMA
C
FDMA
D
OFDMA
সঠিক উত্তর: GSM TDMA প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সার্ভিস প্রদান করে।
সেলুলার বা মোবাইল ফোন প্রযুক্তি:
-
মোবাইল ফোন বর্তমান বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম।
-
১৯৪০ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মোবাইল ফোন চালু হয়।
-
তারবিহীন দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডাটা ও তথ্য আদান-প্রদানের জন্য যে সিস্টেম ব্যবহার হয়, তাকে মোবাইল যোগাযোগ বলে।
-
বর্তমান মোবাইল ফোন প্রযুক্তি প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত:
১. জিএসএম (GSM)
২. সিডিএমএ (CDMA)
জিএসএম (GSM):
-
GSM = Global System for Mobile Communication
-
এটি মোবাইল টেলিফোনির জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্যান্ডার্ড।
-
একে দ্বিতীয় প্রজন্মের (2G) মোবাইল ফোন সিস্টেম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
-
মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের মধ্যে রোমিং চুক্তি থাকার কারণে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে GSM নেটওয়ার্কে মোবাইল ব্যবহার করা যায়।
-
স্বল্প মূল্যের এসএমএস (SMS) চালু করার ক্ষেত্রে GSM পথিকৃত।
-
GSM TDMA (Time Division Multiple Access) প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
TDMA ব্যবহার করে GSM-এর সেবা:
-
এসএমএস (SMS)
-
কল ফরওয়ার্ডিং
-
আউটগোয়িং কল কন্ট্রোল
-
ইনকামিং কল নিয়ন্ত্রণ
-
কল হোল্ডিং
-
কলার আইডি
-
কল ওয়েটিং
-
মাল্টিপার্টি সার্ভিস ইত্যাদি
GSM-এর বৈশিষ্ট্য:
-
সেলুলার নেটওয়ার্ক বিধায় নির্দিষ্ট এলাকায় মোবাইল ফোন GSM-এর সাথে সংযুক্ত হয়।
-
সর্বোচ্চ কভারেজ দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।
-
অধিকাংশ 2G GSM নেটওয়ার্ক 900 MHz বা 1800 MHz ব্যান্ডে পরিচালিত হয়।
-
হ্যান্ডসেটের ট্রান্সমিশন ক্ষমতা ১–২ ওয়াট।
উৎস:
এসএসসি প্রোগ্রাম, কম্পিউটার শিক্ষা, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 5 days ago