সম্প্রতি, কোন দেশ আর্মেনিয়া-আজারবাইজান শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
A
রাশিয়া
B
তুরস্ক
C
ইরান
D
যুক্তরাষ্ট্র
উত্তরের বিবরণ
আর্মেনিয়া-আজারবাইজান শান্তিচুক্তি ২০২৫ সালের ৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হোয়াইট হাউসে স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তি দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
-
তারিখ ও স্থান: ৮ আগস্ট, ২০২৫, হোয়াইট হাউস (যুক্তরাষ্ট্র)
-
অংশগ্রহণকারী নেতা: আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান
-
আয়োজনের ভূমিকা: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত হয়
-
ফলাফল: কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান এবং দীর্ঘস্থায়ী মিত্রতার ভিত্তি তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
-
অতিরিক্ত চুক্তি: শান্তিচুক্তির পাশাপাশি করিডোর ও বাণিজ্য ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সাথে পৃথক চুক্তি স্বাক্ষর করে
উল্লেখযোগ্য প্রেক্ষাপট:
-
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে বিবাদে লিপ্ত।
-
অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হলেও, ১৯৯৪ সালের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার সমর্থিত জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনী এর নিয়ন্ত্রণ নেয়।
-
পরবর্তী সময়ে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটে দুই দেশের মধ্যে।
-
সর্বশেষ ২০২৩ সালে আজারবাইজান পুনরায় এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।

0
Updated: 20 hours ago
ব্রাসেলস চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 19 hours ago
A
২৫ আগস্ট, ১৯৪৮
B
C
৪ এপ্রিল, ১৯৪৯
D
১২ মার্চ, ১৯৪৭
ব্রাসেলস চুক্তি (Brussels Treaty), ১৯৪৮
-
পরিচিতি: পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলো—ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং লুক্সেমবার্গ—দ্বারা স্বাক্ষরিত একটি নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা চুক্তি।
-
স্বাক্ষর তারিখ: ১৭ মার্চ, ১৯৪৮, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ২৫ আগস্ট, ১৯৪৮
-
উদ্দেশ্য:
-
সম্মিলিত প্রতিরক্ষা জোট গঠন
-
দেশগুলোর মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
-
পশ্চিম ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
-
-
গুরুত্ব:
-
পরবর্তীতে পশ্চিম ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো (NATO) গঠনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে
-
শীতল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোর সমন্বিত প্রতিরক্ষা নীতি প্রতিষ্ঠা করে
-

0
Updated: 19 hours ago
ইসরাইল-প্যালেস্টাইন 'রোডম্যাপ' কর্মসূচির উদ্দেশ্য কি?
Created: 1 month ago
A
সহিংসতা বন্ধ করে ২০০৫ সালের মধ্যে স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা
B
দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন
C
দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য স্থাপন
D
দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সীমানা চিহ্নিতকরণ
নিকারাগুয়ার ‘কন্ট্রা’ বিদ্রোহীরা
নিকারাগুয়ার একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ছিল ‘কন্ট্রা’, যারা দেশটির তৎকালীন বামপন্থি সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে আন্দোলন চালায়। এই বিদ্রোহীদের পেছনে সরাসরি সমর্থন জুগিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন শান্তি প্রক্রিয়া ও ‘অসলো চুক্তি’:
১৯৯৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে উপনীত হয় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন।
যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতায় পৌঁছান ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিন। চুক্তিটি ‘অসলো চুক্তি’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পিএলও পার্টির নেতা ইয়াসির আরাফাত।
চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল দীর্ঘদিনের সংঘাত বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাওয়া। যদিও হামাসসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী তখন থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে।
পরবর্তীতে, ফিলিস্তিনে একটি নির্বাচিত সরকার গঠনের পরিকল্পনা করা হয়, যারা পশ্চিম তীর ও গাজা অঞ্চল মিলিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে বারবার দাবি জানানো হয়েছে যে, তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হতে হবে পূর্ব জেরুসালেম।
অসলো চুক্তির ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একাধিক দফায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের উদ্যোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক ও ইয়াসির আরাফাতের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের নতুন এক আন্দোলন শুরু হয়, যা ‘দ্বিতীয় ইন্তিফাদা’ নামে পরিচিত। এই সহিংস পরিস্থিতি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
২০০৩ সালে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করা হয়। এর লক্ষ্য ছিল, সহিংসতা বন্ধ করে ২০০৫ সালের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথ সুগম করা।
তথ্যসূত্র:
১. বিবিসি বাংলা (প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২৩)
২. ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট (.gov)

0
Updated: 1 month ago
START-2 কী?
Created: 1 month ago
A
টিভিতে সম্প্রচারিত একটি সিরিয়াল
B
বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি চুক্তি
C
কৌশলগত অস্ত্র হ্রাস সংক্রান্ত চুক্তি
D
এর কোনোটিই নয়
START চুক্তি
-
START অর্থাৎ Strategic Arms Reduction Treaty, একটি কৌশলগত অস্ত্র হ্রাস সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
-
এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কৌশলগত অস্ত্রের পরিমাণ হ্রাস ও নিয়ন্ত্রণ করা।
-
START-1 চুক্তির স্বাক্ষর হয় ৩১ জুলাই ১৯৯১ সালে।
-
এরপর START-2 চুক্তিতে স্বাক্ষর হয় ৩ জানুয়ারি ১৯৯৩ সালে।
সূত্র: U.S. Department of State এর সরকারি ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago