আলোর ফ্লাক্সের একক কী?
A
লুমেন
B
ক্যান্ডেলা
C
লাক্স
D
স্টেরিডিয়ান
উত্তরের বিবরণ
আলোর ফ্লাক্স:
- কোন আলোর উৎস থেকে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে, যে পরিমাণ আলোক শক্তি নির্গত হয় বা প্রবেশ করে, তাকে আলোর প্রবাহ বা আলোর ফ্লাক্স বলে।
- আলোর ফ্লাক্স পরিমাপের একক লুমেন।
- এক ক্যান্ডেলা দীপন ক্ষমতার কোন আলোক উৎস থেকে এক স্টেরেডিয়ান ঘনকোণে যে পরিমাণ আলোক ফ্লাক্স নির্গত হয় তাকে এক লুমেন (1 lm) বলে।
অন্যদিকে,
- দীপন মাত্রা পরিমাপের একক লাক্স। কোন পৃষ্ঠের প্রতি বর্গ মিটার ক্ষেত্রে এক লুমেন আলোক ফ্লাক্স যে দীপন মাত্রা সৃষ্টি করে তাকে এক লাক্স (1 lux) বলে।
- ক্যান্ডেলা হলো আলোর শক্তির পরিমাপের একক, যা নির্দিষ্ট দিক থেকে আলোর উজ্জ্বলতার পরিমাপ করে।
- স্টেরিডিয়ান হলো দিকের পরিমাপের একক যা আলোর উৎসের দিকে এককীয় দিকের কোণ প্রতিনিধিত্ব করে।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রবর্তন করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ম্যাক্স প্লাঙ্ক
B
নিউটন
C
আইনস্টাইন
D
গ্যালিলিও
কোয়ান্টাম তত্ত্ব:
কোয়ান্টাম তত্ত্ব: 
- ১৯০০ সালে ম্যাক্স প্লাঙ্ক আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রস্তাবনা করেন। 
- এই তত্ত্ব অনুসারে শক্তি কোনো উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে বের হয়ে না, বরং ক্ষুদ্র শক্তির প্যাকেট বা গুচ্ছ আকারে নির্গত হয়। 
- প্রতি কম্পাঙ্কের (রঙের আলোর) জন্য এই শক্তি প্যাকেটের একটি সর্বনিম্ন মান নির্দিষ্ট থাকে। এই সর্বনিম্ন শক্তি সম্পন্ন কণিকার নাম কোয়ান্টাম বা ফোটন। 
- প্লাঙ্কের মতে, কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ আলাদা আলাদা বা গুচ্ছ আকারে সংঘটিত হয়। 
- ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন, যার ফলে আলোর কণা তত্ত্ব পুনর্জীবিত হয়। 
- এই তত্ত্ব অনুসারে শক্তি কোনো উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে বের হয়ে না, বরং ক্ষুদ্র শক্তির প্যাকেট বা গুচ্ছ আকারে নির্গত হয়।
- প্রতি কম্পাঙ্কের (রঙের আলোর) জন্য এই শক্তি প্যাকেটের একটি সর্বনিম্ন মান নির্দিষ্ট থাকে। এই সর্বনিম্ন শক্তি সম্পন্ন কণিকার নাম কোয়ান্টাম বা ফোটন।
- প্লাঙ্কের মতে, কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ আলাদা আলাদা বা গুচ্ছ আকারে সংঘটিত হয়।
- ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন, যার ফলে আলোর কণা তত্ত্ব পুনর্জীবিত হয়।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন বিবৃতিটি গামা রশ্মির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভুল?
Created: 1 month ago
A
এর ভেদন ক্ষমতা খুব বেশি
B
এটি একটি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ
C
এর ফোটনগুলোর শক্তি অনেক কম
D
এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট
গামা রশ্মি (Gamma Ray)
- 
প্রকৃতি: গামা রশ্মি হলো শক্তিশালী বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ। 
- 
চার্জ ও ভর: গামা রশ্মি চার্জবিহীন এবং ভরহীন, তাই এটি বিদ্যুৎ বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না। 
- 
উৎপত্তি: যখন কোনো নিউক্লিয়াস আলফা বা বিটা কণার বিকিরণ করে 'উত্তেজিত' অবস্থায় থাকে, তখন বাড়তি শক্তি গামা রশ্মি হিসেবে নির্গত হয়। 
- 
তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও শক্তি: - 
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট (প্রায় ১০⁻¹² মিটারের নিচে)। 
- 
তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং ফোটনের শক্তি বিপরীতানুপাতিক, তাই ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য মানে উচ্চ শক্তি। 
 
- 
- 
গতি: গামা রশ্মির বেগ সর্বদা আলোর বেগের সমান। 
- 
ভেদন ক্ষমতা (Penetrating Power): - 
গামা রশ্মি অত্যন্ত উচ্চ ভেদন ক্ষমতার। 
- 
এটি কয়েক সেন্টিমিটার পুরু সীসার পাত বা কয়েক মিটার পুরু কংক্রিটও ভেদ করতে পারে। 
- 
সাধারণত গামা রশ্মি থামাতে কয়েক সেন্টিমিটার সীসার পুরু পাতা ব্যবহার করা হয়। 
 
- 
- 
আয়নায়ন ক্ষমতা: চার্জ না থাকলেও, গামা রশ্মি অণু ও পরমাণুকে আয়নিত করতে পারে, যা এর অস্তিত্ব শনাক্ত করতে সাহায্য করে। 
মূল কারণ: গামা রশ্মির উচ্চ শক্তি তার উচ্চ ভেদন ক্ষমতার মূল কারণ।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
পিতলের প্রধান উপাদান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
লৌহ
B
টিন
C
কপার
D
জিংক
সংকর ধাতু:
- দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পরের সাথে মিশে যে সমসত্ব বা অসমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে, সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে সংকর ধাতু বলা হয়।
- সাধারণত, সংকর ধাতু একাধিক ধাতু বা উপাদানকে একত্রিত করে তৈরি করা হয়, যা কিছু নতুন গুণাবলী সৃষ্টি করে।
উদাহরণ:
• কাঁসা (ব্রোঞ্জ): কপার (তামা) এবং টিনের সংকর ধাতু।
• পিতল: তামা (কপার) ও দস্তার (জিঙ্ক) সংকর ধাতু।
- পিতল সাধারণত ৬৫% তামা এবং ৩৫% দস্তা মিশ্রিত থাকে।
- সংকর ধাতু পিতলের প্রধান উপাদান হলো- তামা বা কপার যা শতকরা ৬৫% থাকে।
- সংকর ধাতু সাধারণত শক্ত, টেকসই, এবং টেকনিক্যাল উপযোগী হয়ে থাকে।
- তাদের উপাদানগুলির বৈশিষ্ট্য একে অপরকে সম্পূরক হিসেবে কাজ করে, ফলে মিশ্রিত ধাতু নতুন গুণাবলী অর্জন করে।
উদাহরণ:
• কাঁসা: কপার এবং টিনের মিশ্রণ যা প্রাচীন যুগ থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।
• পিতল: তামা ও দস্তা মিশিয়ে তৈরি করা ধাতু, যা কাঠামোগত শক্তি ও দৃঢ়তার জন্য ব্যবহৃত হয়।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago