আলোক রশ্মি গমন পথে বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে পূর্বের মাধ্যমে ফিরে আসার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
A
অপবর্তন
B
ব্যতিচার
C
প্রতিফলন
D
অপসরণ
উত্তরের বিবরণ
প্রতিফলন হলো আলোর সেই প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো আলোক রশ্মি কোনো স্বচ্ছ বা অস্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোনো মাধ্যমের দ্বারা বাধা পেয়ে প্রথম মাধ্যমের দিকে ফিরে আসে। আলোক প্রতিফলনের সময় যে পৃষ্ঠ থেকে আলো ফিরে আসে তাকে প্রতিফলক তল বা প্রতিফলক পৃষ্ঠ বলা হয় এবং যা ফিরে আসে তাকে প্রতিফলিত আলো বা রশ্মি বলা হয়।
- 
যে পরিমাণ আলো প্রতিফলিত হবে তা নির্ভর করে: - 
মাধ্যম দুটির প্রকৃতির উপর 
- 
আলো প্রতিফলক তলে কত কোণে আপতিত হচ্ছে তার উপর 
 
- 
- 
প্রতিফলক তল যত বেশি মসৃণ, প্রতিফলন তত বেশি হয়। 
- 
স্বচ্ছ প্রতিফলকে সাধারণত প্রতিফলন কম হয়, আর অস্বচ্ছ বা সাদা তলে প্রতিফলন বেশি হয়। কালো বা গা dark ় তলে আলো প্রায় প্রতিফলিত হয় না। 
- 
কাঁচের মতো স্বচ্ছ মাধ্যমের উপর আলো আংশিকভাবে প্রতিফলিত হয়। 
- 
আলোর আপতন কোণ যত বড় হয়, প্রতিফলনের পরিমাণও তত বেশি হয়। 
- 
প্রতিফলনের ধরন মসৃণতার উপর নির্ভর করে দু’ভাগে বিভক্ত: - 
নিয়মিত প্রতিফলন 
- 
ব্যাপ্ত প্রতিফলন 
 
- 
আলোর প্রতিফলনের সূত্র:
- 
আপতিত রশ্মি, প্রতিফলক তলে অঙ্কিত অভিলম্ব এবং প্রতিফলিত রশ্মি একই সমতলে থাকে। 
- 
আপতন কোণ এবং প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হয়, অর্থাৎ । 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন বিবৃতিটি গামা রশ্মির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভুল?
Created: 1 month ago
A
এর ভেদন ক্ষমতা খুব বেশি
B
এটি একটি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ
C
এর ফোটনগুলোর শক্তি অনেক কম
D
এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট
গামা রশ্মি (Gamma Ray)
- 
প্রকৃতি: গামা রশ্মি হলো শক্তিশালী বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ। 
- 
চার্জ ও ভর: গামা রশ্মি চার্জবিহীন এবং ভরহীন, তাই এটি বিদ্যুৎ বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না। 
- 
উৎপত্তি: যখন কোনো নিউক্লিয়াস আলফা বা বিটা কণার বিকিরণ করে 'উত্তেজিত' অবস্থায় থাকে, তখন বাড়তি শক্তি গামা রশ্মি হিসেবে নির্গত হয়। 
- 
তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও শক্তি: - 
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট (প্রায় ১০⁻¹² মিটারের নিচে)। 
- 
তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং ফোটনের শক্তি বিপরীতানুপাতিক, তাই ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য মানে উচ্চ শক্তি। 
 
- 
- 
গতি: গামা রশ্মির বেগ সর্বদা আলোর বেগের সমান। 
- 
ভেদন ক্ষমতা (Penetrating Power): - 
গামা রশ্মি অত্যন্ত উচ্চ ভেদন ক্ষমতার। 
- 
এটি কয়েক সেন্টিমিটার পুরু সীসার পাত বা কয়েক মিটার পুরু কংক্রিটও ভেদ করতে পারে। 
- 
সাধারণত গামা রশ্মি থামাতে কয়েক সেন্টিমিটার সীসার পুরু পাতা ব্যবহার করা হয়। 
 
- 
- 
আয়নায়ন ক্ষমতা: চার্জ না থাকলেও, গামা রশ্মি অণু ও পরমাণুকে আয়নিত করতে পারে, যা এর অস্তিত্ব শনাক্ত করতে সাহায্য করে। 
মূল কারণ: গামা রশ্মির উচ্চ শক্তি তার উচ্চ ভেদন ক্ষমতার মূল কারণ।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
কোন রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি?
Created: 2 weeks ago
A
বেগুনি
B
লাল
C
সবুজ
D
আসমানী
আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য হলো পরপর দুটি তরঙ্গের শীর্ষ বা গহ্বরের মধ্যবর্তী দূরত্ব, যা আলোর রঙ ও শক্তি নির্ধারণ করে। দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ ন্যানোমিটার (বেগুনি) থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার (লাল) পর্যন্ত বিস্তৃত। তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তারতম্যের কারণেই আমরা বিভিন্ন বর্ণ দেখতে পাই।
- 
দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ক্রম হলো: বেগুনি < নীল < আসমানী < সবুজ < হলুদ < কমলা < লাল। 
- 
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, আলোর বিক্ষেপণ (dispersion) তত বেশি হয়; অর্থাৎ, কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো সহজেই ভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। 
- 
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, আলোর বিক্ষেপণ তত কম হয়। 
- 
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, তাই এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি (deviation) সবচেয়ে কম। 
- 
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি। 
- 
যে বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ ও বিক্ষেপণ তত কম, কারণ আলো মাধ্যমের মধ্য দিয়ে কম বেঁকে যায়। 
- 
সূর্যের সাদা আলো যখন প্রিজমের মধ্য দিয়ে যায়, তখন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে এটি সাতটি বর্ণে বিভক্ত হয়, যা বিক্ষেপণের উদাহরণ। 
- 
দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সীমা সাধারণত: 
 বেগুনি (≈ ৪০০ nm) থেকে লাল (≈ ৭০০ nm) পর্যন্ত।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago
আলোর বর্ণালীতে কয়টি বর্ণ থাকে?
Created: 1 month ago
A
৩ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
৭ টি
বর্ণালী (Spectrum) সম্পর্কে সংক্ষেপ:
- 
সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মি একটি কাচের প্রিজমে আপতিত হলে প্রিজমের অপর পার্শ্বে একটি সাদা পর্দায় সাতটি বর্ণের আলোর স্তর দেখা যায়। এই স্তরকে বর্ণালী বলা হয়। 
- 
বর্ণালীতে মোট ৭টি বর্ণ থাকে: 
 ১. লাল (Red) – উপরেরmost
 ২. কমলা (Orange)
 ৩. হলুদ (Yellow)
 ৪. সবুজ (Green)
 ৫. আকাশী (Blue)
 ৬. নীল (Indigo)
 ৭. বেগুনী (Violet) – নিচেরmost
- 
স্মরণ করার নিয়ম: বেগুনী থেকে শুরু করে প্রথম অক্ষরগুলো হলো “বেনীআসহকলা” বা আন্তর্জাতিকভাবে VIBGYOR। 
- 
আলোকের বিচ্ছুরণ (Dispersion): 
 বিভিন্ন বর্ণের আলো আলাদা হয়ে যাওয়াকে আলোর বিচ্ছুরণ বলা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র, এইচ.এস.সি. প্রোগ্রাম; বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago