"চৌকা > চৌকো" - কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন?
A
প্রগত স্বরসঙ্গতি
B
পরাগত স্বরসঙ্গতি
C
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি
D
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি
উত্তরের বিবরণ
স্বরসঙ্গতি:
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। যথা-
• প্রগত স্বরসঙ্গতি:
আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে প্রগত স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন:
- মুলা > মুলো;
- শিকা > শিকে;
- চৌকা > চৌকো;
- তুলা > তুলো।
• পরাগত স্বরসঙ্গতি:
অন্ত্যস্বরের কারণে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হলে পরাগত স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন:
- আখো > আখুয়া > এখো;
- দেশি > দিশি।
• মধ্যগত স্বরসঙ্গতি:
আদ্যস্বর ও অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে মধ্যগত স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন:
- বিলাতি > বিলিতি।
• অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি:
আদ্য ও অন্ত্য দুই স্বরই পরস্পর প্রভাবিত হলে অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন:
- মোজা > মুজো।

0
Updated: 12 hours ago
প্রথম বাংলা ব্যাকরণ কোন ভাষায় প্রকাশিত হয়?
Created: 1 week ago
A
ইংরেজি ভাষায়
B
বাংলা ভাষায়
C
পর্তুগিজ ভাষায়
D
ফরাসি ভাষায়
বাংলা ব্যাকরণ রচনার ইতিহাস
-
প্রথম বাংলা ব্যাকরণ (১৭৪৩ খ্রি.)
-
প্রথম বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয় ১৭৪৩ সালে, পর্তুগিজ ভাষায়।
-
এর লেখক ছিলেন মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ।
-
তিনি তাঁর বাংলা-পর্তুগিজ অভিধানের ভূমিকা অংশ হিসেবে এই ব্যাকরণ রচনা করেন।
-
-
হ্যালহেডের ব্যাকরণ (১৭৭৮ খ্রি.)
-
১৭৭৮ সালে প্রকাশিত হয় নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড প্রণীত পূর্ণাঙ্গ একটি বাংলা ব্যাকরণ।
-
বইটির নাম: “A Grammar of the Bengal Language”।
-
এটি ইংরেজি ভাষায় রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্যাকরণ।
-
-
উইলিয়াম কেরির ব্যাকরণ (১৮০১ খ্রি.)
-
উইলিয়াম কেরি ইংরেজি ভাষায় রচনা করেন “A Grammar of the Bengalee Language” (১৮০১)।
-
পরবর্তীতে জন রবিনসন ১৮৪৬ সালে এই গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ প্রকাশ করেন।
-
-
রামমোহন রায়ের ব্যাকরণ (১৮২৬ ও ১৮৩৩ খ্রি.)
-
১৮২৬ সালে রামমোহন রায় ইংরেজি ভাষায় একটি উল্লেখযোগ্য বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন।
-
পরবর্তীতে ১৮৩৩ সালে তাঁর রচিত ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ প্রকাশিত হয়।
-
এটি ছিল বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ); বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
'হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা' গ্রন্থটি কে সম্পাদনা করেন?
Created: 3 weeks ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
C
রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র
D
প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন
-
প্রকাশের ইতিহাস:
-
১৮৮২ সালে Sanskrit Buddhist Literature in Nepal গ্রন্থে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের তথ্য প্রকাশ করেন
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পদগুলি আবিষ্কার করেন
-
-
প্রকাশিত সংকলন:
-
১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চর্যাপদের পদগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে
-
প্রকাশিত গ্রন্থের নাম: হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা
-
এতে চর্যাপদ, কৃষ্ণপাদ ও ডাকার্ণব-এর চারটি পুঁথি একত্রে সংকলিত হয়
-
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 3 weeks ago
কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
Created: 2 weeks ago
A
আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত
B
আবশ্যকীয় ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত
C
আবশ্যকীয় ব্যয়ে কার্পন্য অনুচিত
D
আবশ্যক ব্যয়ে কার্পন্য অনুচিত
আবশ্যক মানে হলো ― যা অত্যন্ত জরুরি, অপরিহার্য, প্রয়োজনীয়।
-
আবশ্যকীয় শব্দটি প্রমিত বাংলা অভিধান অনুযায়ী ব্যবহারযোগ্য নয়; এটি অপ্রচলিত ও অশুদ্ধ রূপ।
-
কার্পণ্য অর্থ কৃপণতা, অতি কঞ্জুসি।
-
কার্পন্য শব্দটিও অশুদ্ধ, এর সঠিক রূপ হলো কার্পণ্য।
তাই শুদ্ধ বাক্য হবে:
“আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত।”

0
Updated: 2 weeks ago