শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য সংসদ সদস্যদের সংসদ থেকে বহিষ্কার করতে পারেন কে?
A
প্রধান মন্ত্রী
B
স্পিকার
C
ডেপুটি স্পিকার
D
বর্ণিত সবাই
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারিত রয়েছে, যা মূলত আইন প্রণয়ন এবং সংসদীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এ দায়িত্বগুলোর মধ্যে কোনো নির্বাহী দায়িত্ব অন্তর্ভুক্ত নয়।
- 
আইন প্রণয়ন [অনুচ্ছেদ ৬৫ (১)] 
- 
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন [অনুচ্ছেদ ৪৮] 
- 
রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন বা অপসারণ [অনুচ্ছেদ ৫২ ও ৫৩] 
- 
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন [অনুচ্ছেদ ৫৬] 
- 
স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন এবং দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দান [অনুচ্ছেদ ৭৪] 
- 
কার্যপ্রণালী বিধি সংশোধন [অনুচ্ছেদ ৭৫] 
- 
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা [অনুচ্ছেদ ৭৩] 
- 
জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে বিল উত্থাপন [অনুচ্ছেদ ৮০] 
- 
সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অংশগ্রহণ [অনুচ্ছেদ ৭৬] 
সংসদ সদস্যদের জন্য সংবিধানে বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি স্বীকৃত হয়েছে।
- 
সংসদ এবং এর বিভিন্ন কমিটি সামগ্রিকভাবে এবং সংসদ সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে কিছু বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তির সুবিধা ভোগ করেন। 
- 
সংসদের কার্যপ্রণালী নিয়ন্ত্রণ, কার্য-পরিচালনা বা শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সদস্য আদালতের এখতিয়ারের বাইরে থাকবেন। 
- 
সংসদে বা কোনো কমিটিতে বক্তব্য দেওয়া বা ভোটদানের কারণে কোনো সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। 
- 
স্পিকারের অনুমতি ছাড়া সংসদ ভবন এলাকায় কোনো সংসদ সদস্যকে গ্রেফতার বা আইনি কার্যক্রম চালানো যাবে না। 
- 
সংসদ অধিবেশন চলাকালীন কোনো সদস্য অন্য সদস্যের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, আক্রমণাত্মক বক্তব্য, হেয় প্রতিপন্ন করা বা অযৌক্তিকভাবে দোষারোপ করতে পারবেন না। 
- 
সংসদে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ক্ষেত্রে স্পিকার সতর্কবার্তা প্রদান, বক্তব্যদান বন্ধ করে দেওয়া, বহিষ্কার বা অধিবেশনে যোগদান সাময়িকভাবে স্থগিত করার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের ইংরেজী নাম কী?
Created: 2 weeks ago
A
Parliament
B
National Parliament
C
Legislatur
D
The House of the Nation
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের ইংরেজি নাম “The House of the Nation”। সংবিধানের পঞ্চম ভাগে আইনসভার উল্লেখ আছে এবং ৬৫ নং অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
- জাতীয় সংসদ হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভা। 
- 
সংবিধানের বিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের ক্ষমতা এই সংসদের হাতে ন্যস্ত। 
- 
দেশজুড়ে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সদস্যদের মাধ্যমে সংসদ গঠিত হয়। 
- 
সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী (২০১১) অনুযায়ী সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা ৫০ নির্ধারণ করা হয়েছে। 
- 
মোট আসন সংখ্যা ৩৫০টি (৩০০ সাধারণ + ৫০ সংরক্ষিত মহিলা আসন)। 
- 
জাতীয় সংসদের মেয়াদ ৫ বছর। 
- 
৭২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে সংসদের অধিবেশন আহ্বান করা হয়। 
- 
সংসদ পরিচালনার জন্য কোরাম থাকা বাধ্যতামূলক। 
- 
কোরামের জন্য অন্তত ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন। 
- 
৬০ জনের কম সদস্য উপস্থিত থাকলে স্পিকার অধিবেশন স্থগিত করেন। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago
জাতীয় সংসদে কোরাম হতে হলে কতজন সংসদ সদস্যের উপস্থিত থাকতে হবে?
Created: 1 month ago
A
মোট সংসদ সদস্যের ১/৫ ভাগ
B
মোট সংসদ সদস্যের ১/১০ ভাগ
C
মোট সংসদ সদস্যের ১/৩ ভাগ
D
মোট সংসদ সদস্যের অর্ধেক
কোরাম হলো জাতীয় সংসদের বৈধ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা। বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৫নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের বৈঠক পরিচালনার জন্য কমপক্ষে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকতে হবে, যা মোট সংসদ সদস্যের প্রায় এক-পঞ্চম অংশের সমান।
জাতীয় সংসদের বৈঠক চলাকালীন যদি কোনো সময়ে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা ৬০ এর কম হয় এবং সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়, তাহলে তিনি বৈঠক স্থগিত বা মুলতবি করতে পারবেন যতক্ষণ না ন্যূনতম ৬০ জন সদস্য উপস্থিত হন।
কোরামের সাধারণ অর্থ হলো একটি বৈধ সভার জন্য ন্যূনতম সংখ্যক ভোটদানের অধিকারী সদস্য বা প্রতিনিধি উপস্থিত থাকা, যা সংস্থার আইন ও নিয়ম অনুযায়ী পূর্বনির্ধারিত থাকে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার কত শতাংশ ছিল?
Created: 3 weeks ago
A
৪০.৮
B
৪০.৯
C
৪১.৬
D
৪১.৮
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪১.৮ শতাংশ, যা ভোটের অংশগ্রহণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই নির্বাচনের আয়োজন, ফলাফল এবং বিশেষ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
- 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। 
- 
নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়। 
- 
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে। 
- 
প্রাথমিক ফলাফলের ভিত্তিতে, ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২২৩টি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হন। 
- 
প্রধান বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয়লাভ করে। 
- 
পরবর্তীতে ২টি আসনের উপনির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হন। 
বিশেষ তথ্য:
- 
২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। 
- 
নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। 
- 
শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার এবং পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। 
- 
প্রধানমন্ত্রীসহ ২৯৮ জন সংসদ সদস্য শপথ নেন ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে। 
- 
নতুন এমপিদের শপথ বাক্য পাঠ করান বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 weeks ago