“ঐ ক্ষেপেছে পাগলি মায়ের দামাল ছেলে”-কে এই দামাল ছেলে?
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
কামাল পাশা
C
চিত্তরঞ্জন দাস
D
সুভাষ বসু
উত্তরের বিবরণ
কবিতায় "দামাল ছেলে" বলতে কামাল পাশাকে বোঝানো হয়েছে। এটি কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি কবিতা।
- 
কামাল পাশা - 
লেখক: কাজী নজরুল ইসলাম 
- 
উদ্ধৃত অংশ: 
 "ঐ খেপেছে পাগ্লি মায়ের দামাল ছেলে কামাল ভাই,
 অসুর-পুরে শোর উঠেছে জোর্সে সামাল সামাল তাই।
 কামাল! তু নে কামাল কিয়া ভাই!
 হো হো কামাল! তু নে কামাল কিয়া ভাই!"
 
- 
- 
'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থ - 
এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। 
- 
জনপ্রিয় কবিতা: 'বিদ্রোহী', যার জন্য তিনি 'বিদ্রোহী কবি' হিসেবে পরিচিত। 
- 
কাব্যের প্রথম কবিতা: প্রলয়োল্লাস। 
- 
কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে। 
 
- 
- 
অগ্নিবীণা কাব্যের মোট ১২টি কবিতা: - 
প্রলয়োল্লাস 
- 
বিদ্রোহী 
- 
রক্তাম্বর-ধারিণী মা 
- 
আগমণী 
- 
ধূমকেতু 
- 
কামাল পাশা 
- 
আনোয়ার 
- 
রণভেরী 
- 
শাত-ইল-আরব 
- 
খেয়াপারের তরণী 
- 
কোরবানী 
- 
মহররম 
 
- 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
কোন চরণটি সঠিক?
Created: 2 months ago
A
ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা (ভুল উত্তর)
B
ধন্য ধান্যে পুষ্পে ভরা
C
ধণ্যে ধান্যে পুষ্প ভরা
D
ধন্যে ধান্য পুষ্পে ভরা
• 'ধন ধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা' - গানটির রচয়িতা দ্বিজেন্দলাল রায়।

ধন ধান্য পুষ্প ভরা
-- দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
"ধন ধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
ও সে সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।।"
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং 'ধন ধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা'। 
                                                                                             
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি বিশ শতকের পত্রিকা?
Created: 1 month ago
A
শনিবারের চিঠি
B
বঙ্গদর্শন
C
তত্ত্ববােধিনী
D
সংবাদ প্রভাকর
শনিবারের চিঠি, বঙ্গদর্শন, তত্ত্ববোধিনী এবং সংবাদ প্রভাকর পত্রিকাগুলি বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। এই পত্রিকাগুলোর প্রকাশনার সময়কাল, উদ্দেশ্য ও প্রভাব ভিন্ন হলেও প্রত্যেকটি তার সময়ের সাহিত্য-চর্চা ও সামাজিক জ্ঞানের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছে।
- 
শনিবারের চিঠি পত্রিকা: এটি একটি স্যাটায়ারধর্মী সাহিত্যিক পত্রিকা, যা প্রথমে সাপ্তাহিক পরে মাসিক প্রকাশিত হয়। প্রধান উদ্দেশ্য ছিল হাস্য কৌতুকের মাধ্যমে সমসাময়িক সাহিত্য-চর্চাকে সমালোচনা করা। প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে, এবং ১৯৩০-৪০-এর দশকে কলকাতা কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যের জগতে বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করে। পত্রিকার সঙ্গে কল্লোল গোষ্ঠীর দ্বন্দ থাকলেও এটি তৎকালীন সাহিত্যকে অনুপ্রাণিত করেছিল। পত্রিকার প্রাণপুরুষ ছিলেন সজনীকান্ত দাস, যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পত্রিকার প্রকাশনা ও সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন। 
- 
বঙ্গদর্শন পত্রিকা: এটি প্রথম প্রকাশ করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) ১৮৭২ সালে। উনিশ শতকের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের, বিশেষত বাংলা গদ্যের গঠনে, এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। পত্রিকাটি মাত্র চার বছর, ১৮৭৬ পর্যন্ত, প্রকাশিত হয়। 
- 
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা: ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র হিসেবে এটি ১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। পত্রিকার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। 
- 
সংবাদ প্রভাকর পত্রিকা: প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, যিনি ১৮৩১ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৩৯ সাল থেকে এটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হতে থাকে। 
সারসংক্ষেপে দেখা যায়, শনিবারের চিঠি পত্রিকা বিশ শতকে প্রকাশিত হয়, যেখানে বঙ্গদর্শন, তত্ত্ববোধিনী এবং সংবাদ প্রভাকর উনিশ শতকের পত্রিকা।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
'জীবনস্মৃতি' কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
D
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
জীবনস্মৃতি ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জীবনস্মৃতি:
- 
জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী। 
- 
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে। 
- 
বইটিতে ঠাকুর তার শৈশবকাল ও কিশোর জীবনের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। 
- 
বিশেষ করে তিনি বাল্মীকিপ্রতিভা রচনার সময় থেকে গান ও কাব্যের প্রতি মনোনিবেশ করেন। 
- 
এই সময়ে তিনি রচনা করেন সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২) ও প্রভাতসংগীত (১৮৮৩)। 
- 
তাঁর জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও অনুভূতি এই আত্মজীবনীতে প্রকাশ পেয়েছে। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
- 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার, কথাসাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক। 
- 
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা, জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে। 
- 
পিতা: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর; পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। 
- 
বাল্যকাল থেকেই তাঁর প্রতিভা প্রকাশ পেয়েছিল। 
- 
মাত্র ১৫ বছর বয়সে বনফুল কাব্য প্রকাশিত হয়। 
- 
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেল সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। 
- 
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮), জোড়াসাঁকরের বাড়িতে। 
নাটক ও প্রবন্ধ:
- 
উল্লেখযোগ্য নাটক: বিসর্জন, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, চিরকুমার সভা, রক্তকরবী, তাসের দেশ। 
- 
উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ: পঞ্চভূত, বিচিত্রপ্রবন্ধ, সাহিত্য, মানুষের ধর্ম, কালান্তর, সভ্যতার সংকট। 
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago