কত সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে?
A
২০০৬ সালে
B
২০০৭ সালে
C
২০০৮ সালে
D
২০০৯ সালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ব্যবস্থা প্রথম চালু হয় ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। সে সময় এটিএম শামছুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে। ওই বছরই প্রথম দফায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন প্রদান করা হয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (RPO) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেতে হলে তিনটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করতে হবে।
- 
স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত যে কোনো সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অন্তত একটি আসনে বিজয় অর্জন করতে হবে। 
- 
সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া আসনগুলোতে দলীয় প্রার্থীদের মোট প্রাপ্ত ভোট ন্যূনতম ৫ শতাংশ হতে হবে। 
- 
দলের একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় অফিস থাকতে হবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটি থাকতে হবে এবং দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় জেলা অফিস স্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি কমপক্ষে ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানায় অফিস থাকতে হবে, এবং প্রতিটি অফিসে অন্তত ২০০ জন ভোটার সদস্য হিসেবে থাকতে হবে। 
এই শর্তগুলো পূরণ করলে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের যোগ্য হয় এবং নিবন্ধিত দলগুলো নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক তত্ত্বাবধানে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার পায়।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে বর্তমানে কয় স্তরবিশিষ্ট স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু আছে?
Created: 3 months ago
A
৩
B
৪
C
৫
D
৬
স্থানীয় সরকার কাঠামো
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, যা পল্লী ও শহর – উভয় অঞ্চলে পৃথক কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
পল্লী এলাকাগুলোর জন্য তিন স্তরে গঠিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান। এ তিনটি স্তর হলো:
- 
ইউনিয়ন পরিষদ, 
- 
উপজেলা পরিষদ, 
- 
জেলা পরিষদ। 
অন্যদিকে, শহরাঞ্চলে দুই স্তরের স্থানীয় সরকার কাঠামো কার্যকর রয়েছে, যা হলো:
- 
সিটি কর্পোরেশন, 
- 
পৌরসভা। 
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও নাগরিকতা (নবম-দশম শ্রেণি), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থায় মন্ত্রিপরিষদ কার নিকট দায়বদ্ধ থাকে?
Created: 1 month ago
A
রাষ্ট্রপতির কাছে
B
জাতীয় সংসদের কাছে
C
প্রধান বিচারপতির কাছে
D
কারো নিকট নয়
মন্ত্রিপরিষদ হলো শাসন বিভাগের কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ দেশের শাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে। সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি কাজের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন।
সংবিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান। এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত থাকে এবং তিনি সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি মূলত -
Created: 1 month ago
A
প্রধান বিচারক
B
অলঙ্কারিক প্রধান
C
প্রধান আইন প্রণেতা
D
বর্ণিত সবগুলো
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রধান নির্বাহী পদে অবস্থান করেন, যদিও তিনি অলঙ্কারিক প্রধান হিসেবে বিবেচিত। দেশের যাবতীয় সরকারি কার্যাদি রাষ্ট্রপতির নামে সম্পাদিত হয় এবং সংবিধানের চতুর্থ ভাগের প্রথম পরিচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারিত আছে। রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নেন।
রাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের মেয়াদে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন। সংসদ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করলে তাঁকে অভিশংসনের মুখোমুখি করা যেতে পারে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮(৪) অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। এছাড়া সংবিধানে নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী, তিনি আগে কখনও এই পদ থেকে অপসারিত হননি। রাষ্ট্রপতি পদে থাকা অবস্থায় তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষমতা প্রদান করেছে, যা অন্তর্ভুক্ত:
- 
শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা 
- 
সংসদ ও আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ক্ষমতা 
- 
বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতা 
- 
অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা 
- 
প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতা 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago