কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
A
কাঁদো নদী কাঁদো
B
নেকড়ে অরণ্যে
C
রাঙা প্রভাত
D
প্রদোষে প্রাকৃতজন
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য ও গুরুত্বপূর্ণ বাংলা লেখকদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিচে উপস্থাপন করা হলো। এই তথ্যগুলো মূলভাব অক্ষুণ্ণ রেখে সাজানো হয়েছে, প্রয়োজনে কিছু অতিরিক্ত ব্যাখ্যা যোগ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস 'নেকড়ে অরণ্য' এর লেখক শওকত ওসমান এবং এটি ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়।
শওকত ওসমান
- 
তিনি ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 
- 
প্রকৃত নাম ছিল শেখ আজিজুর রহমান। 
- 
তিনি একজন কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক ছিলেন। 
- 
প্রধানত উপন্যাস ও গল্পের রচয়িতা হিসেবে পরিচিত, তবে প্রবন্ধ, নাটক, রম্যরচনা, স্মৃতিকথা ও শিশুতোষ গ্রন্থও রচনা করেছেন। 
- 
তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো 'জননী' এবং 'ক্রীতদাসের হাসি'। জননীতে সামাজিক জীবন এবং ক্রীতদাসের হাসিতে রাজনৈতিক জীবনের কিছু অন্ধকার দিক উন্মোচিত হয়েছে। 
- 
তিনি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যেমন: বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬২), আদমজি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), একুশে পদক (১৯৮৩), ফিলিপস পুরস্কার (১৯৯১), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৭)। 
- 
১৯৯৮ সালের ১৪ই মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 
শওকত ওসমানের রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসসমূহ:
- 
জাহান্নম হইতে বিদায় 
- 
দুই সৈনিক 
- 
নেকড়ে অরণ্য 
- 
জলাংগী 
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বাংলা উপন্যাস ও লেখক:
- 
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত 'কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসে গ্রামীণ ও কুমারডাঙ্গার শহুরে পরিবেশ এবং মানুষের ক্ষুদ্র সুখ-দুঃখের সামষ্টিক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে। 
- 
আবুল ফজল রচিত 'রাঙা প্রভাত'। 
- 
শওকত আলী রচিত 'প্রদোষে প্রাকৃতজন' উপন্যাসে রাজা লক্ষণ সেনের সময়ের সমাজ ও মানুষের দ্বন্দ্ব তুলে ধরা হয়েছে। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
'পাঁচটি বছর' - এখানে 'পাঁচটি' কোন পদ?
Created: 1 month ago
A
বিশেষ্য
B
বিশেষণ
C
অব্যয়
D
ক্রিয়াবিশেষণ
• 'পাঁচটি বছর' - এখানে 'পাঁচটি' সংখ্যাবাচক বিশেষণ পদ।
• নাম বিশেষণ:
- যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে।
নাম বিশেষণের প্রকারভেদ:
ক. রূপবাচক: নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, কালো মেঘ।
খ. গুণবাচক: চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠাণ্ডা হাওয়া।
গ. অবস্থাবাচক: তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোঁড়া পা।
ঘ. সংখ্যাবাচক: হাজার লোক, দশ দশা, শ টাকা।
ঙ. ক্রমবাচক: দশম শ্রেণি, সত্তর পৃষ্ঠা, প্রথমা কন্যা।
চ. পরিমাণবাচক: বিঘাটেক জমি, পাঁচ শতাংশ ভূমি, হাজার টনী জাহাজ, এক কেজি চাল, দু কিলোমিটার রাস্তা।
ছ. অংশবাচক: অর্ধেক সম্পত্তি, ষোল আনা দখল, সিকি পথ।
জ. উপাদানবাচক: বেলে মাটি, মেটে কলসি, পাথুরে মূর্তি।
ঝ. প্রশ্নবাচক: কতদূর পথ? কেমন অবস্থা?
ঞ. নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক: এই লোক, সেই ছেলে, ছাব্বিশে মার্চ।
উৎস: 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
'নৌকাডুবি' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত-
Created: 1 month ago
A
নাটক
B
ছোটগল্প
C
উপন্যাস
D
শিশুতোষ গ্রন্থ
নৌকাডুবি
- 
রচয়িতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
- 
ধরন: উপন্যাস 
- 
প্রকাশ: ১৩১০-১১ বঙ্গাব্দে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় 
- 
বিষয়: জটিল পারিবারিক সম্পর্ক ও সমস্যা 
- 
প্রধান চরিত্র: রমেশ, হেমনলিনী, কমলা, অন্নদাবাবু 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- 
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা, জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার 
- 
পিতা: মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
- 
পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর 
- 
অবস্থান: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান 
রবীন্দ্রনাথের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
- 
বউ ঠাকুরাণীর হাট 
- 
রাজর্ষি 
- 
চোখের বালি 
- 
নৌকাডুবি 
- 
ঘরে-বাইরে 
- 
যোগাযোগ 
উৎস:
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
'কি চাহ শঙ্খচিল' মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম?
Created: 1 month ago
A
কাব্যগ্রন্থ
B
নাটক
C
উপন্যাস
D
চলচ্চিত্র
মমতাজ উদ্দীন আহমেদ রচিত ‘কি চাহ শঙ্খচিল’ একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক, যেখানে বীরাঙ্গনার জীবনকাহিনি কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে ফুটে উঠেছে। ১৯৮৩-৮৪ সালে রচিত এই নাটকে প্রেম, স্বাধীনতা ও প্রতিবাদের অনন্য সমন্বয় ঘটেছে।
- 
নাটকটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং বীরাঙ্গনার গল্প তুলে ধরেছে। 
- 
শঙ্খচিল এখানে প্রতীকী রূপে ব্যবহৃত হয়েছে, যা একাত্তরের অশুভ শক্তি তথা শকুনের প্রতিচ্ছবি। 
- 
নাটকের প্রধান চরিত্র রৌশনারা হানাদারদের দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার আগেই সন্তানসম্ভবা হয়। 
- 
রৌশনারার স্বামী লোভের বশে বীরাঙ্গনা স্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে অর্থ উপার্জন করে। 
- 
নাটকটির মূল বক্তব্য হলো—বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে অসংখ্য আত্মত্যাগ ও ত্যাগস্বীকারের বিনিময়ে। 
উৎস:
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago