যুক্তফ্রন্ট কত দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিল?
A
১০ দফা
B
১৫ দফা
C
২১ দফা
D
২৩ দফা
উত্তরের বিবরণ
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগকে পরাজিত করার কৌশল হিসেবে সদ্য প্রতিষ্ঠিত কিছু রাজনৈতিক দল যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। যুক্তফ্রন্টের ঘটনাপ্রবাহ ও গঠন নিম্নরূপ:
-
১৯৫৩ সালের ১৪ নভেম্বর ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
যুক্তফ্রন্ট মূলত পাঁচটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত হয়, যা হলো:
১. মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ
২. শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হকের কৃষক-শ্রমিক পার্টি
৩. মওলানা আতাহার আলীর নেজামে ইসলাম পার্টি
৪. হাজী দানেশের বামপন্থি গণতন্ত্রী দল
৫. খিলাফত-ই-রাব্বানি -
নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা।
-
যুক্তফ্রন্ট ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে।
-
এই ২১ দফা কর্মসূচির মূল রচয়িতা ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ।

0
Updated: 16 hours ago
যুক্তফ্রন্ট মূলত কয়টি দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল?
Created: 2 weeks ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৬টি
D
৮টি
যুক্তফ্রন্ট (প্রাদেশিক রাজনীতি, ১৯৫৩–১৯৫৪)
-
গঠনকাল: ১৯৫৩ সালে
-
গঠিত দলসমূহ: মূলত ৪টি দল (বৃহত্তর বিবেচনায় ৫টি দলও বলা হয়েছে, তবে অধিকাংশ উৎসে ৪টি দল উল্লেখিত)
-
নির্বাচনী প্রতীক: ‘নৌকা’
-
মুসলিম লীগের প্রতীক ছিল ‘হারিকেন’
-
-
নির্বাচনের মোট আসন: ৩০৯
-
যা জয় করেছে: যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন
-
মন্ত্রিসভা গঠন: ১৯৫৪ সালে
-
মুখ্যমন্ত্রী: শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
-
উল্লেখযোগ্য মন্তব্য:
-
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ে বলা হয়েছে প্রধানত ৫টি দল,
-
তবে “বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র” (১ম ও ২য় খণ্ড) উল্লেখ করে ৪টি বিরোধী দলের সমন্বয়ে গঠিত।
-
অধিকাংশ গবেষক দলিলপত্রকেই গ্রহণযোগ্য মনে করেন।
তথ্যসূত্র: স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র, প্রথম খণ্ড; বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
কংগ্রেস
B
স্বরাজ দল
C
কৃষক প্রজা পার্টি
D
মুসলিম লীগ
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
-
জন্ম ও পরিবার: ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর (১২৯৩ বাংলা সালের ১৬ কার্তিক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রামরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জগবন্ধু দত্ত ছিলেন মুনসেফ কোর্টের সেরেস্তাদার।
-
শিক্ষা:
-
১৯০৪ সালে নবীনগর হাই স্কুল হতে প্রবেশিকা।
-
১৯০৮ সালে কলকাতা রিপন কলেজ হতে বি.এ।
-
১৯১০ সালে একই কলেজ হতে বি.এল।
-
-
কর্মজীবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ড:
-
১৯১১ সালে কুমিল্লা জেলা বারে যোগদান।
-
১৯০৭ সালে ত্রিপুরা হিতসাধনী সভার সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
-
-
রাজনৈতিক ভূমিকা:
-
১৯৪৮ সালে গণপরিষদের অধিবেশনে কংগ্রেস দলীয় সদস্য হিসেবে উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষার দাবিতে উত্থাপন করেন।
-
১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
-
১৯৫৬ সালের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি ও বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্যে কতজনকে বীরত্বসূচক খেতাব বা উপাধি প্রদান করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
৬৭৫ জন
B
৬৭৬ জন
C
৬৭৭ জন
D
৬৭৮ জন
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
বাংলাদেশ বিষয়াবলী
বীরত্বসূচক খেতাব
মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল
যুক্তফ্রন্ট
No subjects available.
মুক্তিযুদ্ধের খেতাব
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্য ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকার মোট ৬৭৬ জনকে চারটি বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করে।
বীরত্বসূচক খেতাবসমূহ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৭ জন
-
বীরউত্তম – দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৬৮ জন
-
বীরবিক্রম – তৃতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ১৭৫ জন
-
বীরপ্রতীক – চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৪২৬ জন
-
সাম্প্রতিক পরিবর্তন: ৬ জুন ২০২১ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু হত্যার চার আসামের মুক্তিযুদ্ধে প্রদত্ত খেতাব বাতিল করে।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago