কত সালে 'দুর্গেশনন্দিনী' উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয়?
A
১৮৬০
B
১৮৬১
C
১৮৬৫
D
১৮৬৭
উত্তরের বিবরণ
‘দুর্গেশনন্দিনী’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে পরিচিত। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা এবং ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের শিরোনাম ‘দুর্গেশনন্দিনী’ শব্দের অর্থ প্রধানের কন্যা।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র হলো তিলোত্তমা এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, এবং বিমলা।
উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:
- 
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস। 
- 
প্রকাশিত হয়েছে ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে। 
- 
কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র: তিলোত্তমা। 
- 
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা। 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান সাহিত্যিক। তিনি ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্কিমচন্দ্রকে বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য ও রচনা সংক্রান্ত মূল তথ্য:
- 
প্রথম উপন্যাস: রাজমোহনস ওয়াইফ (ইংরেজিতে লেখা)। 
- 
প্রথম বাংলা সার্থক উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)। 
- 
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)। 
- 
দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)। 
- 
ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম। 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস:
- 
কপালকুণ্ডলা 
- 
মৃণালিনী 
- 
বিষবৃক্ষ 
- 
ইন্দিরা 
- 
যুগলাঙ্গুরীয় 
- 
চন্দ্রশেখর 
- 
রাধারানী 
- 
রজনী 
- 
কৃষ্ণকান্তের উইল 
- 
রাজসিংহ 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
দীনবন্ধু মিত্রের 'নীল-দর্পণ' নাটক প্রথম কোথা থেকে প্রকাশিত হয়?
Created: 3 months ago
A
কলকাতা
B
ঢাকা
C
লন্ডন
D
মুর্শিদাবাদ
নীল-দর্পণ
- 
‘নীল-দর্পণ’ নাটকটি দীনবন্ধু মিত্রের সবচেয়ে বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এটি লেখা হয় ১৮৬০ সালে এবং প্রথম প্রকাশিত হয় ঢাকা থেকে। 
- 
এই নাটকে সে সময়কার নীলচাষ, ইংরেজ নীলকরদের অত্যাচার, এবং শাসকদের পক্ষপাতমূলক আচরণ তুলে ধরা হয়েছে। 
- 
নাটকটি সমাজে বড় ধরনের আলোড়ন তোলে এবং কৃষকদের নীলবিদ্রোহে সাহস যোগায়। 
- 
মাইকেল মধুসূদন দত্ত নাটকটির ইংরেজি অনুবাদ করেন ‘A Native’ ছদ্মনামে এবং এর নাম দেন – ‘Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror’ (১৮৬১)। 
- 
ইংরেজি অনুবাদটি প্রকাশ করেছিলেন পাদ্রি জেমস লং, যিনি পরে আদালতের মাধ্যমে জরিমানার শিকার হন। 
- 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নাটকটিকে তুলনা করেন বিখ্যাত ইংরেজি উপন্যাস ‘আঙ্কল টমস কেবিন’-এর সঙ্গে। 
- 
এটি বাংলা নাট্যসাহিত্যে প্রথম বিদেশি ভাষায় অনূদিত নাটক। 
- 
১৮৬০ সালে এটি ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’ ছদ্মনামে প্রথম ছাপা হয়। 
- 
১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর, এটি দিয়েই শুরু হয় কলকাতার ‘সাধারণ রঙ্গালয়’-এর প্রথম নাট্যাভিনয়। 
- 
আজও এটি জাতীয় চেতনার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। 
দীনবন্ধু মিত্র
- 
দীনবন্ধু মিত্র জন্মগ্রহণ করেন ১৮৩০ সালে, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে, একটি দরিদ্র পরিবারে। 
- 
তাঁর আসল নাম ছিল গন্ধর্বনারায়ণ। 
- 
তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত নাট্যকার। 
- 
কলেজে পড়ার সময় তিনি পরিচিত হন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সঙ্গে, যাঁর উৎসাহে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। 
- 
তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’, ‘সংবাদ সাধুরঞ্জন’ ইত্যাদি পত্রিকায় লিখতেন। 
- 
তবে তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচিতি আসে নাটক ও প্রহসন লেখার মাধ্যমে। 
- 
তাঁর লেখা সেরা নাটক হল ‘নীল-দর্পণ’। 
- 
তিনি মারা যান ১৮৭৩ সালের ১ নভেম্বর। 
তাঁর লেখা অন্য কিছু নাটক
- 
নবীন তপস্বিনী 
- 
লীলাবতী 
- 
কমলে কামিনী 
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 months ago
'নীল দর্পণ' নাটকটি 'The Indigo Planting Mirror' নামে ইংরেজি অনুবাদ করেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
'নীল-দর্পণ' (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্র রচিত একটি শ্রেষ্ঠ নাটক, যা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। নাটকটি সমকালের নীলচাষ ও নীলকরদের প্রজাপীড়ন এবং শাসকশ্রেণীর পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রতিফলন ঘটায়।
- 
প্রকাশ ও রচনাকাল: ১৮৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত; 'কস্যচিৎ পথিকস্য' ছদ্মনামে প্রথম প্রকাশিত। ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর নাটকটি সাধারণ রঙ্গালয়ের অভিনয়ের সূচনা করে। 
- 
বিষয়বস্তু ও প্রভাব: নাটকটি সমকালের নীলচাষ প্রথা ও শোষণের বিরুদ্ধে আলোকপাত করে এবং কৃষকদের নীলবিদ্রোহে উদ্দীপনা যোগায়। 
- 
ইংরেজি অনুবাদ: মাইকেল মধুসূদন দত্ত 'A Native' ছদ্মনামে নাটকটির ইংরেজি অনুবাদ করেন, নামকরণ করেন 'Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror' (১৮৬১); পাদ্রি জেমস লং এর প্রকাশের ফলে আদালত তাঁকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। 
- 
সাহিত্যিক মূল্যায়ন: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নাটকটিকে 'আঙ্কল টমস কেবিন'-এর সঙ্গে তুলনা করেন। এটি রচনাকাল থেকে আজ পর্যন্ত জাতীয় চেতনার পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত। 
- 
ভাষা ও অনুবাদ: এটি বিদেশি ভাষায় অনূদিত প্রথম বাংলা নাটক। 
দীনবন্ধু মিত্র রচিত অন্যান্য নাটক:
- 
নবীন তপস্বিনী 
- 
লীলাবতী 
- 
কমলে কামিনী 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 weeks ago
'হাঁসুলী বাঁকের উপকথা' কোন ধরনের উপন্যাস?
Created: 1 month ago
A
ঐতিহাসিক উপন্যাস
B
আঞ্চলিক উপন্যাস
C
রাজনৈতিক উপন্যাস
D
মহাকাব্যিক উপন্যাস
‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’ উপন্যাস
- 
এটি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি আঞ্চলিক উপন্যাস। 
- 
প্রকাশকাল: ১৯৪৭ সালে। 
- 
উপন্যাসে বীরভূমের কাহার সম্প্রদায়ের জীবন, তাদের সংস্কৃতি, ধর্মবিশ্বাস, আচার-আচরণ ও লোককথা আন্তরিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। 
- 
কাহিনীর মূল ধারা: একদিকে সম্প্রদায়ের আত্মবিরোধ, পরিবর্তন ও বিলুপ্তি, অন্যদিকে প্রাচীন সমাজের সঙ্গে নতুন পরিবর্তমান জগতের সংঘাত। 
আঞ্চলিক উপন্যাস:
- 
কোনো বিশেষ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাপন, তাদের হাসি-কান্না, আচরণ ও উচ্চারণের স্বতঃসিদ্ধ চিত্র তুলে ধরা উপন্যাসকে আঞ্চলিক উপন্যাস বলা হয়। 
- 
পরিচিত আঞ্চলিক উপন্যাসের উদাহরণ: - 
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় – আরণ্যক 
- 
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় – হাঁসুলি বাঁকের উপকথা 
- 
সতীনাথ ভাদুড়ি – ঢোঁড়াই চরিত মানস 
- 
দেবেশ রায় – তিস্তাপারের বৃত্তান্ত 
- 
আলাউদ্দীন আল আজাদ – কর্ণফুলী 
- 
অদ্বৈত মল্লবর্মণ – তিতাস একটি নদীর নাম 
 
- 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago