’দৈনিক আজাদ’ পত্রিকার সম্পাদক কে?
A
প্রেমেন্দ্র মিত্র
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
আবুল কালাম শামসুদ্দীন
D
মুজাফফর আহমেদ
উত্তরের বিবরণ
আবুল কালাম শামসুদ্দীন একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। তিনি ১৮৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে ১৯১৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন এবং পরে কলকাতার রিপন কলেজে বিএ শ্রেণিতে ভর্তি হন। তবে ১৯২০-২১ সালের খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনের কারণে বিএ পরীক্ষা না দিয়ে কলকাতার গৌড়ীয় সুবর্ণ বিদ্যায়তন থেকে উপাধি পরীক্ষা (১৯২১) পাশ করেন।
- 
জন্ম: ৩ নভেম্বর, ১৮৯৭, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ 
- 
পেশা: সাংবাদিক, সাহিত্যিক 
- 
সম্পাদনা কাজ: - 
১৯২৩: সহযোগী সম্পাদক, দৈনিক মোহাম্মদী 
- 
১৯২৬: সওগাত পত্রিকার সম্পাদনা বিভাগ 
- 
১৯৩৬–১৯৫৮: দৈনিক আজাদ-এর সম্পাদনা বিভাগ, দীর্ঘ ২২ বছর 
 
- 
উল্লেখযোগ্য রচনা:
- 
কচি পাতা (শিশুসাহিত্য) 
- 
ত্রিস্রোতা (অনুবাদ) 
- 
পোড়োজমি বা অনাবাদী জমি 
- 
দৃষ্টিকোণ (প্রবন্ধ সংকলন) 
- 
ইলিয়ড (বঙ্গানুবাদ) 
- 
পলাশী থেকে পাকিস্তান (ইতিহাস) 
দৈনিক আজাদ পত্রিকাটিও তার দীর্ঘ সময়কাল সম্পাদনার মাধ্যমে প্রভাবশালী হয়।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
জন ক্লার্ক মার্শম্যান সম্পাদিত পত্রিকা কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
সমাচার চন্দ্রিকা
B
বঙ্গদূত
C
বেঙ্গল গেজেট
D
দিগদর্শন
‘দিগদর্শন’ ছিল বাংলা ভাষার প্রথম সাময়িকপত্র, যা বাংলায় আধুনিক সাংবাদিকতা ও জ্ঞানবিকাশের সূচনালগ্নকে চিহ্নিত করে। এই পত্রিকা শুধু সাহিত্য বা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমই ছিল না, বরং নবজাগরণের যুগে শিক্ষাবিস্তার, বিজ্ঞানমনস্কতা ও যুক্তিবাদের বীজ বপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
- 
‘দিগদর্শন’ প্রকাশিত হয় ১৮১৮ সালের এপ্রিল মাসে, শ্রীরামপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশনারিদের উদ্যোগে। 
- 
পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান, যিনি বাংলার প্রারম্ভিক সাংবাদিকতা ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম। 
- 
‘দিগদর্শন’-এর মাধ্যমে সমাজে জ্ঞানবিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য ও শিক্ষাচর্চার প্রসার ঘটানো ছিল মূল লক্ষ্য। 
- 
পত্রিকাটি ছিল মাসিক, এবং এর মোট ২৬টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। 
- 
১৮২১ সালের পরে পত্রিকাটির প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। 
- 
এটি ছিল বাংলা ভাষার প্রথম নিয়মিত প্রকাশিত সাময়িকপত্র, যা শিক্ষিত ও অশিক্ষিত উভয় শ্রেণির মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পায়। 
- 
‘দিগদর্শন’ প্রকাশের এক মাস পর, অর্থাৎ ১৮১৮ সালের ২৩ মে, জন ক্লার্ক মার্শম্যানেরই সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাময়িকপত্র ‘সমাচার দর্পণ’, যা বাংলা ভাষার প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। 
- 
গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য প্রকাশিত ‘বেঙ্গল গেজেট’ ছিল প্রথম বাঙালি উদ্যোগে প্রকাশিত সংবাদপত্র। 
- 
‘ঢাকা প্রকাশ’ ছিল ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। 
ভারতীয় সংবাদপত্রের প্রারম্ভিক ইতিহাস:
- 
ভারতের প্রথম মুদ্রিত সংবাদপত্র ছিল ‘বেঙ্গল গেজেট’, যা জেমস অগাস্টাস হিকি-এর সম্পাদনায় ১৭৮০ সালের ২৯ জানুয়ারি কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। 
- 
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮২২ সালের ৫ মার্চ প্রকাশ করেন ‘সমাচার চন্দ্রিকা’, যা তৎকালীন সমাজে ধর্মীয় ও সামাজিক বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করে। 
- 
রাজা রামমোহন রায় ও তাঁর সহযোগীদের প্রেরণায় নীলমণি হালদার সম্পাদিত ‘বঙ্গদূত’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়, যা ছিল সংস্কারচেতনা ও সামাজিক পুনর্জাগরণের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। 
জন ক্লার্ক মার্শম্যান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
- 
জন্ম: ১৭৯৪ সালে, ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে। 
- 
তিনি ছিলেন একজন মিশনারি, ইতিহাসবিদ ও সাংবাদিক। 
- 
১৮১৮ সালে তিনি শ্রীরামপুর কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। 
- 
১৮৩৩ সালে তিনি সরকারি অনুবাদক এবং ১৮৪০ সালে ‘Government Gazette’-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 
- 
তিনি শিক্ষা ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে বাংলায় আধুনিক জ্ঞানের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 
জন ক্লার্ক মার্শম্যানের সম্পাদিত পত্রিকা:
- 
দিগদর্শন 
- 
সমাচার দর্পণ 
- 
ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া 
- 
গভর্নমেন্ট গেজেট 
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
- 
ভারতবর্ষের ইতিহাস 
- 
পুরাবৃত্তের সংক্ষিপ্ত বিবরণ 
- 
জ্যোতিষ গোলাধ্যায় 
- 
সদগুণ ও বীর্জের ইতিহাস (ঈশপস ফেলস-এর অনুবাদ) 
- 
ক্ষেত্রবাগান বিবরণ 
- 
Murray’s Grammar 
- 
Outline of the History of Bengal 
- 
The History of India 
- 
How Wars Arrive in India 
সংক্ষেপে:
‘দিগদর্শন’ বাংলা ভাষায় সাময়িক সাহিত্যচর্চা ও জনশিক্ষার ভিত্তি স্থাপনকারী পত্রিকা, আর এর সম্পাদক জন ক্লার্ক মার্শম্যান ছিলেন বাংলা সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক অগ্রদূত, যিনি শ্রীরামপুর মিশনের মাধ্যমে শিক্ষা, ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রসারে এক নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের ছোট কাগজ 'কন্ঠস্বর' এর সম্পাদক কে?
Created: 2 weeks ago
A
হুমায়ুন আজাদ
B
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
C
হাসান আজিজুল হক
D
আবুল হাসনাত
বিশ শতকের ষাটের দশকের অন্যতম সাহিত্যপত্রিকা ‘কণ্ঠস্বর’, যা বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে নতুন ভাবধারা ও আধুনিক চিন্তার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, যিনি সাহিত্য, সমালোচনা ও সংস্কৃতি আন্দোলনের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
- 
‘কণ্ঠস্বর’ পত্রিকা মূলত নতুন প্রজন্মের সাহিত্যিকদের চিন্তা ও সৃজনশীলতা প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে ওঠে। 
- 
এটি বাংলাদেশের আধুনিক সাহিত্যচর্চায় নতুন ভাষা, নতুন ভাবনা ও মুক্তচেতা দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারে সহায়ক হয়। 
- 
পত্রিকাটি কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প ও সমালোচনামূলক রচনার মাধ্যমে ষাটের দশকের সাহিত্য আন্দোলনের মুখপত্র হিসেবে পরিচিতি পায়। 
- 
আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের সম্পাদনায় এই পত্রিকা বাংলা সাহিত্যের আধুনিকতার ধারায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago
’মোসলেম ভারত’ পত্রিকার সম্পাদক কে?
Created: 2 weeks ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
মোজাম্মেল হক
C
মীর মশাররফ হোসেন
D
শেখ আলিমুল্লাহ
‘মোসলেম ভারত’ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসিক সাহিত্য সাময়িকী, যা বাংলা মুসলিম সমাজে সাহিত্যচর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এটি ১৯২০ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হলো—
- 
প্রকাশকাল: ১৯২০ সালে মাসিক সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে প্রকাশ শুরু হয়। 
- 
সম্পাদক: শান্তিপুরের কবি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ছিলেন পত্রিকার সম্পাদক। 
- 
প্রথম সংখ্যা: ১৩২৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে (এপ্রিল-মে, ১৯২০) প্রকাশিত হয়। 
- 
শেষ সংখ্যা: ১৩২৮ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে (ডিসেম্বর-জানুয়ারি, ১৯২১-২২) প্রকাশিত হয়। 
- 
প্রচ্ছদ: প্রতিটি সংখ্যার প্রচ্ছদে ইসলামি শিল্পকলার ঐতিহ্যবাহী রূপ ফুটিয়ে তোলা হতো। 
- 
বিশেষ বৈশিষ্ট্য: প্রতি সংখ্যার প্রথম পাতার শীর্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বাণী মুদ্রিত থাকত— 
 “মানব-সংসারে জ্ঞানালোকের দিয়ালি-উৎসব চলিতেছে। প্রত্যেক জাতি আপনার আলোটীকে বড় করিয়া জ্বালাইলে তবে সকলে মিলিয়া এই উৎসব সমাধা হইবে।”
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago