ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
A
চৌবেরিয়া গ্রাম, নদীয়া
B
কাঁঠালপাড়া গ্রাম, চব্বিশ পরগনা
C
বীরসিংহ গ্রাম, মেদিনীপুর
D
দেবানন্দপুর গ্রাম, হুগলি
উত্তরের বিবরণ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন প্রখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক এবং জনহিতৈষী। তিনি বাংলা সমাজ ও শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং তার কর্মের মাধ্যমে সমাজে শিক্ষা ও সংস্কারের আলোকপাত ঘটিয়েছেন।
- 
পূর্ণ নাম: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 
- 
জন্ম: ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, বীরসিংহ গ্রাম, মেদিনীপুর জেলা, পশ্চিমবঙ্গ 
- 
উপাধি: ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে 
- 
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতালপঞ্চবিংশতি 
- 
আত্মজীবনী: বিদ্যাসাগর চরিত বা আত্মচরিত 
বিদ্যাসাগরের কিছু বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম
- 
শকুন্তলা 
- 
সীতার বনবাস 
- 
ভ্রান্তিবিলাস 
শিক্ষামূলক গ্রন্থ:
- 
আখ্যান মঞ্জরী 
- 
বোধোদয় 
- 
বর্ণপরিচয় 
- 
কথামালা 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অনুবাদ গ্রন্থ 'শকুন্তলা' কোন কবির রচনা অবলম্বনে অনুবাদ করা হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
বাল্মীকি
B
কালিদাস
C
মার্শম্যান
D
মৈনাসত
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০–১৮৯১)
- 
পূর্ণ নাম: ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। 
- 
তিনি অনেক সময় “ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা” নামেও স্বাক্ষর করতেন। 
- 
সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অসাধারণ পাণ্ডিত্যের জন্য ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে “বিদ্যাসাগর” উপাধি প্রদান করে। 
- 
১৮৪১ সালের ২৯ ডিসেম্বর, মাত্র একুশ বছর বয়সে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান পণ্ডিত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। 
- 
তাঁর আত্মজীবনীমূলক অসমাপ্ত রচনা: ‘আত্মচরিত’। 
অনুবাদ গ্রন্থসমূহ
- 
ভ্রান্তিবিলাস – শেক্সপিয়রের Comedy of Errors অবলম্বনে। 
- 
বেতালপঞ্চবিংশতি – হিন্দি বৈতালপচ্চিসি এর বঙ্গানুবাদ। 
- 
শকুন্তলা – কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলাম অনুসারে। 
- 
সীতার বনবাস – রামায়ণ অনুসারে। 
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; উচ্চমাধ্যমিক সাহিত্যপাঠ; বাংলাপিডিয়া
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের জনক কে?
Created: 2 days ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাঁকে ‘বাংলা সাহিত্যের জনক’ বলা হয় কারণ তিনিই প্রথম আধুনিক বাংলা গদ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন। তাঁর রচনায় ভাষার সরলতা, স্বাভাবিকতা ও যুক্তিবোধের প্রকাশ ঘটে। তাঁর সাহিত্যচর্চা ও সংস্কারমূলক কাজ বাংলা সমাজে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
মূল তথ্যসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো—
- 
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ সালে মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়েও তিনি অধ্যবসায়ের মাধ্যমে কোলকাতার সংস্কৃত কলেজ থেকে শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হন। 
- 
ভাষা সংস্কার: বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে সহজ, প্রাঞ্জল ও সাধারণ পাঠকের উপযোগী করে তুলেছিলেন। তাঁর আগে বাংলা গদ্যে সংস্কৃত ভাষার প্রভাব প্রবল ছিল, যা সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য মনে হতো। তিনি সেই কঠিন ভাষার পরিবর্তে সহজবোধ্য, কথ্যরীতির বাংলা চালু করেন। ফলে বাংলা ভাষা প্রথমবারের মতো সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে মিশে যায়। 
- 
সাহিত্যকর্ম: তাঁর বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’, ‘শকুন্তলা’, ‘সিতার বনবাস’, ‘বার্ণপরিচয়’ ইত্যাদি। বিশেষত ‘বার্ণপরিচয়’ বাংলা শিক্ষার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অবদান। এই বইয়ের মাধ্যমে শিশুদের জন্য বাংলা বর্ণমালা শেখা সহজ হয় এবং এটি আজও প্রাথমিক শিক্ষার প্রথম পাঠ্যবই হিসেবে ব্যবহৃত। 
- 
সামাজিক সংস্কার: বিদ্যাসাগর শুধু সাহিত্যিকই নন, তিনি ছিলেন সমাজসংস্কারকও। তিনি বিধবা বিবাহ প্রবর্তন ও নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ১৮৫৬ সালে ব্রিটিশ সরকার ‘হিন্দু বিধবা বিবাহ আইন’ পাশ করে। এছাড়া মেয়েদের বিদ্যালয় স্থাপনে তিনি নেতৃত্ব দেন এবং নারী শিক্ষার পথ খুলে দেন। 
- 
শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান: তিনি সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় শিক্ষাব্যবস্থায় বাস্তবধর্মী ও আধুনিক পদ্ধতির প্রবর্তন হয়। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষা মানুষের মনের অন্ধকার দূর করে সমাজকে আলোকিত করতে পারে। 
- 
ভাষা ও সাহিত্যে প্রভাব: বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতি পরবর্তীকালে বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, প্রমথ চৌধুরী প্রমুখের লেখায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি বাংলা গদ্যের পথপ্রদর্শক হিসেবে নতুন ধারার সূচনা করেন। এজন্যই তাঁকে যথার্থভাবে ‘বাংলা সাহিত্যের জনক’ বলা হয়। 
- 
মৃত্যু: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ২৯ জুলাই ১৮৯১ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তাঁর আদর্শ, সাহিত্য ও মানবপ্রেম আজও বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতিতে অমর হয়ে আছে। 
সব মিলিয়ে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কেবল একজন সাহিত্যিক নন, তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার স্থপতি, সমাজসংস্কারক ও শিক্ষার আলোকবর্তিকা। তাঁর প্রবর্তিত সহজ গদ্যরীতি এবং মানবিক আদর্শ বাংলা সাহিত্যের ভিত্তিকে দৃঢ় করে তুলেছিল, যার জন্যই তিনি অনন্যভাবে পরিচিত বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 days ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণগ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
B
ব্যাকরণ কৌমুদী
C
ব্যাকরণ মঞ্জরী
D
ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সমাজ সংস্কারে এক অগ্রণী ব্যক্তি। তিনি শুধু শিক্ষাবিদ ও লেখক ছিলেন না, বরং সমাজসংস্কারক এবং জনহিতৈষী হিসেবেও খ্যাত।
- 
জন্ম: ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে। 
- 
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে। 
- 
তিনি বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে পরিচিত। 
- 
বাংলা গদ্যে প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন। 
- 
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতাল পঞ্চবিংশতি 
- 
ব্যাকরণগ্রন্থ: ব্যাকরণ কৌমুদী 
- 
মৃত্যু: ২৯ জুলাই ১৮৯১ 
বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থ:
- 
শকুন্তলা 
- 
সীতার বনবাস 
- 
ভ্রান্তিবিলাস 
অন্যান্য ব্যাকরণগ্রন্থ ও রচয়িতা:
- 
গৌড়ীয় ব্যাকরণ → রাজা রামমোহন রায় 
- 
ব্যাকরণ মঞ্জরী → ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক 
- 
ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ → সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago