জগদীশচন্দ্র বসু রেডিও সংকেত শনাক্তকরণের কাজে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন?
A
ট্রানজিস্টর
B
অর্ধপরিবাহী জাংশন
C
ক্যাপাসিটার
D
ভ্যাকুয়াম টিউব
উত্তরের বিবরণ
জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৬৫–১৯৩৭) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বিজ্ঞানী, যিনি পদার্থবিজ্ঞান এবং উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্ব উভয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছিলেন। তিনি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রেরণ ও শনাক্তকরণ এবং উদ্ভিদের উদ্দীপনার প্রতি প্রতিক্রিয়া নিয়ে যুগান্তকারী কাজ করেছেন।
- 
শিক্ষা ও ক্যারিয়ার: - 
১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানে অধ্যাপনা শুরু করেন। 
- 
গবেষণার ক্ষেত্রে বিনা তারে দূরবর্তী সংকেত প্রেরণ ও শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ pioneering কাজ সম্পন্ন করেন। 
 
- 
- 
বৈজ্ঞানিক অবদান (Physics & Radio Waves): - 
১৮৯৫ সালে প্রথমবারের মতো দূরবর্তী স্থানে বিনা তারে রেডিও তরঙ্গ প্রেরণ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। 
- 
৫ মিলিমিটার পর্যায়ে তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিমাপের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। 
- 
অর্ধপরিবাহী জাংশন ব্যবহার করে রেডিও সংকেত শনাক্তের কাজ করেন। 
- 
তাঁর আবিষ্কারগুলো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে সর্বজনীনভাবে উন্মুক্ত রাখেন। 
 
- 
- 
জীববিজ্ঞান ও উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্ব: - 
উদ্ভিদের বৃদ্ধি পরিমাপের জন্য ক্রেস্কোগ্রাফ আবিষ্কার। 
- 
উদ্ভিদ কিভাবে বিভিন্ন উদ্দীপনায় সাড়া দেয় তা ব্যাখ্যা করেন। - 
উদ্দীপকের প্রতি উদ্ভিদের প্রতিক্রিয়া রাসায়নিক নয়, বৈদ্যুতিক প্রকৃতির। 
 
- 
- 
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: ‘Response in the Living and Non-living’। 
- 
১৯১৭ সালে কলকাতায় বসু মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন উদ্ভিদ-শারীরিতত্ত্ব গবেষণার জন্য। 
 
- 
- 
মৃত্যু: - 
২৩ নভেম্বর ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পরলোকে গমন করেন। 
 
- 
সংক্ষেপে:
জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান ও উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্বের পথপ্রদর্শক, যিনি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ এবং উদ্ভিদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
জাইগোট কী?
Created: 1 month ago
A
দেহকোষ
B
ব্যাকটেরিয়ার কোষ
C
একটি কোষের বিভাজন
D
নতুন জীবের প্রথম কোষ
কোষ (Cell):
- 
সংজ্ঞা: 
 জীবকোষ হচ্ছে জীবদেহের মৌলিক একক।- 
Loewy ও Siekevitz (1969) অনুযায়ী, কোষ হলো বৈষম্য ভেদ্য (selectively permeable) ঝিল্লি দ্বারা আবৃত একক, যা জীবজ ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন করতে পারে এবং নিজেই নিজেকে প্রতিরূপ করতে সক্ষম। 
 
- 
কোষের প্রকারভেদ:
কোষের গঠন, আকৃতি ও কাজ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
১. আদিকোষ (Prokaryotic cell):
- 
নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়। 
২. প্রকৃত কোষ বা সুকেন্দ্রিক কোষ (Eukaryotic cell):
- 
সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে, যা নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে পরিবেষ্টিত। 
- 
রাইবোজোমসহ সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে। 
- 
ক্রোমোজোমে DNA, প্রোটিন, হিস্টোন এবং অন্যান্য উপাদান থাকে। 
- 
অধিকাংশ জীবকোষ এ ধরনের। 
প্রকৃত কোষের কাজ অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ:
ক) দেহকোষ (Somatic cell):
- 
বহুকোষী জীবের দেহ গঠনে অংশ নেয়। 
- 
মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে দেহের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। 
- 
বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও তন্ত্র গঠনে সহায়ক। 
খ) জননকোষ (Reproductive cell / Gamete):
- 
যৌন প্রজননে অংশ নেয়। 
- 
মাইওসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক থাকে। 
- 
পুং ও স্ত্রী জননকোষ মিলিত হয়ে নতুন জীব গঠনের সূচনা করে। 
- 
প্রথম কোষটি—জাইগোট (Zygote) নামে পরিচিত। 
- 
জাইগোট বারবার বিভাজনের মাধ্যমে জীবদেহ গঠন করে। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
কৃষ্ণবিবর আবিষ্কার করেন কে?
Created: 2 months ago
A
জন হুইলার
B
স্টিফেন হকিং
C
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন
D
কার্ল সাগান
কৃষ্ণবিবর (Black Hole)
- 
যখন কোনো নক্ষত্রের ভর তিন সৌর ভরের সমান বা তার বেশি হয় এবং সুপারনোভা বিস্ফোরণের পর তা সংকুচিত হতে থাকে, তখন আয়তন প্রায় শূন্য এবং ঘনত্ব প্রায় অসীম হয়ে যায়। 
- 
এর ফলে গঠিত মহাকর্ষ ক্ষেত্র এত প্রবল হয় যে, সেই বস্তু থেকে কোনো আলো বা সংকেত বের হতে পারে না। তাই এই বস্তুকে আমরা দেখতে পাই না। 
- 
নক্ষত্রের এই অবস্থাকে বলা হয় কৃষ্ণবিবর (Black Hole)। 
- 
বাস্তবে, এখানে g-এর মান এত বেশি, যে এমনটি ফোটন কণাও এর পৃষ্ঠ থেকে মুক্ত হতে পারে না। 
- 
কৃষ্ণবিবরের ধারণা প্রথম প্রকাশ করেন জন হুইলার, ১৯৬৯ সালে। 
উৎস: পদার্থ বিজ্ঞান, দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
                                দুটি পরমাণু একে অপরের আইসোটোপ হলে, তাদের কোনটি সমান থাকে? 
                            
                            Created: 1 month ago
A
ভর সংখ্যা
B
ইলেকট্রন সংখ্যা
C
নিউট্রন সংখ্যা
D
প্রোটন সংখ্যা
আইসোেটাপ (Isotopes): 
- যে সকল পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে একে অপরের আইসোটোপ বলে। 
- হাইড্রোজেনের সাতটি আইসোটোপ (1H, 2H, 3H, 4H, 5H, 6H এবং 7H) আছে। এদের মধ্যে শুধু তিনটি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়, অন্যগুলোকে ল্যাবরেটরিতে প্রস্তুত করা হয়। 
- নিচের টেবিলে দেখানো তিনটি H পরমাণুরই প্রোটন সংখ্যা সমান, কাজেই তারা একে অপরের আইসোটোপ। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago