পিতলের প্রধান উপাদান কোনটি?
A
লৌহ
B
টিন
C
কপার
D
জিংক
উত্তরের বিবরণ
সংকর ধাতু:
- দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পরের সাথে মিশে যে সমসত্ব বা অসমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে, সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে সংকর ধাতু বলা হয়।
- সাধারণত, সংকর ধাতু একাধিক ধাতু বা উপাদানকে একত্রিত করে তৈরি করা হয়, যা কিছু নতুন গুণাবলী সৃষ্টি করে।
উদাহরণ:
• কাঁসা (ব্রোঞ্জ): কপার (তামা) এবং টিনের সংকর ধাতু।
• পিতল: তামা (কপার) ও দস্তার (জিঙ্ক) সংকর ধাতু।
- পিতল সাধারণত ৬৫% তামা এবং ৩৫% দস্তা মিশ্রিত থাকে।
- সংকর ধাতু পিতলের প্রধান উপাদান হলো- তামা বা কপার যা শতকরা ৬৫% থাকে।
- সংকর ধাতু সাধারণত শক্ত, টেকসই, এবং টেকনিক্যাল উপযোগী হয়ে থাকে।
- তাদের উপাদানগুলির বৈশিষ্ট্য একে অপরকে সম্পূরক হিসেবে কাজ করে, ফলে মিশ্রিত ধাতু নতুন গুণাবলী অর্জন করে।
উদাহরণ:
• কাঁসা: কপার এবং টিনের মিশ্রণ যা প্রাচীন যুগ থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।
• পিতল: তামা ও দস্তা মিশিয়ে তৈরি করা ধাতু, যা কাঠামোগত শক্তি ও দৃঢ়তার জন্য ব্যবহৃত হয়।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
NaCl-এ কোন ধরনের বন্ধন থাকে?
Created: 1 month ago
A
সমযোজী বন্ধন
B
আয়নিক বন্ধন
C
ধাতব বন্ধন
D
ভ্যান্ডার-ওয়ালস বন্ধন
• NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড)-এ আয়নিক বন্ধন থাকে।
• আয়নিক বন্ধন:
- ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে গঠিত ক্যাটায়ন এবং অ্যানায়নসমূহ যে আকর্ষণ বল দ্বারা যৌগের বল দ্বারা যৌগের অণুতে আবদ্ধ থাকে তাকে আয়নিক বন্ধন বলে। 
 
• ধাতুগুলোর আয়নিকরণ শক্তির মান অনেক কম হওয়ায় এরা অতি সহজেই সর্বশেষ শক্তিস্তরের এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট আয়ন বা ক্যাটায়নে পরিণত হয়।
- আবার অধাতুগুলোর ইলেকট্রন আসক্তির মান বেশি হওয়ায় এরা সহজেই সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট আয়ন বা অ্যানায়নে পরিণত হয়।
- এভাবে সৃষ্ট বিপরীত আধানের ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের মধ্যে স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল বা ইলেকট্রোস্ট্যাটিক বল কাজ করে। এই আকর্ষণ বলটিই আয়নিক বন্ধন।
• NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড)-এ একটি আয়নিক বন্ধন থাকে, কারণ:
- Na (সোডিয়াম) একটি ধাতু, যা ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়ন (Na+) তৈরি করে।
- Cl (ক্লোরিন) একটি অধাতু, যা সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়ন (Cl-) তৈরি করে।
- ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের মধ্যে বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বা আয়নিক বল দ্বারা গঠিত হয় আয়নিক বন্ধন।
Na → Na+ + e-
Cl + e- → Cl-
Na + Cl → Na+ + Cl- = NaCl
অন্যদিকে,
• সমযোজী বন্ধন গঠিত হয় যখন দুইটি অধাতু ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধন তৈরি করে।
• ধাতব বন্ধন সাধারণত কেবল দুইটি ধাতব পরমাণুর মধ্যে হয়ে থাকে।  
• ভ্যান্ডার-ওয়ালস বন্ধন একটি দুর্বল আন্তঃআণবিক আকর্ষণ। এটি আয়নিক বন্ধনের মত শক্তিশালী বন্ধন নয়।
                                                                                             
