পুলিশ ঘটনার তদন্তে _________ খোঁজখবর নিল।
A
পুঙ্খানূপুঙ্খ
B
পুঙ্খানুপুঙ্খ
C
পুঙ্খানুপূঙ্খ
D
পুঙ্খানূপূঙ্খ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
• শুদ্ধ বানান - পুঙ্খানুপুঙ্খ।
- শব্দটি বিশেষণ।
- এটি সংস্কৃত শব্দ।
- অর্থ: তন্নতন্ন, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম।

0
Updated: 12 hours ago
সাধুভাষা’ পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেন–
Created: 1 week ago
A
রাজা মনি মোহন রায়
B
ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর
C
রাজা রামমোহন রায়
D
অক্ষয় কুমার দত্ত
‘সাধুভাষা’ পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেন রাজা রামমোহন রায়। বাংলার আদি গদ্যরূপকে তিনি ‘সাধুভাষা’ নামে আখ্যায়িত করেছিলেন। এই সাধুভাষা পরবর্তীকালে দীর্ঘদিন বাংলার গদ্যের প্রধান রূপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি বিসর্গ সন্ধি সাধিত শব্দ?
Created: 2 days ago
A
সম্মান
B
নিশ্চয়
C
ষষ্ঠ
D
সন্তাপ
বিসর্গসন্ধি
সংজ্ঞা:
বিসর্গসন্ধি হলো সেই সন্ধি যেখানে শব্দের শেষে থাকা বিসর্গ (ঃ) বিভিন্ন প্রভাবে পরিবর্তিত হয় বা অপরিবর্তিত থাকে।
বিসর্গের প্রধান পরিবর্তন:
-
বিসর্গ বিদ্যমান থাকে:
-
মনঃ + কষ্ট = মনঃকষ্ট
-
অধঃ + পতন = অধঃপতন
-
বয়ঃ + সন্ধি = বয়ঃসন্ধি
-
-
বিসর্গ ‘ও’তে রূপান্তরিত হয়:
-
মনঃ + যোগ = মনোযোগ
-
তিরঃ + ধান = তিরোধান
-
তপঃ + বন = তপোবন
-
-
বিসর্গ ‘র্’ হয়:
-
নিঃ + আকার = নিরাকার
-
পুনঃ + মিলন = পুনর্মিলন
-
আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ
-
-
বিসর্গ শ/ষ/স্ হয়:
-
নিঃ + চয় = নিঃচয় / নিশ্চয়
-
দুঃ + কর = দুষ্কর
-
পুরঃ + কার = পুরস্কার
-
-
পূর্ববর্তী স্বর দীর্ঘ হয়:
-
নিঃ + রব = নীরব
-
নিঃ + রস = নীরস
-
নিঃ + রোগ = নীরোগ
-

0
Updated: 2 days ago
'রুখের তেন্তুলি কুমীরে খাই’--এর অর্থ কী?
Created: 23 hours ago
A
তেজি কুমিরকে রুখে দিই
B
বৃক্ষের শাখায় পাকা তেঁতুল
C
গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়
D
ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হয়
চর্যাগীতির মধ্যে কিছু গান কাব্যিক এবং তান্ত্রিক দিক নির্দেশ করে। কুক্কুরীপার রচিত চর্যাগীতি এই ধারার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। তাঁর রচনাগুলোতে সমাজ, দৈনন্দিন জীবন এবং আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা একসাথে ফুটে ওঠে।
কুক্কুরীপা সম্পর্কিত তথ্য:
-
কুক্কুরীপা চর্যাগীতির তিনটি গান রচয়িতা (২, ২০, ৪৮ নম্বর)।
-
৪৮ সংখ্যক গানের একটি পুথি বর্তমানে লুপ্ত।
-
তিনি উচ্চবংশীয় ছিলেন বলে ধারণা করা হয়; তাঁর চর্যার ভাষা এ কথা নির্দেশ করে।
-
কুক্কুরীপা তান্ত্রিক নাম বা ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন; নামের সঙ্গে 'পা' যুক্ত থাকায় কেউ কেউ এটিকে গুরুপ্রতি শ্রদ্ধাসূচক ছদ্মনাম মনে করেন।
-
তারানাথের মতে, তাঁর সঙ্গে সবসময় একটি কুক্কুরী থাকত, এ থেকেই নামকরণ হয়েছে কুক্কুরীপা।
-
ধারণা করা হয়, তিনি বাংলার উত্তরখণ্ডের অধিবাসী ছিলেন। হিন্দিভাষীরা তাঁকে কপিলাবস্তু বা বুদ্ধের জন্মস্থান নেপালের লোক বলেছেন।
-
সংস্কৃত রচনা ‘মহামায়াসাধন’-এর রচয়িতা হিসেবে কুক্কুরীপার নাম পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যায় তিনি মহামায়ার উপাসক ছিলেন।
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে, কুক্কুরীপা ৭৪০–৮২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন। ধারণা করা হয়, ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ধর্মপালের শাসনামলে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
যোগভাবনাপ্রদেশ
-
স্রবপরিচ্ছদ
-
কুক্কুরীপার চর্যারপদসমূহ (মূল চর্যা ও আধুনিক গদ্যে অনুবাদ):
১. দুলি দুহি পীঢ়া' ধরণ ন জাই। রুখের তেন্তলি কুম্ভীরে খাই'।
-
মাদি কচ্ছপ দোহন করে দুগ্ধ-পাত্রে, দুধ ধরানো গেল না। গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়।
২. আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী। কানেট চোরে নিল অধরাতী। -
ওগো প্রসূতি, ঘরের কাছে আঙিনা। অর্ধরাতে চোর কানপাশা নিয়ে গেল।
৩. সসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগই'। কানেট চোরে নিল কা গই মাগই। -
শ্বশুর নিদ্রা গেল, বধূ রইল জেগে। কানপাশা চোরে নিলে কার কাছে মাগা যায়?
৪. দিবসহি' বহুড়ী কাউহি' ডর' ভাই'। রাতি ভইলে কামরু জাই। -
দিনে বধূ কাকের ভয়ে ভীত হয়। রাত হলে কামরাজ্যে বা কামরূপে যায়।
৫. অইসনী” চর্যা কুকুরীপাত্র গাইল"। কোড়ি মাঝে একু হিঅহি" সমাইল। -
এমন চর্যা কুক্কুরীপা গাইলেন। কোটির মধ্যে একের চিত্তে তা প্রবেশ করল।

0
Updated: 23 hours ago