বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) ধারায় বলা হয়েছে ''সকল সময়ে ____ চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।'' শূন্যস্থান পূরণ করুন।
A
জনগণের সেবা করিবার
B
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
C
সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
D
সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে নাগরিক এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কর্তব্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ দুটি উপ-অনুচ্ছেদের মাধ্যমে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
২১ (১) অনুচ্ছেদ:
প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সংবিধান ও আইন মেনে চলা একটি বাধ্যতামূলক দায়িত্ব। এছাড়াও, শৃঙ্খলা রক্ষা, নাগরিক দায়বদ্ধতা পালন এবং জাতীয় সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করাও নাগরিকদের নৈতিক ও আইনগত কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।
◉ ২১ (২) অনুচ্ছেদ:
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিরা—যেমন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা—সব সময় জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকার চেষ্টা করবেন। জনগণের কল্যাণ সাধনই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
এই ধারাগুলোতে নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্বশীলতা, আইন মেনে চলা এবং সেবার মানসিকতা বজায় রাখার গুরুত্ব অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
উৎস: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 4 months ago
বাংলাদেশ সংবিধানে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি কোন অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছে?
Created: 3 months ago
A
১১০
B
১১৫
C
১১৭
D
১২০
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল
বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদের ১ম ও ২য় দফা অনুযায়ী, সরকার চাইলে নির্দিষ্ট প্রশাসনিক বিষয়ে বিচার করার জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারে।
বিচারবিভাগ:
সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগে বিচারব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। এতে মোট তিনটি পরিচ্ছেদ রয়েছে:
-
সুপ্রীম কোর্ট (অনুচ্ছেদ ৯৪ থেকে ১১৩ পর্যন্ত)
-
অধস্তন আদালত (অনুচ্ছেদ ১১৪ থেকে ১১৬ পর্যন্ত)
-
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (অনুচ্ছেদ ১১৭)
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ১১০: অধস্তন আদালত থেকে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা স্থানান্তর করা যেতে পারে।
-
অনুচ্ছেদ ১১৫: অধস্তন আদালতের বিচারক নিয়োগের নিয়ম।
-
অনুচ্ছেদ ১২০: নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ কর্মচারীদের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ''কোর্ট অব্ রেকর্ড'' হিসাবে গণ্য—
Created: 4 weeks ago
A
লেবার কোর্ট
B
জজ কোর্ট
C
হাই কোর্ট
D
সুপ্রীম কোর্ট
বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি রাষ্ট্রের মূল আইন। এখানে সংবিধানের কাঠামো ও বিচারবিভাগ সংক্রান্ত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান মোট ১১টি ভাগে বিভক্ত এবং এতে রয়েছে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ।
-
সংবিধানে রয়েছে ৭টি তফসিল, ১টি প্রস্তাবনা এবং ৪টি মূলনীতি।
সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগ বা অধ্যায়-এ বিচারবিভাগের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভাগে মোট ৩টি পরিচ্ছেদ রয়েছে। যথা:
-
১ম পরিচ্ছেদ: সুপ্রীম কোর্ট (অনুচ্ছেদ ৯৪–১১৩)
-
২য় পরিচ্ছেদ: অধস্তন আদালত (অনুচ্ছেদ ১১৪–১১৬)
-
৩য় পরিচ্ছেদ: প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (অনুচ্ছেদ ১১৭)
ষষ্ঠ ভাগের প্রথম পরিচ্ছেদে সুপ্রীম কোর্টের গঠন, বিচারপতি নিয়োগ, দায়িত্ব এবং কার্যাবলি বর্ণনা করা হয়েছে।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৮ অনুযায়ী:
-
Supreme Court is a "Court of Record" অর্থাৎ সুপ্রীম কোর্টকে "কোর্ট অব রেকর্ড" বলা হয়েছে।
-
এর মানে হলো সুপ্রীম কোর্টের ক্ষমতা থাকবে নিজস্ব রেকর্ড সংরক্ষণ, Contempt of Court বা অবমাননার জন্য তদন্ত করা ও শাস্তি প্রদান করা, এবং আইন অনুযায়ী অনুরূপ আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করা।
0
Updated: 4 weeks ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান মতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের মেয়াদকাল-
Created: 1 month ago
A
৩ বছর
B
৪ বছর
C
৫ বছর
D
৬ বছর
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী (সপ্তম ভাগ, অনুচ্ছেদ ১১৮) দেশটির নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা হলো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
-
কমিশনের প্রধানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলা হয়।
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ চারজন নির্বাচন কমিশনার থাকেন।
-
একাধিক কমিশনার থাকলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
সংবিধান অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের মেয়াদ ৫ বছর, যা তাদের দায়িত্ব নেওয়ার তারিখ থেকে গণ্য হবে।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago