উপজাতিদের বর্ষবরণ উৎসবকে সামগ্রিকভাবে কি বলা হয়?
A
বৈসাবি
B
ওয়াংগালা
C
সংগ্রাই
D
সোহরাই
উত্তরের বিবরণ
বৈসাবি হলো বাংলাদেশে তিনটি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব, যা বৈসু, সাংগ্রাই এবং বিজু এই তিন নামের আদ্যক্ষর থেকে গঠিত। এই উৎসবে আদিবাসীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে এবং পুরনো বছরের কালিমা ও জীর্ণতাকে ধুয়ে নতুন বছরকে বরণ করে। ত্রিপুরারা তাদের বর্ষবরণকে বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই এবং চাকমারা বিজু নামে পালন করে, এবং এই তিনটি উৎসব মিলিতভাবে বৈসাবি নামে পরিচিত। সাধারণত বর্ষবরণ উৎসবটি বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিনে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় উদযাপিত হয়।
অন্যদিকে, অন্যান্য আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর উৎসবের নামগুলো হলো:
- 
গারোদের প্রধান উৎসব: ওয়াংগালা 
- 
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসব: সাংগ্রাই 
- 
সাঁওতালদের প্রধান উৎসব: সোহরাই 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
কোন উপজাতি নিজেদেরকে ’মারুচা’ বলে অভিহিত করে থাকেন?
Created: 1 month ago
A
গারো
B
ম্রো
C
খিয়াং
D
পাঙ্গন
ম্রো হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যা বিশেষভাবে বান্দরবান জেলায় বসতি স্থাপন করেছে। তাদের নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যা তিব্বতী-বর্মী ভাষাগোষ্ঠীর অংশ।
- 
ম্রো জনগোষ্ঠীর প্রধান বসতি বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায়, যেমন তোইন, মঙ্গু, তৈনফা, লুলোইং, উত্তরহানগড়, দক্ষিণ হানগড়, তঙ্কাবতী, হরিণঝুড়ি, টেকের পানছড়ি, রেনিখ্যং, পানতলা, থানখ্যং, সোয়ালক, তিনডো, সিংপা, আলীখং এবং ভারিয়াতালি মৌজায়। 
- 
ম্রোরা ম্রু ও মুরং নামেও পরিচিত। 
- 
তাদের নিজস্ব ভাষা থাকলেও পূর্বে বর্ণমালা ছিল না, বর্তমানে তাদের নিজস্ব বর্ণমালা তৈরি হয়েছে। 
- 
ম্রোরা তিব্বতী-বর্মী ভাষার একটি বিশেষ শাখা ব্যবহার করে। 
- 
বর্তমানে ম্রোদের নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালায় তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই প্রণীত হয়েছে। 
- 
তারা নিজেদেরকে ‘মারুচা’ নামে অভিহিত করে। 
- 
ম্রোদের বংশ পরিচয় পিতৃতান্ত্রিক। 
উৎস:
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
'গারো উপজাতি' কোন জেলায় বাস করে?
Created: 1 month ago
A
পার্বত্য চট্টগ্রাম
B
সিলেট
C
ময়মনসিংহ
D
টাঙ্গাইল
গারো উপজাতি
বাংলাদেশে গারো উপজাতির মূল নিবাস ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ি অঞ্চল।
এছাড়াও শেরপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর, রংপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় কিছুসংখ্যক গারো জনগোষ্ঠী বসবাস করে। তবে সংখ্যার দিক থেকে দেখা যায়, ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ই গারো উপজাতির প্রধান আবাসস্থল।
সিলেট অঞ্চলে অল্পসংখ্যক গারো থাকলেও তাদের অধিকাংশই ময়মনসিংহ এলাকায় কেন্দ্রীভূত। তাই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হবে ময়মনসিংহ জেলা।
গারো উপজাতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- 
তাদের প্রাচীন ধর্মের নাম সাংসারেক। 
- 
প্রধান দেবতার নাম তাতারা রাবুগা। 
- 
বর্তমানে অধিকাংশ গারো জনগোষ্ঠী খ্রিস্টান ধর্ম অনুসরণ করে। 
- 
তাদের প্রধান উৎসব হলো ওয়ানগালা। 
- 
গারো ভাষাকে বলা হয় মান্দি ভাষা। 
- 
গারো সমাজব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক। 
উৎস: ময়মনসিংহ জেলার সরকারি ওয়েবসাইট
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
কোন বাংলাদেশী উপজাতির পারিবারিক কাঠামো পিতৃতান্ত্রিক?
Created: 3 months ago
A
মারমা
B
খাসিয়া
C
সাঁওতাল
D
গারো
অপশনে দ্বৈত উত্তর থাকায় বাতিল করা হয়েছে।
- সাঁওতাল এবং মারমা উপজাতির পারিবারিক কাঠামো পিতৃতান্ত্রিক।
অন্যদিকে,
- বাংলাদেশে বসবাসকারী উপজাতিসমূহের মধ্যে খাসিয়া এবং গারো সম্প্রদায়ের পারিবারিক কাঠামো মাতৃতান্ত্রিক। 
- গারো  বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি নৃগোষ্ঠী।
-টাংগাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, গাজীপুর জেলায় এদের বাস।
- বাংলাদেশে তাদের আদি নিবাস বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ জেলায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
                                                                                             
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 months ago