ব্যাপন প্রক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি?
A
চাকার বাতাস বেরিয়ে যাওয়া
B
রিক্সার চাকা ছিদ্র হওয়া
C
গ্যাস ভর্তি বেলুন ফেটে যাওয়া
D
অ্যারোসলের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া
উত্তরের বিবরণ
ব্যাপন (Diffusion) ও নিঃসরণ (Effusion):
ব্যাপন (Diffusion):
-
সংজ্ঞা:
অসম ঘনত্ব বিশিষ্ট একটি গ্যাস বা তরল স্বতঃস্ফূর্তভাবে অপর গ্যাস বা তরলের মধ্যে প্রবেশ করলে যাকে ব্যাপন বলা হয়। -
লক্ষণীয় দিক:
-
এটি স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া।
-
উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চল থেকে নিম্ন ঘনত্বের অঞ্চলে ঘটে।
-
-
উদাহরণ:
-
ঘরে এয়ার ফ্রেশনার ছড়ালে তার গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়া।
-
রাতের বেলা ঘরের কোনে ফুল ফুটলে তার সুগন্ধ ছড়িয়ে যাওয়া।
-
ছাতিমের ফুলের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়া।
-
মশা বা পিঁপড়া মারার অ্যারোসলের গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়া।
-
নিঃসরণ (Effusion):
-
সংজ্ঞা:
কোনো উপাদান নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়, বাহ্যিক চাপ প্রভাবে, পাত্রের সূক্ষ্ম ছিদ্রপথ দিয়ে উচ্চ চাপ অঞ্চল থেকে নিম্ন চাপ অঞ্চলে একমুখী বের হলে তাকে নিঃসরণ বলা হয়। -
লক্ষণীয় দিক:
-
এটি একমুখী, চাপের প্রভাবে ঘটে।
-
ব্যাপনের মতো স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং চাপের পার্থক্য প্রয়োজন।
-
-
উদাহরণ:
-
রিক্সার টিউবের ছিদ্র দিয়ে বাতাস বের হওয়া।
-
চাকা ফেটে টিউবের ভিতরের বাতাস বের হওয়া।
-
পাইপলাইনের ছিদ্র দিয়ে গ্যাস বের হওয়া।
-
পার্থক্য সংক্ষেপে:
বৈশিষ্ট্য | ব্যাপন (Diffusion) | নিঃসরণ (Effusion) |
---|---|---|
প্রক্রিয়া | স্বতঃস্ফূর্ত | চাপের প্রভাবে একমুখী |
দিক | উচ্চ ঘনত্ব → নিম্ন ঘনত্ব | উচ্চ চাপ → নিম্ন চাপ |
উদাহরণ | গন্ধ ছড়ানো | টিউবের বাতাস বের হওয়া |

0
Updated: 8 hours ago
তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে অ্যানোড তড়িৎদ্বার কোন প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে?
Created: 8 hours ago
A
ব্যাটারির বাইরের অংশে
B
ব্যাটারির কেন্দ্রের সাথে
C
ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্ত
D
ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্ত
তড়িৎদ্বার হলো দুটি ধাতব পরিবাহী বা গ্রাফাইট দন্ড, যা তড়িৎ বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় এবং তড়িৎ প্রবাহের সম্পূর্ণ চক্র তৈরি করে। একটি তড়িৎদ্বারের মাধ্যমে ইলেকট্রন কোষে প্রবেশ করে এবং অন্যটির মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তড়িৎদ্বার ইলেকট্রনিক পরিবাহী ও ইলেকট্রোলাইট পরিবাহীর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে এবং কোষের বর্তনী পূর্ণ করে। একটি রাসায়নিক কোষের কাজের জন্য দুটি তড়িৎদ্বারের প্রয়োজন হয়—একটি অ্যানোড তড়িৎদ্বার এবং অপরটি ক্যাথোড তড়িৎদ্বার।
-
অ্যানোড তড়িৎদ্বার:
-
ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে।
-
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন দ্রবণে ত্যাগ করা হয়।
-
এখানে জারণ ক্রিয়া (oxidation) সম্পন্ন হয়; অর্থাৎ অ্যানায়নগুলো ইলেকট্রন ত্যাগ করে আধান মুক্ত হয়।
-
-
ক্যাথোড তড়িৎদ্বার:
-
ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে।
-
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন দ্রবণে প্রবেশ করে।
-
এখানে বিজারণ ক্রিয়া (reduction) সম্পন্ন হয়; অর্থাৎ ক্যাটায়নগুলো ইলেকট্রন গ্রহণ করে আধান মুক্ত হয়।
-
সারসংক্ষেপে, অ্যানোডে ইলেকট্রন ত্যাগ হয় এবং জারণ ঘটে, আর ক্যাথোডে ইলেকট্রন গ্রহণ হয় এবং বিজারণ ঘটে, যা তড়িৎকোষের কাজকে সম্ভব করে।

0
Updated: 8 hours ago
NaCl-এ কোন ধরনের বন্ধন থাকে?
Created: 1 week ago
A
সমযোজী বন্ধন
B
আয়নিক বন্ধন
C
ধাতব বন্ধন
D
ভ্যান্ডার-ওয়ালস বন্ধন
• NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড)-এ আয়নিক বন্ধন থাকে।
• আয়নিক বন্ধন:
- ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে গঠিত ক্যাটায়ন এবং অ্যানায়নসমূহ যে আকর্ষণ বল দ্বারা যৌগের বল দ্বারা যৌগের অণুতে আবদ্ধ থাকে তাকে আয়নিক বন্ধন বলে।
• ধাতুগুলোর আয়নিকরণ শক্তির মান অনেক কম হওয়ায় এরা অতি সহজেই সর্বশেষ শক্তিস্তরের এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট আয়ন বা ক্যাটায়নে পরিণত হয়।
- আবার অধাতুগুলোর ইলেকট্রন আসক্তির মান বেশি হওয়ায় এরা সহজেই সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট আয়ন বা অ্যানায়নে পরিণত হয়।
- এভাবে সৃষ্ট বিপরীত আধানের ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের মধ্যে স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল বা ইলেকট্রোস্ট্যাটিক বল কাজ করে। এই আকর্ষণ বলটিই আয়নিক বন্ধন।
• NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড)-এ একটি আয়নিক বন্ধন থাকে, কারণ:
- Na (সোডিয়াম) একটি ধাতু, যা ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়ন (Na+) তৈরি করে।
- Cl (ক্লোরিন) একটি অধাতু, যা সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়ন (Cl-) তৈরি করে।
- ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের মধ্যে বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বা আয়নিক বল দ্বারা গঠিত হয় আয়নিক বন্ধন।
Na → Na+ + e-
Cl + e- → Cl-
Na + Cl → Na+ + Cl- = NaCl
অন্যদিকে,
• সমযোজী বন্ধন গঠিত হয় যখন দুইটি অধাতু ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধন তৈরি করে।
• ধাতব বন্ধন সাধারণত কেবল দুইটি ধাতব পরমাণুর মধ্যে হয়ে থাকে।
• ভ্যান্ডার-ওয়ালস বন্ধন একটি দুর্বল আন্তঃআণবিক আকর্ষণ। এটি আয়নিক বন্ধনের মত শক্তিশালী বন্ধন নয়।

0
Updated: 1 week ago
মোবাইলের ব্যাটারি চার্জ করার সময় বিদ্যুৎ শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
Created: 8 hours ago
A
তাপ শক্তি
B
রাসায়নিক শক্তি
C
যান্ত্রিক শক্তি
D
আলোক শক্তি
বিদ্যুৎ বা তড়িৎ শক্তি (Electrical Energy)
-
প্রাথমিক গুরুত্ব:
বিদ্যুৎ শক্তি সহজেই অন্যান্য শক্তিতে রূপান্তর করা যায় এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরবরাহ করা সবচেয়ে সহজ। তাই বাসা-বাড়িতে প্রথমে তড়িৎ শক্তি সরবরাহ করা হয়। -
বিদ্যুৎ শক্তির রূপান্তর উদাহরণ:
-
যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর:
-
বৈদ্যুতিক পাখা, মোটর ইত্যাদিতে তড়িৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
চৌম্বক শক্তি ব্যবহার হলেও এটি মূলত বিদ্যুৎ শক্তিরই রূপান্তর।
-
-
তাপ শক্তিতে রূপান্তর:
-
বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি বা হিটার।
-
-
আলোতে রূপান্তর:
-
বাল্ব, টিউবলাইট, এলইডি।
-
-
শব্দ শক্তিতে রূপান্তর:
-
স্পিকার বা হেডফোনে বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
-
রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর:
-
মোবাইল বা অন্যান্য ব্যাটারি চার্জ করা হলে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যাটারির মধ্যে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
-

0
Updated: 8 hours ago