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
বয়েল ও চার্লসের সমন্বয় সূত্রের মাধ্যমে গ্যাসের কোন সমীকরণ পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
V ∝ T
B
V ∝ 1/P
C
PV/T = ধ্রুবক
D
PT = V
বয়েল ও চার্লসের সূত্রের সমন্বয় গ্যাসের আয়তন, চাপ এবং তাপমাত্রার মধ্যে সম্পর্ক বোঝায়। বয়েলের সূত্র অনুযায়ী, স্থির তাপমাত্রায় কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন এর উপর প্রযুক্ত চাপের বিপরীতভাবে নির্ভরশীল। চার্লসের সূত্র অনুযায়ী, স্থির চাপের নিচে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন তার উপর আরোপিত তাপমাত্রার সরাসরি সমানুপাতিক।
- 
ধরা যাক, নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের আয়তন V, চাপ P এবং কেলভিন তাপমাত্রা T। 
 • বয়েলের সূত্র: V ∝ 1/P (তাপমাত্রা স্থির)
 • চার্লসের সূত্র: V ∝ T (চাপ স্থির)
- 
এই দুটি সম্পর্ক একত্র করলে পাওয়া যায়: 
 V ∝ (T/P) যখন তাপমাত্রা ও চাপ উভয়ই পরিবর্তনশীল।
- 
সমানুপাতিক ধ্রুবক K নিয়ে লেখা যায়: 
 V = K × T / P
 অথবা
 P V = K T
 যা আবার লেখা যায় P V / T = K
সুতরাং, PV/T = ধ্রুবক হলো বয়েল ও চার্লসের সূত্রের সমন্বয় সূত্র, যা কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের জন্য চাপ, আয়তন এবং তাপমাত্রার সম্পর্ক নির্ধারণ করে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে অ্যানোড তড়িৎদ্বার কোন প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে?
Created: 1 month ago
A
ব্যাটারির বাইরের অংশে
B
ব্যাটারির কেন্দ্রের সাথে
C
ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্ত
D
ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্ত
তড়িৎদ্বার হলো দুটি ধাতব পরিবাহী বা গ্রাফাইট দন্ড, যা তড়িৎ বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় এবং তড়িৎ প্রবাহের সম্পূর্ণ চক্র তৈরি করে। একটি তড়িৎদ্বারের মাধ্যমে ইলেকট্রন কোষে প্রবেশ করে এবং অন্যটির মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তড়িৎদ্বার ইলেকট্রনিক পরিবাহী ও ইলেকট্রোলাইট পরিবাহীর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে এবং কোষের বর্তনী পূর্ণ করে। একটি রাসায়নিক কোষের কাজের জন্য দুটি তড়িৎদ্বারের প্রয়োজন হয়—একটি অ্যানোড তড়িৎদ্বার এবং অপরটি ক্যাথোড তড়িৎদ্বার।
- 
অ্যানোড তড়িৎদ্বার: - 
ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে। 
- 
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন দ্রবণে ত্যাগ করা হয়। 
- 
এখানে জারণ ক্রিয়া (oxidation) সম্পন্ন হয়; অর্থাৎ অ্যানায়নগুলো ইলেকট্রন ত্যাগ করে আধান মুক্ত হয়। 
 
- 
- 
ক্যাথোড তড়িৎদ্বার: - 
ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে। 
- 
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন দ্রবণে প্রবেশ করে। 
- 
এখানে বিজারণ ক্রিয়া (reduction) সম্পন্ন হয়; অর্থাৎ ক্যাটায়নগুলো ইলেকট্রন গ্রহণ করে আধান মুক্ত হয়। 
 
- 
সারসংক্ষেপে, অ্যানোডে ইলেকট্রন ত্যাগ হয় এবং জারণ ঘটে, আর ক্যাথোডে ইলেকট্রন গ্রহণ হয় এবং বিজারণ ঘটে, যা তড়িৎকোষের কাজকে সম্ভব করে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago