১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে শহিদ হয়েছিলেন কোন সাহিত্যিক?
A
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
B
জহির রায়হান
C
মুনীর চৌধুরী
D
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো: মুনীর চৌধুরী
অন্যান্য অপশনের বিশ্লেষণ:
- 
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়: তিনি ১৯৫৬ সালে মারা যান, তাই ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই। 
- 
জহির রায়হান: তিনি ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি নিখোঁজ হন (সম্ভবত নিহত), কিন্তু ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ডে নয়। 
- 
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী: তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবিত ছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মারা যান। 
মুনীর চৌধুরীর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, অনুবাদক এবং সাহিত্যসমালোচক। তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল নোয়াখালী জেলায়। বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি গভীর ভূমিকা রেখেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
- 
জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ। 
- 
পৈতৃক নিবাস: নোয়াখালী জেলা। 
- 
ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের কারণে তিনি কারাবন্দী হন। জেলখানায় থেকেই ১৯৫৩ সালে তিনি তাঁর বিখ্যাত নাটক “কবর” রচনা করেন। 
- 
বাংলা টাইপরাইটার উদ্ভাবন: ১৯৬৫ সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে তিনি “মুনীর অপ্টিমা” নামের একটি বাংলা টাইপরাইটার কী-বোর্ড তৈরি করেন। 
- 
মৃত্যু: ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর হাতে অপহৃত ও হত্যাকাণ্ডে শহিদ হন। 
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটক
- 
কবর (১৯৫৩) — ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত। 
- 
রক্তাক্ত প্রান্তর — পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অবলম্বনে। 
- 
মানুষ — ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে। 
- 
নষ্ট ছেলে — রাজনৈতিক চেতনাসমৃদ্ধ নাটক। 
- 
পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য — রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে। 
- 
দণ্ডকারণ্য — তিনটি নাটকের সমন্বয়ে রচিত। 
- 
রাজার জন্মদিন — সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত এক অভিনব নাটক। 
অনুবাদ নাটক
- 
কেউ কিছু বলতে পারে না (১৯৬৯) — জর্জ বার্নার্ড শ’র You Never Can Tell অবলম্বনে। 
- 
রূপার কৌটা (১৯৬৯) — জন গলজ্ওয়র্দির The Silver Box অবলম্বনে। 
- 
মুখরা রমণী বশীকরণ (১৯৭০) — উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের Taming of the Shrew অবলম্বনে। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
‘বীনাপানি’ কোন সমাস?
Created: 2 months ago
A
অব্যয়ীভাব
B
কর্মধারয়
C
বহুব্রীহি
D
তৎপুরুষ
যে বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদের দুটিই বিশেষ্যপদ হয়, তাকে বলে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস। যেমন - বীণা পানিতে যার = বীণাপাণি আশীতে (দাঁতে) বিষ যার = আশীবিষ।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
'আ' উচ্চারণের সময়ে ঠোঁটের উন্মুক্তি কেমন?
Created: 1 month ago
A
অর্ধ-সংবৃত
B
বিবৃত
C
অর্ধ-বিবৃত
D
সংবৃত
বাংলা ভাষায় স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটুকু খোলা বা বন্ধ থাকে, তার ভিত্তিতে স্বরধ্বনি চার ভাগে বিভক্ত করা হয়।
- 
সংবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট কম খোলে। 
 উদাহরণ: [ই], [উ]
- 
অর্ধ-সংবৃত স্বরধ্বনি: 
 উদাহরণ: [এ], [ও]
- 
অর্ধ-বিবৃত স্বরধ্বনি: 
 উদাহরণ: [অ্যা], [অ]
- 
বিবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট বেশি খোলে। 
 উদাহরণ: [আ]
উৎস:
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
"মনমাঝি" শব্দটি কোন সমাস?
Created: 2 weeks ago
A
উপমান কর্মধারয়
B
উপমিত কর্মধারয়
C
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
D
রূপক কর্মধারয়
রূপক কর্মধারয় সমাস এমন এক ধরনের সমাস যেখানে উপমেয় পদের সঙ্গে উপমান পদের অভেদ কল্পনা করা হয়। অর্থাৎ, তুলনার মাধ্যমে দুটি বস্তুকে এক করে দেখা হয়। এই কারণে একে রূপক কর্মধারয় বলা হয়। এতে তুলনাটি সরাসরি নয়, বরং কল্পনানির্ভর ও অর্থগভীর হয়।
- 
রূপক কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ: - 
বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু 
- 
মন রূপ মাঝি = মনমাঝি 
 
- 
অন্যদিকে, কর্মধারয় সমাসের আরও কিছু বিশেষ প্রকার রয়েছে, যেগুলোর গঠন ও অর্থে পার্থক্য দেখা যায়।
- 
উপমান কর্মধারয় সমাস: 
 যার সঙ্গে তুলনা করা হয়, সেই পদকে উপমান বলে। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমান পদের সঙ্গে গুণবাচক শব্দের সমাস ঘটে, একে উপমান কর্মধারয় বলে।
 উদাহরণ: কাজলের মতো কালো = কাজলকালো
- 
উপমিত কর্মধারয় সমাস: 
 যাকে তুলনা করা হয়, তাকে উপমেয় বলে। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমেয় পদের সঙ্গে উপমান পদের সমাস ঘটে, একে উপমিত কর্মধারয় বলা হয়।
 উদাহরণ: পুরুষ সিংহের ন্যায় = সিংহপুরুষ
- 
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস: 
 কিছু কর্মধারয় সমাসে সমস্যমান পদের মধ্যবর্তী এক বা একাধিক পদ লোপ পায়, অর্থাৎ বাদ পড়ে যায়। একে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।
 উদাহরণ: ঘি মাখানো ভাত = ঘিভাত
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago