ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
A
চৌবেরিয়া গ্রাম, নদীয়া
B
কাঁঠালপাড়া গ্রাম, চব্বিশ পরগনা
C
বীরসিংহ গ্রাম, মেদিনীপুর
D
দেবানন্দপুর গ্রাম, হুগলি
উত্তরের বিবরণ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন প্রখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক এবং জনহিতৈষী। তিনি বাংলা সমাজ ও শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং তার কর্মের মাধ্যমে সমাজে শিক্ষা ও সংস্কারের আলোকপাত ঘটিয়েছেন।
-
পূর্ণ নাম: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
জন্ম: ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, বীরসিংহ গ্রাম, মেদিনীপুর জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
-
উপাধি: ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে
-
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতালপঞ্চবিংশতি
-
আত্মজীবনী: বিদ্যাসাগর চরিত বা আত্মচরিত
বিদ্যাসাগরের কিছু বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম
-
শকুন্তলা
-
সীতার বনবাস
-
ভ্রান্তিবিলাস
শিক্ষামূলক গ্রন্থ:
-
আখ্যান মঞ্জরী
-
বোধোদয়
-
বর্ণপরিচয়
-
কথামালা

0
Updated: 22 hours ago
অক্ষয়কুমার অবসর নিলে 'তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার সম্পাদক হন কে?
Created: 2 weeks ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
✦ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা
-
প্রকাশকাল: ১৬ আগস্ট, ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে।
-
প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
প্রথম সম্পাদক: অক্ষয়কুমার দত্ত।
-
সম্পাদনা দায়িত্বকাল: অক্ষয়কুমার দত্ত ১৮৪৩ – ১৮৫৫ পর্যন্ত।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
উদার, বিজ্ঞানমনস্ক ও দেশসচেতন পত্রিকা।
-
বাঙালি সমাজে জাগরণ ও আধুনিক চিন্তার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
-
পরবর্তী সম্পাদক: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
-
বিশেষ তথ্য: অক্ষয়কুমারের সম্পাদনা-কালকে পত্রিকার স্বর্ণযুগ বলা হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
কোন লেখক ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের হেড পণ্ডিত পদে নিযুক্ত ছিলেন?
Created: 5 days ago
A
গোলকনাথ শর্মা
B
চণ্ডীচরণ মুনশী
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
রামরাম বসু
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর:
-
বাংলা গদ্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
-
তিনি বাংলা গদ্যে যতি বা বিরামচিহ্নের প্রবর্তন করেন।
-
বাংলা গদ্য প্রবাহ সমৃদ্ধির জন্য তিনি ‘উচ্চবচন ধ্বনিতরঙ্গ’ ও ‘অনতিলক্ষ্য ছন্দঃস্রোত’ সৃষ্টি করেন।
-
তিনি বাংলা গদ্যকে গতিশীল করে প্রাণদান করেছেন।
-
বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যে সুললিত শব্দবিন্যাস, পদবিভাগ ও যতিসন্নিবেশে সুবোধ্য ও শিল্প গুণান্বিত করে তোলেন।
-
বাংলা গদ্যকে তিনি সাহিত্যগুণসম্পন্ন ও সর্বভাব প্রকাশক্ষম করেছিলেন বলেই তাঁকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
-
তিনি ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে ডিসেম্বর ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের হেড পণ্ডিত পদে নিযুক্তি হন।
উল্লেখ্য,
-
চণ্ডীচরণ মুনশী ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের বাংলা বিভাগের অন্যতম অধ্যাপক।
-
তিনি ১৮০৫ খ্রিষ্টাব্দে কাদির বখশ রচিত ফারসী গ্রন্থ ‘তুতীনামা’ বাংলায় অনুবাদ করেন।
অন্যদিকে,
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিতগণ হলেন:
-
উইলিয়াম কেরী
-
রামরাম বসু
-
গোলকনাথ শর্মা
-
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
-
তারিণীচরণ মিত্র
-
রাজীবলোচন
-
চণ্ডীচরণ মুনশী
-
হরপ্রসাদ রায় ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; লাল নীল দীপাবলি – হুমায়ুন আজাদ; বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 5 days ago
ঈশ্বরচন্দ্র কত সালে 'বিদ্যাসাগর' উপাধি লাভ করেন?
Created: 1 week ago
A
১৮২৯ সালে
B
১৮২৫ সালে
C
১৮৩৯ সালে
D
১৮৩১ সালে
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক পদবি ছিল 'বন্দ্যোপাধ্যায়' এবং পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকৃত নাম ছিল ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্বাক্ষর করার সময় 'ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা' নামও ব্যবহার করতেন।
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ছিল বেতাল পঞ্চবিংশতি।
বিদ্যাসাগরের কয়েকটি বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে শকুন্তলা, সীতার বনবাস এবং ভ্রান্তিবিলাস। তিনি শিক্ষামূলক গ্রন্থও রচনা করেছেন, যেমন আখ্যান মঞ্জুরী, বোধোদয়, বর্ণপরিচয় এবং কথামালা।
উৎস
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago