বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী কোনটি? (সেপ্টেম্বর-২০২৫)
A
চাকমা
B
মারমা
C
গারো
D
সাঁওতাল
উত্তরের বিবরণ
মারমা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যারা প্রধানত পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা—রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি-তে বসবাস করে। তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপ:
- 
মারমা জনগোষ্ঠীকে প্রায়শই আলাদা আদিবাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 
- 
১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মারমা জনসংখ্যা ছিল ১,৫৭,৩০১। 
- 
২০২২ সালের আদমশুমারিতে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২,২৪,২৯৯ জন হয়েছে। 
- 
মারমারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত। 
- 
তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যা ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে ‘ভোট বর্মী’ শাখার বর্মী দলভুক্ত ভাষা। 
- 
মারমাদের বর্ণমালার নাম ম্রাইমাজা, যা বাম থেকে ডান দিকে লেখা হয়। 
- 
এই বর্ণমালা উপমহাদেশীয় প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন জাতিগোষ্ঠী বাংলাদেশে বাস করে না?
Created: 1 month ago
A
মুন্ডা
B
পাংখো
C
কোচ
D
তুতসি
বুরুন্ডি:
- 
প্রধান জাতিগোষ্ঠী: হুতু, তুতসি এবং তুওয়া 
- 
হুতু সংখ্যাগরিষ্ঠ, তুতসি সংখ্যালঘু এবং পিগমি। 
- 
রাজনৈতিক রাজধানী: গিতেগা 
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী:
- 
বাংলাদেশে প্রায় ৫০টি আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করে। 
কোচ:
- 
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। 
- 
বর্তমানে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী এবং শ্রীবর্দী উপজেলায় বসবাস। 
- 
প্রায়শই কোচ ও রাজবংশী একই জাতি মনে করা হয়। 
মুন্ডা:
- 
বাংলাদেশের আরেকটি উপজাতি। 
- 
ভাষা: মুন্ডারি, যা অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত। 
পাংখো:
- 
বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী পাংখো বা পাংখোয়া। 
- 
বসবাস: চট্টগ্রামের পার্বত্য জেলার রাঙ্গামাটি। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
কোন আদিবাসী জনগোষ্ঠী 'বৈসাবি' উৎসব পালন করে?
Created: 1 month ago
A
চাকমা
B
মারমা
C
ত্রিপুরা
D
উপরোক্ত সবাই
বৈসাবি হলো বাংলাদেশের তিন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব, যা পাহাড়ি অঞ্চলের প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
- 
এটি পাহাড়ে বর্ষ বিদায় ও বর্ষবরণ উপলক্ষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রধানতম উৎসব। 
- 
ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় এই উৎসব পালন করে। 
- 
নামের উৎপত্তি: - 
‘বৈ’ – ত্রিপুরাদের বৈসু 
- 
‘সা’ – মারমাদের সাংগ্রাই 
- 
‘বি’ – চাকমাদের বিজু 
 
- 
- 
চৈত্র মাসের শেষ দুটি দিন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিন এই তিন দিন উৎসব পালিত হয়। 
- 
প্রতিটি সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব বিশ্বাস ও সংস্কার অনুযায়ী প্রার্থনা করে যাতে নতুন বছর সুখ-শান্তিতে কেটে যায়। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
ম্রো জনগোষ্ঠীর মধ্যে অধিকাংশ মানুষ কোন ধর্ম অনুসরণ করে?
Created: 1 month ago
A
বৌদ্ধ
B
ইসলাম
C
খ্রিস্টান
D
হিন্দু
ম্রো জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাচীনতম জাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং বান্দরবান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। তাদের ঐতিহ্য, সমাজগঠন ও ধর্মীয় বিশ্বাস স্থানীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- 
ম্রো পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রাচীন জাতি এবং বান্দরবান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতি। 
- 
তাদের আদি নিবাস মায়নামারের আরাকান রাজ্য। 
- 
আনুমানিক ১৪৩০ খ্রিঃ অর্থাৎ প্রায় ৫৯২ বছর আগে, ম্রোরা বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম, থানছি ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। 
- 
ম্রোরা নিজেদেরকে ‘মারুচা’ বলে অভিহিত করে। 
- 
ম্রো সমাজ পিতৃতান্ত্রিক; পিতা পরিবারের প্রধান। তবে মেয়েরা সামাজিক জীবনে কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। 
- 
ম্রোরা মূলত প্রকৃতি পূজারী, যদিও অধিকাংশই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। 
- 
সম্প্রতি ম্রোদের মধ্যে একটি নতুন ধর্ম ‘ক্রামা’ উদ্ভাবিত হয়েছে, এবং বর্তমানে ম্রোদের একটি অংশ ক্রামা ধর্মের অনুসারী। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago