মনসা দেবীকে নিয়ে লেখা বিজয়গুপ্তের মঙ্গলকাব্যের নাম কী?
A
মনসামঙ্গল
B
মনসাবিজয়
C
পদ্মপুরাণ
D
পদ্মাবতী
উত্তরের বিবরণ
মনসা দেবীকে কেন্দ্র করে লেখা মনসামঙ্গল কাব্যগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রচনা হলো পদ্মপুরাণ, যা কবি বিজয়গুপ্ত রচনা করেছেন। পদ্মপুরাণ মনসামঙ্গল কাব্যের একটি শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হিসেবে পরিচিত এবং কাব্যধারার ইতিহাসে এটি বিশেষ গুরুত্ব রাখে।
মনসামঙ্গল কাব্যসমূহে দেবতা, মানুষের সম্পর্ক, সামাজিক দ্বন্দ্ব এবং অলৌকিক শক্তির বিষয়গুলি ফুটে উঠেছে। এছাড়া, মনসামঙ্গলের অন্যান্য কবিরাও এই ধারা অনুসরণ করেছেন, যেমন নারায়ণ দেব ও বিপ্রদাস পিপিলাই।
মনসামঙ্গল ও পদ্মপুরাণ
-
মনসামঙ্গল কাব্যধারার অন্যতম কবি বিজয়গুপ্ত, যিনি পদ্মপুরাণ রচনা করেছেন।
-
পদ্মপুরাণ মনসামঙ্গল কাব্যের অপর নাম হিসেবেও পরিচিত।
-
বিজয়গুপ্ত প্রাপ্ত পুঁথিভিত্তিক প্রাচীনতম মনসামঙ্গল কাব্যের কবি।
-
মনসামঙ্গলের আরেকজন কবি নারায়ণ দেব, যিনি তার রচিত কাব্যেও পদ্মপুরাণ নাম ব্যবহার করেছেন।
-
বিপ্রদাস পিপিলাই রচনা করেছেন মনসাবিজয়।
মনসামঙ্গল কাব্যের বৈশিষ্ট্য ও আখ্যান
-
মনসামঙ্গল কাব্যগুলির মধ্যে প্রাচীনতম।
-
সাপের দেবী মনসাকে কেন্দ্র করে স্তব, কাহিনি ও অলৌকিক ঘটনা নিয়ে রচিত।
-
চাঁদ সওদাগর প্রথমে মনসার প্রতি বিরূপতা দেখান, পরে তার অলৌকিক শক্তির প্রভাব স্বীকার করে বশ্যতা স্বীকার করেন।
-
দেবতা ও মানুষের দ্বন্দ্ব, সামাজিক শ্রেণিবৈষম্য এবং আর্য-অনার্য দ্বন্দ্ব কাব্যে প্রতিফলিত।
-
কাব্যের প্রাথমিক কবি: কানা হরিদত্ত।
মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র:
-
বেহুলা
-
লখিন্দর
-
সনকা
-
সাপের দেবী মনসা
-
মধ্যযুগের সংগ্রামী নারী চরিত্র হিসেবে বেহুলা উল্লেখযোগ্য।

0
Updated: 22 hours ago
বাক্যের দুটি অংশ থাকে
Created: 2 days ago
A
প্রসাদগুণ, মাধুৰ্যগুণ
B
উপমা, অলংকার
C
উদ্দেশ্য, বিধেয়
D
সাধু, চলিত
বাক্যের গঠন দুটি প্রধান অংশ নিয়ে তৈরি, যা হলো উদ্দেশ্য এবং বিধেয়। বাক্যের উদ্দেশ্য হলো সেই অংশ যেখানে কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয়,
আর বিধেয় হলো সেই অংশ যা কর্তা বা উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বাক্যে তথ্য বা কার্য প্রকাশ করে। এই দুটি অংশের মাধ্যমে একটি বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ হয়।
-
উদ্দেশ্য: বাক্যের সেই অংশ যেখানে কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ:
-
মামুন বল খেলে।
এখানে 'মামুন' হলো বাক্যের উদ্দেশ্য, কারণ বাক্যটি তাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে।
-
-
বিধেয়: কর্তা বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাক্যে যা কিছু বলা হয়, সেই অংশকে বিধেয় বলে। সাধারণত বিধেয় অংশে ক্রিয়া থাকে। উদাহরণস্বরূপ:
-
মামুন বল খেলে।
এখানে 'বল খেলে' অংশটি বাক্যের বিধেয়, কারণ এটি কর্তা 'মামুন' সম্বন্ধে কার্য প্রকাশ করছে।
-

0
Updated: 2 days ago
ব্যক্তিগত পত্রের ওপরের ডান কোণে কী লেখা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
সম্ভাষণ
B
পত্রলেখকের স্থান ও তারিখ
C
প্রাপকের ঠিকানা
D
মঙ্গলসূচক শব্দ
ব্যক্তিগত পত্র বা অন্য যেকোনো চিঠি লেখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানা হয়।
-
পত্রের উপরের ডান কোণে সাধারণত লেখকের স্থান ও তারিখ লেখা হয়।
-
বাম দিকে প্রাপকের নাম ও ঠিকানা লেখা হয় (যদি প্রয়োজন হয়)।
-
এরপর শুরুতে সম্ভাষণ ব্যবহার করা হয় (যেমন – প্রিয় বন্ধু, স্নেহের ভাই ইত্যাদি)।
-
শেষে বিদায় সম্ভাষণ (যেমন – ইতি, তোমার বন্ধু ইত্যাদি) ও স্বাক্ষর দেওয়া হয়।
অতএব, ব্যক্তিগত পত্রের উপরের ডান কোণে "পত্রলেখকের স্থান ও তারিখ" লেখা হয়। ✅

0
Updated: 2 weeks ago
'আমার ঘরের চাবি পরের হাতে'-গানটির রচয়িতা কে?
Created: 1 week ago
A
লালন শাহ্
B
হাসন রাজা
C
পাগলা কানাই
D
রাধারমণ দত্ত
লালন শাহ্ (১৭৭২–১৮৯০) ছিলেন বাউল সাধনার একজন প্রধান গুরু এবং বাউল গানের সর্বাধিক খ্যাতিমান রচয়িতা ও গায়ক।
তিনি ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তবে কিছু মত অনুযায়ী তাঁর জন্ম কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ভাঁড়রা গ্রামে এক কায়স্থ পরিবারে।
লালন কখনো জাতিভেদ মেনে চলেননি। তাই তার গানে আমরা পাই এই ধরনের বাণী:
“সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে / লালন কয় জাতির কি রূপ দেখলাম না এ নজরে।”
তার সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি গান হলো:
-
‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’
-
‘বাড়ির কাছে আরশী নগর’
-
‘আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে’
-
‘আমার ঘরের চাবি পরের হাতে’
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago