কী ভেদে পদাশ্রিত নির্দেশক বিভিন্নতর হয়?
A
পদভেদে
B
ক্রিয়াভেদে
C
পুরুষভেদে
D
বচনভেদে
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় পদাশ্রিত নির্দেশক হলো এমন অব্যয় বা প্রত্যয়, যা বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদেরকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে। এগুলোর মাধ্যমে একবচন, বহুবচন, স্বল্পতা বা অনির্দেশক অর্থ প্রকাশ করা হয়। বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত পদাশ্রিত নির্দেশক হলো: টি, টা, টো, টুকু, টুকুন, টু, টুক, খান, খানা, খানি, খানেক, খানিক, গাছ, গাছি, গাছা, গোটা, গুলি, গুলো, গুলান ইত্যাদি।
- 
একবচন প্রকাশে ব্যবহৃত নির্দেশক: টি, টা, খানা, খানি, গাছা, গাছি ইত্যাদি। 
 উদাহরণ: কলমটি, বইটা, বৈঠকখানা ইত্যাদি।
- 
বহুবচন প্রকাশে ব্যবহৃত নির্দেশক: গুলি, গুলা, গুলো, গুলোন ইত্যাদি। 
 উদাহরণ: আমগুলি, ফলগুলো, গরুগুলো, কুকুরগুলো, বিড়ালগুলা ইত্যাদি।
- 
সংখ্যা বা পরিমাপের স্বল্পতা প্রকাশে ব্যবহৃত নির্দেশক: টে, টুকু, টুকুন ইত্যাদি। 
 উদাহরণ: তিনটে চাল, ভাতটুকু, পায়েসটুকুন, এতটুকুন মেয়ে ইত্যাদি।
- 
অনির্দেশক প্রত্যয়: টি, টা, এক, জন, খান ইত্যাদি। এগুলো দ্বারা নির্দিষ্ট কাউকে বোঝানো হয় না। 
 উদাহরণ: একটা গল্প বলি, চারটি ভাত দাও, জন চারেক লোক হলেই চলবে, এক যে ছিল রাণী, গোটা কয়েক সমস্যা ইত্যাদি।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
সাধারণ পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পহেলা
B
দ্বিতীয়া
C
একত্রিশে
D
সোয়া
পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ (Ordinal Numbers)
বাংলা ভাষায় পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ তিন প্রকার:
১. সাধারণ পূরণবাচক
- 
সংজ্ঞা: ক্রমবাচক সংখ্যার অবস্থান বা পর্যায় নির্দেশ করে। 
- 
উদাহরণ: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ ইত্যাদি। 
- 
সংক্ষিপ্ত রূপ: ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম ইত্যাদি। 
- 
১১–১৮ পর্যন্ত পূর্ণ ও সংক্ষিপ্ত রূপ: - 
১১: একাদশ (১১শ) / এগারোতম (১১তম) 
- 
১২: দ্বাদশ (১২শ) / বারোতম (১২তম) 
- 
১৩: ত্রয়োদশ (১৩শ) / তেরোতম (১৩তম) … 
 
- 
- 
১৯–৯৯ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত রূপ: শুধু ‘তম’ প্রত্যয় যোগ। - 
উদাহরণ: উনিশতম (১৯তম), বিশতম (২০তম), একুশতম (২১তম), আটাশতম (২৮তম), নিরানব্বইতম (৯৯তম) 
 
- 
- 
নারীবাচক রূপ: - 
প্রথমা (১মা), দ্বিতীয়া (২য়া), তৃতীয়া (৩য়া), চতুর্থী (৪র্থী), পঞ্চমী (৫মী), ষষ্ঠী (৬ষ্ঠী), … একাদশী (১১শী), দ্বাদশী (১২শী) ইত্যাদি 
 
- 
২. তারিখ পূরণবাচক
- 
ব্যবহার: বাংলা তারিখ নির্দেশে বিশেষ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। 
- 
উদাহরণ: - 
পয়লা/পহেলা, দোসরা, তেসরা, চৌঠা, পাঁচই, ছয়ই, সাতই, আটই … 
- 
ত্রিশে, একত্রিশে ইত্যাদি 
 
- 
৩. ভগ্নাংশ পূরণবাচক
- 
ব্যবহার: পূর্ণসংখ্যার থেকে খানিকটা কম বা বেশি বোঝাতে। 
- 
উদাহরণ: আধ, সাড়ে, পোয়া, সোয়া, দেড়, আড়াই, তেহাই ইত্যাদি 
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
কোনটি তারিখ পূরণবাচক শব্দ?
Created: 1 month ago
A
দশ
B
দ্বাদশ
C
ত্রিশে
D
তেহাই
বাংলা ভাষায় সংখ্যাবাচক শব্দ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এগুলোর মাধ্যমে সংখ্যা, তার অবস্থান, ক্রম বা ভগ্নাংশ প্রকাশ করা হয়। সংখ্যাবাচক শব্দ মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত—ক্রমবাচক এবং পূরণবাচক। পূরণবাচক শব্দ আবার কয়েক প্রকারে বিভক্ত হয়। নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো।
- 
সংখ্যাবাচক শব্দ হলো যেসব শব্দ দিয়ে সংখ্যা বোঝানো হয়। 
- 
সংখ্যাশব্দের দুই ধরন রয়েছে 
 ১. ক্রমবাচক সংখ্যাশব্দ: একের পর এক যে সংখ্যাগুলো আসে, তাকে ক্রমবাচক বলা হয়।
 উদাহরণ: ১ (এক), ২ (দুই), ৩ (তিন), ৪ (চার), ৫ (পাঁচ), ৬ (ছয়), ৭ (সাত), ৮ (আট), ৯ (নয়), ১০ (দশ) ইত্যাদি।২. পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ: সংখ্যার ক্রমিক অবস্থান ও পরিমাণ বোঝাতে পূরণবাচক ব্যবহৃত হয়। 
- 
পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ তিন প্রকার 
 • সাধারণ পূরণবাচক
 • তারিখ পূরণবাচক
 • ভগ্নাংশ পূরণবাচক
- 
সাধারণ পূরণবাচক: - 
এগুলো ক্রম বা পর্যায় নির্দেশ করে। যেমন: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি। 
- 
এদের সংক্ষিপ্ত রূপ: ১ম, ২য়, ৩য় ইত্যাদি। 
- 
১১ থেকে ১৮ পর্যন্ত সংখ্যায় পূর্ণ ও সংক্ষিপ্ত দুই রকম রূপ থাকে। যেমন: একাদশ (১১শ), এগারোতম (১১তম); দ্বাদশ (১২শ), বারোতম (১২তম) ইত্যাদি। 
- 
১৯ থেকে ৯৯ পর্যন্ত সংখ্যায় শুধু তম প্রত্যয় যুক্ত হয়। 
- 
সাধারণ পূরণবাচকে নারীবাচক রূপও ব্যবহৃত হয়। যেমন: প্রথমা (১মা), দ্বিতীয়া (২য়া), তৃতীয়া (৩য়া), চতুর্থী, একাদশী (১১শী), দ্বাদশী (১২শী), ত্রয়োদশী (১৩শী) ইত্যাদি। 
 
- 
- 
তারিখ পূরণবাচক: - 
বাংলা ভাষায় তারিখ নির্দেশের জন্য নির্দিষ্ট পূরণবাচক শব্দ ব্যবহৃত হয়। 
- 
উদাহরণ: পয়লা/পহেলা, দোসরা, তেসরা, চৌঠা, পাঁচই, ছয়ই, সাতই, আটই, ত্রিশে, একত্রিশে ইত্যাদি। 
 
- 
- 
ভগ্নাংশ পূরণবাচক: - 
পূর্ণসংখ্যার কম-বেশি বোঝাতে ভগ্নাংশ পূরণবাচক ব্যবহৃত হয়। 
- 
উদাহরণ: আধ, সাড়ে, পোয়া, সোয়া, দেড়, আড়াই, তেহাই ইত্যাদি। 
 
- 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ নয়?
Created: 2 weeks ago
A
নবনবতিতম
B
বিংশতম
C
নবতিতম
D
অশীতিতম
‘বিংশতম’ শব্দটি সঠিক পূরণবাচক নয়। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত রূপ হবে ‘বিশতম’ বা ‘বিংশতিতম’।
সাধারণ পূরণবাচক শব্দ ক্রমবাচক সংখ্যার অবস্থান বা পর্যায় নির্দেশ করে। সংখ্যার ক্রমানুসারে কোনো কিছু কততম অবস্থানে আছে তা বোঝাতে এই ধরনের শব্দ ব্যবহৃত হয়।
তথ্য অনুযায়ী:
- 
১৯ থেকে ৯৯ পর্যন্ত সংখ্যার সংক্ষিপ্ত পূরণবাচক গঠনে কেবল ‘তম’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। 
- 
যেমন— - 
১৯তম: উনিশতম বা উনবিংশতিতম 
- 
২০তম: বিশতম বা বিংশতিতম 
- 
২১তম: একুশতম বা একবিংশতিতম 
- 
২৮তম: আটাশতম বা অষ্টাবিংশতিতম 
- 
৪৯তম: উনপঞ্চাশতম বা উনপঞ্চাশত্তম 
- 
৮০তম: আশিতম বা অশীতিতম 
- 
৯০তম: নব্বইতম বা নবতিতম 
- 
৯৯তম: নিরানব্বইতম বা নবনবতিতম 
 
- 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago