দৌলত উজির বাহরাম খান সাহিত্যসৃষ্টিতে কার পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করেন?
A
সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
B
কোরেশী মাগন ঠাকুর
C
সুলতান বরবক শাহ
D
জমিদার নিজাম শাহ
উত্তরের বিবরণ
দৌলত উজির বাহরাম খান ছিলেন একজন প্রখ্যাত কাব্যকার, যিনি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারা অনুসরণ করে ‘লাইলী-মজনু’ কাব্য রচনা করেন, যা বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিনি সাহিত্য সৃষ্টিতে ‘জমিদার নিজাম শাহ’-এর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। কবির আত্মপরিচয় থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না, তবে জানা যায় যে তিনি চট্টগ্রামের ফতেহবাদ বা জাফরাবাদের অধিবাসী ছিলেন। তার পিতা মোবারক খান চট্টগ্রামের অধিপতির কাছ থেকে ‘দৌলত উজির’ উপাধি লাভ করেন এবং পূর্বপুরুষ হামিদ খান গৌড়ের সুলতান হুসেন শাহের প্রধান আমত্য ছিলেন।
বাহরাম খান অল্প বয়সে পিতৃহীন হলে চট্টগ্রামের অধিপতি নেজাম শাহ সুর তাঁকে পিতৃপদ (উজির) হিসেবে গ্রহণ করেন। নিজাম শাহ গৌড়ের নৃপতি থাকাকালীন সময়ে তিনি ‘লাইলী-মজনু’ কাব্য রচনা করেন।
প্রধান তথ্যসমূহ:
- 
দৌলত উজির বাহরাম খান রচিত ‘লাইলী-মজনু’ কাব্যটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান কাব্যধারায় গুরুত্বপূর্ণ। 
- 
সাহিত্য সৃষ্টিতে তিনি জমিদার নিজাম শাহ-এর পৃষ্ঠপোষকতা পান। 
- 
কবির ব্যক্তিজীবন থেকে জানা যায়, তিনি চট্টগ্রামের ফতেহবাদ বা জাফরাবাদ এলাকার অধিবাসী ছিলেন। 
- 
পিতা মোবারক খান ‘দৌলত উজির’ উপাধি লাভ করেন; পূর্বপুরুষ হামিদ খান ছিলেন গৌড়ের সুলতান হুসেন শাহের প্রধান আমত্য। 
- 
পিতৃহীন অবস্থায় নেজাম শাহ সুর তাঁকে উজির পদ দেন। 
- 
নিজাম শাহ গৌড়ের নৃপতি থাকাকালীন সময়ে ‘লাইলী-মজনু’ রচনা করা হয়। 
- 
দৌলত উজির বাহরাম খানের দুটি আখ্যানকাব্য: লায়লী-মজনু ও ইমাম-বিজয়। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
পত্র শব্দটির আভিধানিক ও ব্যবহারিক অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
যোগাযোগ
B
বিনিময়
C
চিহ্ন বা স্মারক
D
সংযোগ
পত্র শব্দের আভিধানিক অর্থ - চিহ্ন বা স্মারক। সুলিখিত পত্র অনেক সময় সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করে। পত্র লেখার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। সবগুলো নিয়ম না মানলে পত্র লেখার উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।
পত্র বিভিন্ন প্রকার যেমন: মানপত্র, অভিনন্দন পত্র, স্মারকপত্র, ব্যক্তিগত পত্র ইত্যাদি।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
"প্রাণের বান্ধব রে বুড়ি হইলাম তোর কারণে।" - গানটির গীতিকার কে?
Created: 2 months ago
A
শাহ আবদুল করিম
B
রাধারমন
C
শেখ ওয়াহিদ
D
কুদ্দুস বয়াতি
“পরানের বান্ধবরে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে”—এই জনপ্রিয় গানটির গীতিকার হলেন লোককবি শেখ ওয়াহিদুর রহমান। গানটি গেয়েছেন সুফিয়া কাঙালিনী।
শেখ ওয়াহিদুর রহমান (জন্ম: ১৯৩৯) মূলত সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার এক নির্জন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। ফলে তাঁর গানে গ্রামীণ মাটি, প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক স্বাদ সবসময়ই পাওয়া যায়।
তিনি যদিও খুব পরিচিত নাম নন, তবে তাঁর অনেক গান আমরা শুনি—কিন্তু গীতিকারের নাম উল্লেখ না থাকায় সাধারণ মানুষ তাঁকে চিনতে পারে না। এজন্য অনেক ক্ষেত্রে গানগুলোকে “অজ্ঞাত গীতিকার” হিসেবে ধরা হয়। অথচ শেখ ওয়াহিদ এই লোকগানের জগতে যথেষ্ট পরিচিত ও সম্মানিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে মজার ছলে “দুষ্ট ছেলে” নামে ডাকতেন।
তিনি সহজ-সরল ভাষায় গান লিখে ‘বাউল কবি’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁর গানে বৈচিত্র্য অনন্য—পল্লিগীতি, ভাটিয়ালি, গণসঙ্গীত, মরমি ও আধ্যাত্মিক ধারা ছাড়াও শাক্ত পদাবলি লিখেছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো:
- 
আমার মাটির গাছে লাউ ধইরাছে 
- 
অপূর্ব তটিনী ওগো 
- 
অমৃত কূপের সুধা খেলে 
- 
অলি দরবেশ কারে বলে 
- 
আল-আরাবি নাবীজি আমার 
- 
আদমকে বানাইয়া খোদা 
এছাড়াও তিনি বহু বিয়ের গানও রচনা করেছেন। যেমন—
- 
মেনদি বাটো তোমরা সখি 
- 
মিতু আসবে নওশা সেজে 
- 
আজ ঝিলমিল ঝিলমিল 
- 
পালকি চড়ে যাইগো ভাবি 
- 
বিয়াই মজলিসে দেখবে 
- 
সখীরা সব সাজাও কন্যা 
তাঁর গান শুনলেই বোঝা যায়—শেখ ওয়াহিদ লোকবাংলার সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি।
উৎস: ‘শেখ ওয়াহিদ গীতি সমগ্র’ – শেখ ওয়াহিদুর রহমান
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
'ধর্ম সাধারণ লোকের সংস্কৃতি, আর সংস্কৃতি শিক্ষিত মার্জিত লোকের ধর্ম।'- কে বলেছেন?
Created: 2 months ago
A
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
B
রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী
C
প্রমথ চৌধুরী
D
কাজী আব্দুল ওদুদ
মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘সংস্কৃতি কথা’ প্রবন্ধগ্রন্থ
গ্রন্থ পরিচিতি:
- 
মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মৃত্যুর পর, সিকান্দার আবু জাফর সমকাল প্রকাশনী তাঁর প্রবন্ধগুলো একত্রিত করে ‘সংস্কৃতি কথা’ শিরোনামে প্রকাশ করেন। 
- 
এতে মোট ত্রিশটি প্রবন্ধ স্থান পায়। 
- 
বাংলা একাডেমি ১৯৭০ সালে এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করে। 
বিখ্যাত উক্তি:
- 
“মানুষের বৃদ্ধি কেবল দৈহিক নয়, আত্মিকও।” 
- 
“ধর্ম সাধারণ মানুষের সংস্কৃতি, আর সংস্কৃতি শিক্ষিত ও মার্জিত মানুষের ধর্ম।” 
মোতাহের হোসেন চৌধুরী: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
- 
তিনি শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক। জন্ম নোয়াখালীর কাঞ্চনপুর গ্রামে। 
- 
প্রবন্ধের গদ্যশৈলীতে প্রমথ চৌধুরী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব লক্ষণীয়। 
- 
তিনি বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 
- 
‘সংস্কৃতি কথা’ তাঁর প্রধান প্রবন্ধগ্রন্থ। 
- 
এছাড়াও তিনি বার্ট্রান্ড রাসেলের ‘Conquest of Happiness’ এবং ক্লাইভ বেল-এর ‘Civilization’ এর ভাবানুবাদ করেছেন। 
- 
মুক্তবুদ্ধিচর্চার প্রবক্তা, উদার মানবতাবাদী এবং মননশীল প্রবন্ধকার হিসেবে তাঁর খ্যাতি সুপ্রতিষ্ঠিত। 
নির্বাচিত প্রবন্ধসমূহ
- 
আমাদের দৈন্য 
- 
আদেশপন্থী ও অনুপ্রেরণাপন্থী 
- 
মুসলমান সাহিত্যিকদের চিন্তাধারা 
উৎস: ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago