নির্বাচনের ক্ষেত্রে 'পিআর' পদ্ধতির সুবিধা হচ্ছে -
A
শক্তিশালী একদলীয় শাসন গঠন করে
B
ছোট দলগুলির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে
C
নির্বাচনী খরচ কমায়
D
দ্রুত সরকার গঠনে সাহায্য করে
উত্তরের বিবরণ
নির্বাচনের ক্ষেত্রে পিআর বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি ছোট দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার কারণে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে। এ ব্যবস্থায় প্রতিটি ভোটের মূল্য থাকে এবং জনগণের প্রকৃত রায় সংসদে প্রতিফলিত হয়।
-
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি হলো এমন একটি নির্বাচনি ব্যবস্থা যেখানে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদে আসন বণ্টন করা হয়।
-
এ ব্যবস্থায় একটি নির্বাচনে দেওয়া প্রত্যেকটি ভোট কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং সংসদে সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব করে।
-
ভোটের সংখ্যা ও শতাংশের ভিত্তিতে আসন বণ্টন হয়। যেমন— কোনো দল যদি ১০% ভোট পায়, তবে সংসদে তাদের আসনও প্রায় ১০% হারে নির্ধারিত হবে।
-
ভোটের আগে প্রতিটি দল ক্রমানুসারে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে, আর নির্বাচনে পাওয়া ভোটের হার অনুসারে সেই তালিকা থেকে প্রার্থীরা সংসদে নির্বাচিত হন।
পিআর পদ্ধতির ধরন
১. মুক্ত তালিকা পদ্ধতি: ভোটের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে আসন বণ্টন করা হয়।
২. বদ্ধ তালিকা পদ্ধতি: রাজনৈতিক দল পূর্বনির্ধারিতভাবে ঠিক করে দেয় কারা সংসদ সদস্য হবেন।
৩. মিশ্র পদ্ধতি: কিছু আসনে সরাসরি প্রতীকভিত্তিক নির্বাচন হয়, আবার কিছু আসনে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশসহ বহু দেশে বর্তমানে প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতি হলো ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট (FPTP), যেখানে যে দল বেশি আসনে জয়লাভ করে, তারাই সরকার গঠন করে। এখানে মোট ভোটের শতাংশ বিবেচনা করা হয় না।
বর্তমান বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো ৩০০টি আসনে পৃথক প্রার্থী দিয়ে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

0
Updated: 10 hours ago
বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
৭ মার্চ ১৯৭৩
B
১৭ মার্চ ১৯৭৩
C
২৭ মার্চ ১৯৭৩
D
৭ মার্চ ১৯৭৪
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন
তারিখ: ৭ মার্চ ১৯৭৩।
উদ্দেশ্য: স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
গণপরিষদের অবসান: বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর গণপরিষদ ভেঙ্গে দেয়া হয়।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল: আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য ১৪টি দল।
প্রার্থীর সংখ্যা:মোট প্রার্থী: ১,২০৯ জন।
দলীয় প্রার্থী: ১,০৮৯ জন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী: ১২০ জন।
নারী প্রার্থী: ১৫ জন।
নির্বাচনী ফলাফল:
আওয়ামী লীগ: ৩০৮টি আসন (সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ)।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ): ১টি আসন।
বাংলাদেশ জাতীয় লীগ: ১টি আসন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী: ৫টি আসন।
জাতীয় সংসদ আসন সংখ্যা (মহিলা সংরক্ষিত আসনসহ): ৩১৫টি।
উল্লেখ্য,
১৯৭৩ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুটি আসন হারায়। তবে সেই সময় জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১৫টি আসনের সবগুলোই লাভ করে আওয়ামী লীগ। এর ফলে সংসদে মোট ৩১৫টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আসনসংখ্যা ছিল ৩০৬।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম আলো।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কখন?
Created: 1 month ago
A
১৯৮৫ সালে
B
১৯৯০ সালে
C
২০০০ সালে
D
১৯৮০ সালে
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন:
- ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
- এই সময় ৪৬০টি উপজেলায় এই নির্বাচন হয়।
- ১৯৯০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
- তখন ৪৬০টি উপজেলায় এই নির্বাচন হয়।
- ২০০৯ সালে তৃতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
- তখন বছর ৪৭৫টি উপজেলায় এই নির্বাচন হয়।
- ২০১৪ সালে চতুর্থবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়।
- পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয় ২০২৯ সালে।
- ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয় ২০২৪ সালে।

0
Updated: 1 month ago
পরপর কতটি সাধারণ নির্বাচনে অংশ না নিলে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হতে পারে?
Created: 3 weeks ago
A
১টি
B
২টি
C
৩টি
D
৪টি
নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, পরপর দুটি সাধারণ নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিল হতে পারে।
• রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল
-
২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাচনী আইন সংস্কার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়।
-
নিবন্ধন সংক্রান্ত অযোগ্যতার বিষয়সমূহও আইনে নির্ধারিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
দলের গঠনতন্ত্রের উদ্দেশ্যাবলি বাংলাদেশ সংবিধানের জাতীয় উদ্দেশ্যাবলির সাথে সংঘাতপূর্ণ হবে না।
-
দলীয় গঠনতন্ত্রে ধর্ম, জাতি, গোত্র, ভাষা অথবা লিঙ্গ বিষয়ক কোনো অসমতা থাকবে না।
-
কোনো রাজনৈতিক দল অন্য কোনো নিবন্ধিত দলের নাম ব্যবহার করতে পারবে না।
-
সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো দলকে নিবন্ধিত করা যাবে না।
-
• নিবন্ধন বাতিলের কারণসমূহ
-
কোনো নামে অভিহিত রাজনৈতিক দল ওই দলকে বিলোপ করে এ সংক্রান্ত লিখিত সিদ্ধান্ত দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরসহ কমিশনে পেশ করলে। (সমপর্যায়ের কোনো নেতার স্বাক্ষরও গ্রহণযোগ্য)
-
সরকার সংশ্লিষ্ট দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে।
-
কয়েক বছর পর্যন্ত দলটি নির্দিষ্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হলে।
-
পরপর দুই নির্বাচনে দলটি অংশগ্রহণে ব্যর্থ হলে।
-
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধান অনুযায়ী, কোনো দল যদি পরপর তিন বছর তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয়, তবে তার নিবন্ধন বাতিল হবে।
সূত্র:
-
নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট
-
BBC রিপোর্ট

0
Updated: 3 weeks ago