ব্লুটুথ কোন ধরনের নেটওয়ার্কের উদাহরণ?
A
WAN
B
LAN
C
MAN
D
PAN
উত্তরের বিবরণ
ব্লুটুথ হচ্ছে পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN) এর একটি উদাহরণ। পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক মূলত স্বল্প পরিসরে ব্যবহৃত একটি নেটওয়ার্ক, যা ব্যক্তিগত পর্যায়ে ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগ নিশ্চিত করে। নিচে এর বৈশিষ্ট্য ও অন্যান্য নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হলো।
- 
পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN): - 
ব্যক্তিগত পর্যায়ে নেটওয়ার্ক তৈরির পদ্ধতিকে বলা হয় PAN। 
- 
এটি পার্সোনাল কম্পিউটার ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। 
- 
খরচ তুলনামূলক কম হয়। 
- 
দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। 
- 
এ ধরনের নেটওয়ার্ক যে কোনো জায়গায় তৈরি করা যায়। 
- 
এর ব্যাপ্তি সাধারণত ১০ মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। 
- 
উদাহরণ: ব্লুটুথ। 
 
- 
- 
নেটওয়ার্কের ধরন: কাজ ও গঠন অনুসারে নেটওয়ার্ক চার ভাগে বিভক্ত। 
 ১। পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN)
 ২। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN)
 ৩। মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN)
 ৪। ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN)
- 
ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN): - 
বিশাল ভৌগলিক এলাকায় একাধিক LAN বা MAN নিয়ে গঠিত হয়। 
- 
এটি সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। 
- 
টেলিফোন লাইন বা স্যাটেলাইট ব্যবহৃত হয়। 
- 
গেটওয়ের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করা হয়। 
- 
উদাহরণ: ইন্টারনেট, ই-মেইল। 
 
- 
- 
লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN): - 
কাছাকাছি অবস্থিত একাধিক কম্পিউটার ও যন্ত্রপাতির মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। 
- 
ছোট পরিসরে ব্যবহৃত হয়। 
- 
একাধিক ডিভাইস একসঙ্গে যুক্ত থাকে। 
- 
রিপিটার, হাব, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড (NIC) ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। 
- 
দ্রুতগতির ডেটা ট্রান্সফার সম্ভব। 
- 
উদাহরণ: অফিস, স্কুলের কম্পিউটার ল্যাব, বাড়ির নেটওয়ার্ক। 
 
- 
- 
মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN): - 
LAN এর তুলনায় বৃহৎ এলাকায় গঠিত হয়। 
- 
একটি শহর বা কয়েকটি শহরের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। 
- 
উচ্চ গতির ডেটা আদান-প্রদান সম্ভব। 
- 
সাধারণত টেলিফোন কোম্পানির ক্যাবল বা নিজস্ব ক্যাবল ব্যবহার করা হয়। 
- 
উদাহরণ: ঢাকা শহরের বিভিন্ন অফিসে সংযুক্ত নেটওয়ার্ক। 
 
- 
এই নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্র ও পরিসর ভিন্ন হলেও মূল উদ্দেশ্য হলো কার্যকর যোগাযোগ ও ডেটা আদান-প্রদান নিশ্চিত করা।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
WWW-তে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কোন প্রটোকল ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
WTP
B
UDP
C
HTTP
D
IMAP
সাধারণ জ্ঞান
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (World Wide Web - WWW)
তথ্য প্রযুক্তির ধারণা (Information Technology - IT)
WWW বা World Wide Web হলো এমন একটি বিস্তৃত তথ্য ব্যবস্থা যেখানে একাধিক ওয়েব সার্ভার ও ওয়েব পেজ একত্রিত হয়ে ব্যবহারকারীদের তথ্য সরবরাহ করে। এখানে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য HTTP (Hyper Text Transfer Protocol) ব্যবহৃত হয়।
- 
এটি একটি বৃহৎ সিস্টেম, যা বহু সার্ভার (ওয়েব সার্ভার) সংযুক্ত হয়ে গঠিত হয়। 
- 
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের যেকোনো ধরনের তথ্য প্রদান করতে সক্ষম। 
- 
টিম বার্নার্স-লী (Tim Berners-Lee) কে ওয়েবের জনক বলা হয়। 
- 
তিনি ১৯৮৯ সালে এই ওয়েব ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেন। 
- 
এটি মূলত সুইজারল্যান্ডের গবেষকদের মাধ্যমে তৈরি একটি হাইপারটেক্সট ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড ইনফরমেশন সিস্টেম। 
- 
WWW অনেকগুলো ওয়েব সার্ভার ও ওয়েব পেজ নিয়ে গঠিত একটি বিস্তৃত তথ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা। 
- 
এর বৈশিষ্ট্য হলো বিশেষ যোগাযোগ ভাষা HTTP (Hyper Text Transfer Protocol) ব্যবহার। 
- 
HTTP হলো এমন একটি প্রটোকল যা ইন্টারনেটে TCP/IP প্রটোকলের মাধ্যমে ওয়েব সার্ভার ও ওয়েব ক্লায়েন্টের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে। 
WWW ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ সহজে ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে যেকোনো তথ্য অনুসন্ধান, দেখা এবং শেয়ার করতে পারে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
Facebook কোন কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 month ago
A
Meta Platforms
B
IBM
C
Apple
D
Microsoft
Facebook বর্তমানে Meta Platforms কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত। এটি একটি জনপ্রিয় মার্কিন অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নেটওয়ার্ক পরিষেবা, যা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় সোশ্যাল নেটওয়ার্ক হিসেবে পরিচিত।
- 
Facebook হলো একটি মার্কিন অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, যা Meta Platforms-এর অধীনে পরিচালিত হয়। 
- 
এটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। 
- 
এর সদরদপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের Menlo Park, California-তে অবস্থিত। 
• প্রতিষ্ঠাতারা
- 
Mark Zuckerberg 
- 
Eduardo Saverin 
- 
Dustin Moskovitz 
- 
Chris Hughes 
• বিশেষ তথ্য
- 
Facebook বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক নেটওয়ার্ক। 
- 
২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী এর ব্যবহারকারী প্রায় তিন বিলিয়ন। 
- 
প্রতিদিন গড়ে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ব্যবহারকারী সক্রিয় থাকে। 
উৎস:
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
কোনটি নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি?
Created: 1 month ago
A
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
B
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি
C
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি
D
ট্যালি সংখ্যা পদ্ধতি
ট্যালি সংখ্যা পদ্ধতি হলো একটি নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি। নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার স্থানীয় মান নির্ভর করে না, বরং কেবলমাত্র সংখ্যার নিজস্ব মান দ্বারা তা প্রকাশিত হয়।
- 
নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি এমন এক ধরনের পদ্ধতি, যেখানে সংখ্যার কোনো স্থানীয় মান থাকে না, অর্থাৎ প্রতীকটির অবস্থান পরিবর্তিত হলেও তার মান অপরিবর্তিত থাকে। 
- 
এ ধরনের পদ্ধতিতে হাতিয়ার, পশুপাখি, জীবজন্তুর ছবি, গাছ, ফুল বা ফলের মতো বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করা হতো। 
- 
এই সংখ্যা পদ্ধতিতে জটিল গাণিতিক কাজ সম্পাদন করা কঠিন। 
- 
প্রাচীন যুগে ব্যবহৃত হায়ারোগ্লিফিক্স, মেয়ান সংখ্যা পদ্ধতি এবং ট্যালি সংখ্যা পদ্ধতি হলো নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতির উদাহরণ। 
অন্যদিকে, পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি হলো সেই পদ্ধতি যেখানে সংখ্যার স্থানীয় মান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি সংখ্যার মান নির্ধারণ করে।
- 
পজিশনাল পদ্ধতিতে ডিজিট ব্যবহার করে সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। 
- 
এর উদাহরণ হলো বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি, দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি এবং হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি। 
উৎস:
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago