আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাধারণত কোন কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়?
A
সুপারকম্পিউটার
B
মেইনফ্রেম
C
মিনি কম্পিউটার
D
মাইক্রোকম্পিউটার
উত্তরের বিবরণ
আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরির জন্য প্রচুর পরিমাণ ডেটা যেমন বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য, মহাসাগরের স্রোত, স্যাটেলাইট ইমেজ এবং জটিল গাণিতিক মডেল প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। এই কাজের জন্য অত্যন্ত দ্রুত প্রসেসিং ক্ষমতা এবং বৃহৎ স্টোরেজ ক্যাপাসিটি প্রয়োজন। সুপারকম্পিউটার একসাথে কোটি কোটি গণনা সম্পন্ন করতে পারে এবং জটিল মডেল চালিয়ে স্বল্প সময়ে সঠিক পূর্বাভাস তৈরি করতে সক্ষম।
-
সুপারকম্পিউটার হলো সবচেয়ে শক্তিশালী, ব্যয়বহুল এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটার।
-
এটি একসাথে একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য কাজ করতে পারে।
-
বিপুল পরিমাণ ডেটা সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত মেমোরি এবং উচ্চ ক্ষমতার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট থাকে।
-
একাধিক প্রসেসর সমান্তরালভাবে কাজ করে এবং প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক কাজ সম্পন্ন করে।
-
এর ব্যবহার ক্ষেত্রগুলো হলো: সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা, ডেটা বিশ্লেষণ, নভোযান ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, আগ্নেয়াস্ত্র ডিজাইন, সিমুলেশন এবং পারমাণবিক চুল্লি নিয়ন্ত্রণ।
সুপারকম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
বিশাল সংখ্যার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট।
-
RAM টাইপ মেমরি ইউনিটের বৃহৎ সংগ্রহ।
-
নোডের মধ্যে উচ্চ গতির আন্তঃসংযোগ।
-
দ্রুত ইনপুট/আউটপুট সিস্টেম।
-
কাস্টম সফ্টওয়্যার ব্যবহার।
-
কার্যকর তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
-
বিপুল পরিমাণ গণনা পরিচালনার ক্ষমতা যা মানুষের সাধ্যের বাইরে।

0
Updated: 16 hours ago
নিচের কোনটি কম্পিউটারের প্রাইমারি মেমোরি?
Created: 2 weeks ago
A
RAM
B
Hard Disk
C
Pen drive
D
কোনোটিই নয়
স্টোরেজ ডিভাইস
স্টোরেজ ডিভাইস হলো সেই ডিভাইস যা কম্পিউটারকে ডেটা ও প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে। এগুলো থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য গ্রহণ করে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে। স্টোরেজ ডিভাইস প্রধানত দুই ধরনের:
১. প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস
২. সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস
প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস
প্রাইমারি স্টোরেজ হলো মাইক্রোপ্রসেসরের মূল কর্মক্ষেত্র। যখন কোনো প্রোগ্রাম কম্পিউটারে চলছে, তখন প্রোগ্রামের তথ্য ও আংশিক ফলাফল সাময়িকভাবে এখানে রাখা হয়। সাধারণ উদাহরণ হলো RAM (র্যান্ডম অ্যাকসেস মেমোরি)।
প্রাইমারি স্টোরেজের বৈশিষ্ট্য
-
CPU-এর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে।
-
প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ও ডেটা এখানে রাখা হয়।
-
ডেটা অ্যাকসেসের সময় খুব কম।
-
ধারণক্ষমতা সাধারণত কম।
-
ডেটা স্থানান্তরের গতি বেশি।
-
বিদ্যুৎ বন্ধ হলে তথ্য মুছে যায়।
সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস
সেকেন্ডারি স্টোরেজ হলো কম্পিউটারের সহায়ক স্মৃতি। এখানে ডেটা দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়। উদাহরণ:
-
হার্ড ডিস্ক
-
ফ্লপি ডিস্ক
-
পেনড্রাইভ
-
সিডি / ডিভিডি / ব্লু-রে ডিস্ক
-
মেমোরি কার্ড
-
স্মার্ট কার্ড
উৎসঃমৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
ট্রোজান হর্স কী?
Created: 5 days ago
A
একটি ভাইরাস যা শুধুমাত্র হার্ডওয়্যারের ক্ষতি করে
B
একটি ভাইরাস যা আপনার কম্পিউটারকে রক্ষা করে
C
একটি ভাইরাস যা বৈধ সফটওয়্যার হিসেবে ছদ্মবেশে থাকে
D
একটি ভাইরাস যা চালানোর পর নিজেই মুছে যায়
ট্রোজান হর্স (Trojan Horse)
সংজ্ঞা:
ট্রোজান হর্স হলো একটি ধরনের ম্যালওয়্যার, যা সরাসরি ক্ষতি করার পরিবর্তে বৈধ সফটওয়্যারের আকারে কম্পিউটারে প্রবেশ করে। এটি ব্যবহারকারীর জ্ঞাত ছাড়া ইনস্টল হয় এবং প্রায়শই পেছনের দরজা (backdoor) তৈরি করে, যা হ্যাকারদের কম্পিউটারের তথ্য চুরি, ফাইল মুছে ফেলা বা অন্যান্য ক্ষতিকর কাজ করার সুযোগ দেয়।
সঠিক উত্তর: গ) একটি ভাইরাস যা বৈধ সফটওয়্যারের ছদ্মবেশে থাকে।
বৈশিষ্ট্য:
নিজে নিজে ছড়ায় না; ব্যবহারকারীর ভুল বা ভুয়া সফটওয়্যার ডাউনলোডের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
প্রথমে নিরাপদ সফটওয়্যারের মতো দেখায়, কিন্তু চালু হলে ক্ষতি করে।
হ্যাকারের জন্য পেছনের দরজা তৈরি করে।
এটি সাধারণ ভাইরাসের মতো অপ্রত্যক্ষ ক্ষতি করে।
কম্পিউটার ভাইরাস:
এক ধরনের প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক্সিকিউট হয় এবং তথ্য ও উপাত্তকে আক্রমণ করে।
১৯৮০ সালে ফ্রেড কোহেন ভাইরাসের নামকরণ করেন।
ভাইরাস নিজেকে পুনরায় সৃষ্টি করতে সক্ষম এবং কম্পিউটারকে অচল করতে পারে।
ভাইরাসের ধরন: বুট সেক্টর ভাইরাস, ট্রোজান হর্স, ফাইল সংক্রামক ভাইরাস, ম্যাক্রো ভাইরাস, ওভাররাইটিং ভাইরাস, মেমোরি রেসিডেন্ট ভাইরাস, মিউটেটিং ভাইরাস, স্টোন ভাইরাস ইত্যাদি।
কম্পিউটার এন্টি-ভাইরাস:
ভাইরাস, ওয়ার্ম বা ট্রোজান হর্স থেকে কম্পিউটার রক্ষা করার জন্য এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়।
জনপ্রিয় এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার: নরটন, অ্যাভাস্ট, প্যান্ডা, কাসপারেস্কি, মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনসিয়াল।
উৎস:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 5 days ago
স্ট্যাটিক র্যাম কী দ্বারা গঠিত?
Created: 2 weeks ago
A
ক্যাপাসিটর
B
ফ্লিপ-ফ্লপ
C
ট্রানজিস্টর
D
রেজিস্টার
স্ট্যাটিক র্যাম (Static RAM)
-
স্ট্যাটিক র্যাম হলো ফ্লিপ-ফ্লপ দ্বারা গঠিত মেমোরি, যা বাইনারি বিট ০ বা ১ ধারণ করে।
-
ডাটা মেমোরিতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে।
-
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে সংরক্ষিত ডাটা মুছে যায়।
-
স্ট্যাটিক র্যাম অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন, তাই এটি ভিডিও র্যাম, ক্যাশ মেমোরি ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
ফ্লিপ-ফ্লপ
-
ফ্লিপ-ফ্লপ হলো লজিক গেইট দ্বারা তৈরি এক ধরনের ডিজিটাল বর্তনী।
-
এটি এক বিট তথ্য (০ বা ১) ধারণ করতে পারে।
-
প্রতিটি ফ্লিপ-ফ্লপে এক বা একাধিক ইনপুটের বিপরীতে দুটি আউটপুট পাওয়া যায়।
-
ফ্লিপ-ফ্লপ কেবল সিঙ্গেল বিট নিয়ে কাজ করে; মাল্টিপল বিট একসাথে ধারণ করতে পারে না।
-
এজন্য ফ্লিপ-ফ্লপকে বাইস্টেবল মাল্টিভাইব্রেটর বলা হয়।
সম্পর্ক (SRAM ও ফ্লিপ-ফ্লপ)
-
SRAM মূলত ফ্লিপ-ফ্লপের সমষ্টি দিয়ে গঠিত।
-
প্রতিটি ফ্লিপ-ফ্লপ এক বিট ডাটা ধারণ করে।
-
তাই যত বেশি ফ্লিপ-ফ্লপ ব্যবহার করা হয়, তত বেশি মেমোরি তৈরি হয়।

0
Updated: 2 weeks ago