মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের জন্য কয়জনকে সর্বোচ্চ সম্মান 'বীরশ্রেষ্ঠ' খেতাব দেয়া হয়?
A
৯ জন
B
৭ জন
C
৮ জন
D
১০ জন
উত্তরের বিবরণ
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা, দেশপ্রেম ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি শ্রেণিতে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এই খেতাব প্রদান করেন।
চারটি বীরত্বসূচক খেতাব ছিল নিম্নরূপ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ (সর্বোচ্চ খেতাব) – ৭ জন
-
বীর উত্তম (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব) – ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম (তৃতীয় সর্বোচ্চ খেতাব) – ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক (চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব) – ৪২৬ জন
মোট সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল: ৬৭৬ জন
খেতাব বাতিল ও হালনাগাদ তথ্য
২০২১ সালের ৬ জুন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজন খেতাবপ্রাপ্ত ব্যক্তির খেতাব বাতিল করা হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে মোট খেতাবপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৬৭২ জনে।
হালনাগাদ খেতাবধারীদের পরিসংখ্যান:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – ৭ জন (অপরিবর্তিত)
-
বীর উত্তম – ৬৭ জন
-
বীর বিক্রম – ১৭৪ জন
-
বীর প্রতীক – ৪২৪ জন
তথ্যসূত্র:
-
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
কে বীরশ্রেষ্ঠ নন?
Created: 1 week ago
A
হামিদুর রহমান
B
মোস্তফা কামাল
C
মুন্সী আব্দুর রহিম
D
নুর মােহাম্মদ শেখ
বঙ্গবন্ধু সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৭৩ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অসাধারণ বীরত্ব দেখানো সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে দেশের সর্বোচ্চ বীরত্ব সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাব দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
এদের মধ্যে:
-
সেনাবাহিনী: ৩ জন
-
নৌবাহিনী: ১ জন
-
বিমান বাহিনী: ১ জন
-
সাবেক ইলেকট্রিক্যাল পুলিশ রেজিমেন্ট (ই. পি. আর.): ২ জন
বীরশ্রেষ্ঠদের নাম ও পদবী:
-
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর – সেনাবাহিনী
-
সিপাহী মোস্তফা কামাল – সেনাবাহিনী
-
সিপাহী হামিদুর রহমান – সেনাবাহিনী
-
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন – নৌবাহিনী
-
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান – বিমান বাহিনী
-
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ – সাবেক ই. পি. আর.
-
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ – সাবেক ই. পি. আর.
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
উল্লেখ্য, মুন্সী আব্দুর রহিম নামে কোনো বীরশ্রেষ্ঠ ছিলেন না।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন -
Created: 3 weeks ago
A
মেজর রফিকুল ইসলাম
B
মেজর মীর শওকত আলী
C
মেজর খালেদ মোশাররফ
D
মেজর নাজমুল হক
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও কমান্ডারগণ
-
১ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
৩ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর কে.এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
-
৪ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত, পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫ নং সেক্টর: মেজর মীর শওকত আলী।
-
৬ নং সেক্টর: উইং কমান্ডার এম. খাদেমুল বাশার।
-
৭ নং সেক্টর: মেজর নাজমুল হক; পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
-
৮ নং সেক্টর: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী; পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর।
-
৯ নং সেক্টর: মেজর এম.এ জলিল; পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
১০ নং সেক্টর: নৌ-কমান্ডো বাহিনী নিয়ে গঠিত; নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।
-
১১ নং সেক্টর: মেজর এম. আবু তাহের; গুরুতর আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ দায়িত্ব পান।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago
পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গৃহীত ও প্রবর্তিত হয় কত সালে?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
পাকিস্তান
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
পাকিস্তানের ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র
-
পাকিস্তান সৃষ্টির দীর্ঘ ৯ বছর পর শাসনতন্ত্র বিশেষজ্ঞগণ প্রথম শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করেন।
-
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গৃহীত ও প্রবর্তিত হয়।
-
এটি ছিল পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র।
-
১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদ পাকিস্তানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ধরনের শাসনতন্ত্র গ্রহণ করে।
-
১৯৫৬ সালের ২ মার্চ গভর্নর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা শাসনতন্ত্র বিলে সম্মতি দেন।
-
মোট ১০৫ পৃষ্ঠার এ শাসনতন্ত্রে একটি প্রস্তাবনা, ১৩টি অংশ, ২৩৪টি বিধি এবং ৬টি তালিকা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ছাড়াও প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থার উল্লেখ ছিল।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 weeks ago