মোবাইলের ব্যাটারি চার্জ করার সময় বিদ্যুৎ শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
A
তাপ শক্তি
B
রাসায়নিক শক্তি
C
যান্ত্রিক শক্তি
D
আলোক শক্তি
উত্তরের বিবরণ
বিদ্যুৎ বা তড়িৎ শক্তি (Electrical Energy)
- 
প্রাথমিক গুরুত্ব: 
 বিদ্যুৎ শক্তি সহজেই অন্যান্য শক্তিতে রূপান্তর করা যায় এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরবরাহ করা সবচেয়ে সহজ। তাই বাসা-বাড়িতে প্রথমে তড়িৎ শক্তি সরবরাহ করা হয়।
- 
বিদ্যুৎ শক্তির রূপান্তর উদাহরণ: - 
যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর: - 
বৈদ্যুতিক পাখা, মোটর ইত্যাদিতে তড়িৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। 
- 
চৌম্বক শক্তি ব্যবহার হলেও এটি মূলত বিদ্যুৎ শক্তিরই রূপান্তর। 
 
- 
- 
তাপ শক্তিতে রূপান্তর: - 
বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি বা হিটার। 
 
- 
- 
আলোতে রূপান্তর: - 
বাল্ব, টিউবলাইট, এলইডি। 
 
- 
- 
শব্দ শক্তিতে রূপান্তর: - 
স্পিকার বা হেডফোনে বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। 
 
- 
- 
রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর: - 
মোবাইল বা অন্যান্য ব্যাটারি চার্জ করা হলে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যাটারির মধ্যে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। 
 
- 
 
- 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
রাতের বেলা উদ্ভিদে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয় না?
Created: 1 month ago
A
H2
B
O2
C
N2
D
CO2
উদ্ভিদে গ্যাসীয় বিনিময়: 
- উদ্ভিদের জীবনে সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis) এবং শ্বসন (Respiration) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রক্রিয়া। 
- মূলত এই দুটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদের গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে থাকে, এই প্রক্রিয়া দুটি ঘটে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে। 
- উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার জন্য বায়ু থেকে CO2 গ্রহণ করে এবং O2 ত্যাগ করে, অন্যদিকে শ্বসন প্রক্রিয়ায় জন্য O2 গ্রহণ করে এবং CO2 ত্যাগ করে। 
- উদ্ভিদে প্রাণীর মতো শ্বাস নেওয়ার জন্য কোনো বিশেষ অঙ্গ নেই, তবে পাতার স্টোমাটা ও পরিণত কাণ্ডের বাকলে অবস্থিত লেন্টিসেলের (Lenticel) মাধ্যমে অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্যাসের বিনিময় ঘটে। 
- দিনের বেলা বা পর্যাপ্ত আলোর উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণের হার অধিক হয়। 
- সালোকসংশ্লেষণে উৎপাদিত অক্সিজেন গ্যাসের কিছু অংশ শ্বসন প্রক্রিয়ায় ব্যয় হয়। 
- আবার শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের কিছু অংশ সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহার হয়, তাই আদান-প্রদানকৃত অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ প্রায় সমান।
- রাতের বেলা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার আলোক পর্যায় বন্ধ থাকে, তাই অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয় না। 
- অন্যদিকে দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা শ্বসন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়, ফলে শ্বসন প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উৎপাদন চলতে থাকে। এ জন্য বড় গাছের নিচে রাত্রিবেলা ঘুমালে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। 
- উদ্ভিদ তার পরিবেশ থেকে প্রয়োজনীয় গ্যাস সংগ্রহ করে। 
- উদ্ভিদের পাতা যেরকম বাতাস থেকে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস সংগ্রহ করে, তেমনি মূল মাটি থেকে পানি শোষণ করে। 
- শোষিত সেই পানির সাথে CO2 এর বিক্রিয়ার ফলে O2 গ্যাস উৎপাদন হয়, যা বায়ুমণ্ডলে চলে যায়। এভাবে উদ্ভিদদেহে গ্যাস বিনিময় চলতে থাকে। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রবর্তন করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ম্যাক্স প্লাঙ্ক
B
নিউটন
C
আইনস্টাইন
D
গ্যালিলিও
কোয়ান্টাম তত্ত্ব:
কোয়ান্টাম তত্ত্ব: 
- ১৯০০ সালে ম্যাক্স প্লাঙ্ক আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রস্তাবনা করেন। 
- এই তত্ত্ব অনুসারে শক্তি কোনো উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে বের হয়ে না, বরং ক্ষুদ্র শক্তির প্যাকেট বা গুচ্ছ আকারে নির্গত হয়। 
- প্রতি কম্পাঙ্কের (রঙের আলোর) জন্য এই শক্তি প্যাকেটের একটি সর্বনিম্ন মান নির্দিষ্ট থাকে। এই সর্বনিম্ন শক্তি সম্পন্ন কণিকার নাম কোয়ান্টাম বা ফোটন। 
- প্লাঙ্কের মতে, কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ আলাদা আলাদা বা গুচ্ছ আকারে সংঘটিত হয়। 
- ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন, যার ফলে আলোর কণা তত্ত্ব পুনর্জীবিত হয়। 
- এই তত্ত্ব অনুসারে শক্তি কোনো উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে বের হয়ে না, বরং ক্ষুদ্র শক্তির প্যাকেট বা গুচ্ছ আকারে নির্গত হয়।
- প্রতি কম্পাঙ্কের (রঙের আলোর) জন্য এই শক্তি প্যাকেটের একটি সর্বনিম্ন মান নির্দিষ্ট থাকে। এই সর্বনিম্ন শক্তি সম্পন্ন কণিকার নাম কোয়ান্টাম বা ফোটন।
- প্লাঙ্কের মতে, কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ আলাদা আলাদা বা গুচ্ছ আকারে সংঘটিত হয়।
- ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন, যার ফলে আলোর কণা তত্ত্ব পুনর্জীবিত হয়।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
ব্যাপন প্রক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
চাকার বাতাস বেরিয়ে যাওয়া
B
রিক্সার চাকা ছিদ্র হওয়া
C
গ্যাস ভর্তি বেলুন ফেটে যাওয়া
D
অ্যারোসলের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া
ব্যাপন (Diffusion) ও নিঃসরণ (Effusion):
ব্যাপন (Diffusion):
- 
সংজ্ঞা: 
 অসম ঘনত্ব বিশিষ্ট একটি গ্যাস বা তরল স্বতঃস্ফূর্তভাবে অপর গ্যাস বা তরলের মধ্যে প্রবেশ করলে যাকে ব্যাপন বলা হয়।
- 
লক্ষণীয় দিক: - 
এটি স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া। 
- 
উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চল থেকে নিম্ন ঘনত্বের অঞ্চলে ঘটে। 
 
- 
- 
উদাহরণ: - 
ঘরে এয়ার ফ্রেশনার ছড়ালে তার গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়া। 
- 
রাতের বেলা ঘরের কোনে ফুল ফুটলে তার সুগন্ধ ছড়িয়ে যাওয়া। 
- 
ছাতিমের ফুলের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়া। 
- 
মশা বা পিঁপড়া মারার অ্যারোসলের গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়া। 
 
- 
নিঃসরণ (Effusion):
- 
সংজ্ঞা: 
 কোনো উপাদান নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়, বাহ্যিক চাপ প্রভাবে, পাত্রের সূক্ষ্ম ছিদ্রপথ দিয়ে উচ্চ চাপ অঞ্চল থেকে নিম্ন চাপ অঞ্চলে একমুখী বের হলে তাকে নিঃসরণ বলা হয়।
- 
লক্ষণীয় দিক: - 
এটি একমুখী, চাপের প্রভাবে ঘটে। 
- 
ব্যাপনের মতো স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং চাপের পার্থক্য প্রয়োজন। 
 
- 
- 
উদাহরণ: - 
রিক্সার টিউবের ছিদ্র দিয়ে বাতাস বের হওয়া। 
- 
চাকা ফেটে টিউবের ভিতরের বাতাস বের হওয়া। 
- 
পাইপলাইনের ছিদ্র দিয়ে গ্যাস বের হওয়া। 
 
- 
পার্থক্য সংক্ষেপে:
| বৈশিষ্ট্য | ব্যাপন (Diffusion) | নিঃসরণ (Effusion) | 
|---|---|---|
| প্রক্রিয়া | স্বতঃস্ফূর্ত | চাপের প্রভাবে একমুখী | 
| দিক | উচ্চ ঘনত্ব → নিম্ন ঘনত্ব | উচ্চ চাপ → নিম্ন চাপ | 
| উদাহরণ | গন্ধ ছড়ানো | টিউবের বাতাস বের হওয়া | 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago