বড় > বড্ড - এটি কোন ধরনের পরিবর্তন?
A
বিষমীভবন
B
সমীভবন
C
ব্যঞ্জনদ্বিত্ব
D
ব্যঞ্জন-বিকৃতি
উত্তরের বিবরণ
দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্ব হলো এমন একটি ঘটনা যেখানে কখনো কখনো শব্দের মধ্যে থাকা ব্যঞ্জনধ্বনিটি জোর দেওয়ার জন্য দুইবার উচ্চারিত হয়। এটি শব্দের স্বাভাবিক ধ্বনির তুলনায় অতিরিক্ত জোর প্রদর্শন করে।
-
যেমন, পাকা শব্দটি উচ্চারিত হয় পাক্কা হিসেবে;
-
সকাল শব্দটি উচ্চারিত হয় সক্কাল হিসেবে;
-
অনুরূপভাবে, বড় শব্দটি উচ্চারিত হয় বড্ড হিসেবে।
এই নিয়মটি বাংলা ভাষার উচ্চারণে বিশেষভাবে দেখা যায় এবং এটি বাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

0
Updated: 22 hours ago
‘মহাকীর্তি’ – এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 1 hour ago
A
মহতী যে কীর্তি
B
মহা যে কীর্তি
C
মহান যে কীর্তি
D
মহান কীর্তি যার
মহাকীর্তি সমাসটি কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় সমাসে পরপদের অর্থ প্রধান হয়। পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে কর্মধারয় সমাসে সেটি পুরুষবাচক হয়। যেমন: মহতী যে কীর্তি - মহাকীর্তি।

0
Updated: 1 hour ago
'সবুজপত্র' প্রকাশিত হয় কোন সালে?
Created: 3 weeks ago
A
১৯০৯
B
১৯১০
C
১৯১৪
D
১৯২১
সবুজপত্র পত্রিকা
বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যরীতি প্রথম প্রবর্তন করেন প্রমথ চৌধুরী। তিনি ১৯১৪ সালে (বৈশাখ ১৩২১ বঙ্গাব্দ) মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন, যা প্রায় ১৩ বছর ধরে প্রকাশিত হয়েছিল। এই পত্রিকার মাধ্যমেই বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতি প্রতিষ্ঠা পায়।
প্রমথ চৌধুরী
-
বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপ নিয়ে প্রথম তুলনামূলক আলোচনা করেন প্রমথ চৌধুরী।
-
তিনি ছিলেন চলিত গদ্যের প্রবর্তক ও একাধারে বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বীরবলের হালখাতা’ নামক প্রবন্ধে প্রথম তিনি চলিত রীতির ব্যবহার করেন।
-
বাংলা কাব্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট রূপ প্রবর্তন করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪) বাংলা গদ্যে এক নতুন যুগের সূচনা করে।
প্রবন্ধগ্রন্থসমূহ
-
নানা কথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
প্রবন্ধ সংগ্রহ
-
বীরবলের হালখাতা
-
তেল-নুন-লকড়ি
গল্পগ্রন্থসমূহ
-
চার ইয়ারী কথা
-
নীললোহিত
-
আহুতি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোন শব্দটি রোগ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 2 hours ago
A
মাথা ব্যথা
B
মাথা ঘামান
C
মাথা ধরা
D
মাথা দেয়া
মাথা ব্যথা এটি একটি উপসর্গ বা লক্ষণ, তবে সরাসরি রোগ নয়।
-
মাথা ঘামান মানসিক পরিশ্রম করা বা চিন্তায় মগ্ন হওয়া বোঝায়, রোগ নয়।
-
মাথা ধরা বাংলা ভাষায় এটি মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনজনিত অসুস্থতার সমার্থক, অর্থাৎ রোগ নির্দেশক শব্দ।
-
মাথা দেওয়া আত্মসমর্পণ বা সঁপে দেওয়া বোঝায়, রোগ নয়।
তাই “মাথা ধরা” শব্দটিই রোগ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

0
Updated: 2 hours ago