রাতের বেলা উদ্ভিদে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয় না?
A
H2
B
O2
C
N2
D
CO2
উত্তরের বিবরণ
উদ্ভিদে গ্যাসীয় বিনিময়: 
- উদ্ভিদের জীবনে সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis) এবং শ্বসন (Respiration) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রক্রিয়া। 
- মূলত এই দুটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদের গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে থাকে, এই প্রক্রিয়া দুটি ঘটে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে। 
- উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার জন্য বায়ু থেকে CO2 গ্রহণ করে এবং O2 ত্যাগ করে, অন্যদিকে শ্বসন প্রক্রিয়ায় জন্য O2 গ্রহণ করে এবং CO2 ত্যাগ করে। 
- উদ্ভিদে প্রাণীর মতো শ্বাস নেওয়ার জন্য কোনো বিশেষ অঙ্গ নেই, তবে পাতার স্টোমাটা ও পরিণত কাণ্ডের বাকলে অবস্থিত লেন্টিসেলের (Lenticel) মাধ্যমে অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্যাসের বিনিময় ঘটে। 
- দিনের বেলা বা পর্যাপ্ত আলোর উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণের হার অধিক হয়। 
- সালোকসংশ্লেষণে উৎপাদিত অক্সিজেন গ্যাসের কিছু অংশ শ্বসন প্রক্রিয়ায় ব্যয় হয়। 
- আবার শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের কিছু অংশ সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহার হয়, তাই আদান-প্রদানকৃত অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ প্রায় সমান।
- রাতের বেলা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার আলোক পর্যায় বন্ধ থাকে, তাই অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয় না। 
- অন্যদিকে দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা শ্বসন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়, ফলে শ্বসন প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উৎপাদন চলতে থাকে। এ জন্য বড় গাছের নিচে রাত্রিবেলা ঘুমালে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। 
- উদ্ভিদ তার পরিবেশ থেকে প্রয়োজনীয় গ্যাস সংগ্রহ করে। 
- উদ্ভিদের পাতা যেরকম বাতাস থেকে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস সংগ্রহ করে, তেমনি মূল মাটি থেকে পানি শোষণ করে। 
- শোষিত সেই পানির সাথে CO2 এর বিক্রিয়ার ফলে O2 গ্যাস উৎপাদন হয়, যা বায়ুমণ্ডলে চলে যায়। এভাবে উদ্ভিদদেহে গ্যাস বিনিময় চলতে থাকে। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
ব্যাপন প্রক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
চাকার বাতাস বেরিয়ে যাওয়া
B
রিক্সার চাকা ছিদ্র হওয়া
C
গ্যাস ভর্তি বেলুন ফেটে যাওয়া
D
অ্যারোসলের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া
ব্যাপন (Diffusion) ও নিঃসরণ (Effusion):
ব্যাপন (Diffusion):
- 
সংজ্ঞা: 
 অসম ঘনত্ব বিশিষ্ট একটি গ্যাস বা তরল স্বতঃস্ফূর্তভাবে অপর গ্যাস বা তরলের মধ্যে প্রবেশ করলে যাকে ব্যাপন বলা হয়।
- 
লক্ষণীয় দিক: - 
এটি স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া। 
- 
উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চল থেকে নিম্ন ঘনত্বের অঞ্চলে ঘটে। 
 
- 
- 
উদাহরণ: - 
ঘরে এয়ার ফ্রেশনার ছড়ালে তার গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়া। 
- 
রাতের বেলা ঘরের কোনে ফুল ফুটলে তার সুগন্ধ ছড়িয়ে যাওয়া। 
- 
ছাতিমের ফুলের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়া। 
- 
মশা বা পিঁপড়া মারার অ্যারোসলের গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়া। 
 
- 
নিঃসরণ (Effusion):
- 
সংজ্ঞা: 
 কোনো উপাদান নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়, বাহ্যিক চাপ প্রভাবে, পাত্রের সূক্ষ্ম ছিদ্রপথ দিয়ে উচ্চ চাপ অঞ্চল থেকে নিম্ন চাপ অঞ্চলে একমুখী বের হলে তাকে নিঃসরণ বলা হয়।
- 
লক্ষণীয় দিক: - 
এটি একমুখী, চাপের প্রভাবে ঘটে। 
- 
ব্যাপনের মতো স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং চাপের পার্থক্য প্রয়োজন। 
 
- 
- 
উদাহরণ: - 
রিক্সার টিউবের ছিদ্র দিয়ে বাতাস বের হওয়া। 
- 
চাকা ফেটে টিউবের ভিতরের বাতাস বের হওয়া। 
- 
পাইপলাইনের ছিদ্র দিয়ে গ্যাস বের হওয়া। 
 
- 
পার্থক্য সংক্ষেপে:
| বৈশিষ্ট্য | ব্যাপন (Diffusion) | নিঃসরণ (Effusion) | 
|---|---|---|
| প্রক্রিয়া | স্বতঃস্ফূর্ত | চাপের প্রভাবে একমুখী | 
| দিক | উচ্চ ঘনত্ব → নিম্ন ঘনত্ব | উচ্চ চাপ → নিম্ন চাপ | 
| উদাহরণ | গন্ধ ছড়ানো | টিউবের বাতাস বের হওয়া | 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
জগদীশচন্দ্র বসু রেডিও সংকেত শনাক্তকরণের কাজে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন?
Created: 1 month ago
A
ট্রানজিস্টর
B
অর্ধপরিবাহী জাংশন
C
ক্যাপাসিটার
D
ভ্যাকুয়াম টিউব
জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৬৫–১৯৩৭) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বিজ্ঞানী, যিনি পদার্থবিজ্ঞান এবং উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্ব উভয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছিলেন। তিনি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রেরণ ও শনাক্তকরণ এবং উদ্ভিদের উদ্দীপনার প্রতি প্রতিক্রিয়া নিয়ে যুগান্তকারী কাজ করেছেন।
- 
শিক্ষা ও ক্যারিয়ার: - 
১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানে অধ্যাপনা শুরু করেন। 
- 
গবেষণার ক্ষেত্রে বিনা তারে দূরবর্তী সংকেত প্রেরণ ও শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ pioneering কাজ সম্পন্ন করেন। 
 
- 
- 
বৈজ্ঞানিক অবদান (Physics & Radio Waves): - 
১৮৯৫ সালে প্রথমবারের মতো দূরবর্তী স্থানে বিনা তারে রেডিও তরঙ্গ প্রেরণ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। 
- 
৫ মিলিমিটার পর্যায়ে তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিমাপের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। 
- 
অর্ধপরিবাহী জাংশন ব্যবহার করে রেডিও সংকেত শনাক্তের কাজ করেন। 
- 
তাঁর আবিষ্কারগুলো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে সর্বজনীনভাবে উন্মুক্ত রাখেন। 
 
- 
- 
জীববিজ্ঞান ও উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্ব: - 
উদ্ভিদের বৃদ্ধি পরিমাপের জন্য ক্রেস্কোগ্রাফ আবিষ্কার। 
- 
উদ্ভিদ কিভাবে বিভিন্ন উদ্দীপনায় সাড়া দেয় তা ব্যাখ্যা করেন। - 
উদ্দীপকের প্রতি উদ্ভিদের প্রতিক্রিয়া রাসায়নিক নয়, বৈদ্যুতিক প্রকৃতির। 
 
- 
- 
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: ‘Response in the Living and Non-living’। 
- 
১৯১৭ সালে কলকাতায় বসু মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন উদ্ভিদ-শারীরিতত্ত্ব গবেষণার জন্য। 
 
- 
- 
মৃত্যু: - 
২৩ নভেম্বর ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পরলোকে গমন করেন। 
 
- 
সংক্ষেপে:
জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান ও উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্বের পথপ্রদর্শক, যিনি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ এবং উদ্ভিদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
মানবদেহে আকারে সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘতম হাড়ের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
Humerus
B
Femur
C
Tibia
D
Radius
ফিমার বা উরুর হাড় মানবদেহের সবচেয়ে দীর্ঘ হাড়।
ফিমার (Femur):
- এটি মানবদেহের দীর্ঘতম এবং বৃহত্তম হাড়।
- পায়ের গঠন ও কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ফিমার শরীরের ওজনকে সমর্থন করার জন্য এবং হাঁটা, দৌড়ানো এবং লাফানো সহ বিভিন্ন পায়ের নড়াচড়ার সুবিধার জন্য দায়ী। - এর উর্ধ্বপ্রান্তে একটি গোল মস্তক, গ্রীবা ও ছোট-বড় ট্রোকেল্টার অবস্থিত।
- নিম্নপ্রান্ত দুটি কন্ডাইল বিশিষ্ট।
- ফিমারের মস্তক শ্রোণিচক্রে অ্যাসিটাবুলামের সাথে যুক্ত থাকে।
- এর প্রান্তে প্যাটেল (Patella) নামক চ্যাপ্টা সিগময়েড অস্থি থাকে। উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
                                                                                            ফিমার (Femur):
- এটি মানবদেহের দীর্ঘতম এবং বৃহত্তম হাড়।
- পায়ের গঠন ও কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ফিমার শরীরের ওজনকে সমর্থন করার জন্য এবং হাঁটা, দৌড়ানো এবং লাফানো সহ বিভিন্ন পায়ের নড়াচড়ার সুবিধার জন্য দায়ী।
- নিম্নপ্রান্ত দুটি কন্ডাইল বিশিষ্ট।
- ফিমারের মস্তক শ্রোণিচক্রে অ্যাসিটাবুলামের সাথে যুক্ত থাকে।
- এর প্রান্তে প্যাটেল (Patella) নামক চ্যাপ্টা সিগময়েড অস্থি থাকে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago