‘আমার দেখা নয়াচীন’ কে লিখেছেন?
A
মওলানা ভাসানী
B
আবুল ফজল
C
শহীদুল্লা কায়সার
D
শেখ মুজিবুর রহমান
উত্তরের বিবরণ
‘আমার দেখা নয়াচীন’ শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় গ্রন্থ, যা তিনি ১৯৫৪ সালে কারাগারে রাজবন্দি অবস্থায় স্মৃতিনির্ভরভাবে রচনা করেন। এটি মূলত ১৯৫২ সালের গণচীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা একটি ডায়েরি-ধর্মী পুস্তক,
যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকে চীনের সংস্কৃতি, প্রশাসন ও সমাজের জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন প্রাঞ্জল ও সূক্ষ্ম ভাষায়। বইটি বঙ্গবন্ধুর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব, অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার গভীর পরিচয় প্রদান করে।
• প্রকাশের তথ্য: বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায়, যেখানে একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে বাংলা একাডেমি।
• ভূমিকা: বইটির ভূমিকা লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
• ভ্রমণের প্রেক্ষাপট: ১৯৫২ সালের ২-১২ অক্টোবর চীনের পিকিংয়ে অনুষ্ঠিত এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলনে পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু যোগ দেন।
• সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: গ্রন্থে শিল্পিত মন ও সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নবগঠিত গণচীনের শাসনব্যবস্থা ও জীবনচিত্র বর্ণনা করা হয়েছে।

0
Updated: 22 hours ago
'কিন্তু আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে। সন্ধ্যাবেলায় দ্বীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় সলতে পাকানো' - বাক্যদ্বয় কোন রচনা থেকে উদ্ধৃত?
Created: 1 week ago
A
নৌকাডুবি
B
চোখের বালি
C
যোগাযোগ
D
শেষের কবিতা
উক্তি “কিন্তু আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে। সন্ধ্যা বেলায় দ্বীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় সলতে পাকানো” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যোগাযোগ’ উপন্যাস থেকে নেওয়া।
‘যোগাযোগ’ উপন্যাস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
প্রথমে এটি তিন পুরুষ নামের মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, পরে উপন্যাসের নাম হয় যোগাযোগ।
-
কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু হলো নায়িকা কুমুদিনী ও নায়ক মধুসূদন-এর ব্যক্তিত্বের তীব্র বৈপরীত্য।
-
উপন্যাসের সমাপ্তি কুমুদিনীর স্বামীর প্রতি দ্বিধান্বিত সমর্পণে হলেও, তার মধ্যে বিদ্রোহী নারীর রূপ স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস
-
‘নৌকাডুবি’
-
সামাজিক উপন্যাস।
-
প্রকাশ: ১৩১০-১১ বঙ্গাব্দে বঙ্গদর্শন পত্রিকা।
-
কাহিনি ঘিরে আছে জটিল পারিবারিক সম্পর্ক।
-
প্রধান চরিত্র: রমেশ, হেমনলিনী, কমলা, অন্নদাবাবু, নলিনাক্ষ।
-
-
‘চোখের বালি’
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস।
-
প্রকাশ: ১৯০৩।
-
প্রধান চরিত্র: বিনোদিনী, মহেন্দ্র, আশালতা, বিহারী, রাজলক্ষী।
-
বিনোদিনীর আশা, আকাঙ্খা ও দুঃখ কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
-
-
‘শেষের কবিতা’
-
প্রকাশ: ১৯২৯ (প্রবাসী পত্রিকায় ১৯২৮ সালে)।
-
ভাষার সৌন্দর্য ও কবিত্বের দীপ্তির জন্য স্বতন্ত্র।
-
প্রধান চরিত্র: অমিত, লাবণ্য, কেতকী, শোভনলাল।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
-
জন্ম: ১৮৬১, কলকাতা, জোড়াসাঁকোর ধনাঢ্য পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবার।
-
বাংলা সাহিত্যের ছোট গল্পের জনক।
-
প্রথম লেখা উপন্যাস: করুণা, প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: বৌঠাকুরানীর হাট।
-
বিখ্যাত উপন্যাস: ঘরে-বাইরে, চোখের বালি, শেষের কবিতা, যোগাযোগ, নৌকাডুবি, দুই বোন, মালঞ্চ, গোরা, রাজর্ষি, চার অধ্যায়।
উৎস: যোগাযোগ উপন্যাস, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ কী ধরনের রচনা?
Created: 1 month ago
A
ছোটগল্প
B
কাব্যনাটক
C
উপন্যাস
D
পত্রপন্যাস
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় সৈয়দ শামসুল হক রচিত একটি কাব্যনাট্য। এখানে মুক্তিযুদ্ধকে মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনায় তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটিতে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ শত্রু মুক্ত হওয়ার সময়কালে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের পদধ্বনি। তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্যনাট্য নূরলদীনের সারাজীবন, এখানে এখন, গণনায়ক, বাংলার মাটি বাংলার জল ইত্যাদি।

0
Updated: 1 month ago
মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয় কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
তিলোত্তমা কাব্য
B
মেঘনাদ বধ কাব্য
C
বেতাল পঞ্চবিংশতি
D
বীরাঙ্গনা
'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭)
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত বই হলো ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’। এই গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়েই তিনি প্রথম বাংলায় যতি বা বিরামচিহ্ন ব্যবহার করেন।
'তিলোত্তমাসম্ভব' কাব্য
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি প্রসিদ্ধ কাব্য হলো ‘তিলোত্তমাসম্ভব’।
-
এর কাহিনী নেওয়া হয়েছে মহাভারতের সুন্দ ও উপসুন্দের কাহিনী থেকে।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে গ্রন্থাকারে।
-
এই কাব্যেই মধুসূদন প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন।
'মেঘনাদবধ কাব্য'
-
মধুসূদনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য হলো ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
-
এটি রচিত হয় ১৮৬১ সালের জুন মাসে।
-
মহাকাব্যের কাহিনী নেওয়া হয়েছে রামায়ণ থেকে, তবে কেবল একটি ছোট অংশকে ভিত্তি করে তিনি এ কাব্য রচনা করেন।
-
পুরো কাব্যটি নয় সর্গে রচিত, যেখানে মাত্র তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ হলো: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা ইত্যাদি।
-
সর্গগুলোর নাম: অভিষেক, অস্ত্রলাভ, সমাগম, অশোক বন, উদ্যোগ, বধ, শক্তিনির্ভেদ, প্রেতপুরী, সংস্ক্রিয়া।
'বীরাঙ্গনা কাব্য'
-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের আরেকটি বিখ্যাত রচনা হলো ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’।
-
এটি পত্রাকারে লেখা কাব্য, যা প্রকাশিত হয় ১৮৬২ সালে।
-
বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের পত্রকাব্যের সূচনা মধুসূদনের হাতেই হয়।
-
তিনি এটি রচনা করেছিলেন রোমান কবি ওভিডের ‘হেরোইডাইদ্স’ কাব্যের আদলে।
-
এতে মোট ১১টি পত্র রয়েছে।
-
এই কাব্যে পৌরাণিক নারীরা আধুনিক মনোভাব নিয়ে নিজেদের প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ প্রকাশ করেছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 weeks ago