কেন্তুমের কোন দুটি শাখা এশিয়ার অন্তর্গত?
A
হিত্তিক ও তুখারিক
B
তামিল ও দ্রাবিড়
C
আর্য ও অনার্য
D
মাগধী ও গৌড়ী
উত্তরের বিবরণ
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠীর শ্রেণিবিভাগ ও এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিশদভাবে বলা যায় যে, প্রাচীনকালে এই ভাষা গোষ্ঠীর ৯টি শাখা চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবে আধুনিক গবেষণায় কিছু ক্ষেত্রে ১০টি শাখার কথা বলা হয়।
আমরা আধুনিক গবেষণার আলোকে বিষয়টি বিবেচনা করব। ভাষাতাত্ত্বিক অধ্যাপক অ্যাসকোলি আদি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলোকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করেছেন।
- 
এই দুটি ভাগ হলো শতম (Satam) এবং কেন্টুম (Centum)। 
- 
কেন্তুম ও শতম বিভাজন মূলত কণ্ঠবর্ণের উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী হয়েছে। 
- 
এই বিভাজনের ফলে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে একটি ভৌগোলিক ভেদাভেদও তৈরি হয়। 
- 
অ্যাসকোলির মতে, কেন্টুম গোষ্ঠীর ভাষাগুলো পশ্চিমে এবং শতম গোষ্ঠীর ভাষাগুলো পূর্বে অবস্থান করত। 
বর্তমানকালে হিত্তি বা হিত্তিক (Hittic) ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় গোষ্ঠীর দশম শাখা হিসেবে স্বীকৃত।
- 
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, এশিয়া মাইনরে প্রায় দেড় হাজার খ্রিস্টপূর্বে হিত্তি ভাষা প্রচলিত ছিল। 
- 
এছাড়া তোখারিক (Tukhāric) ভাষা মধ্য এশিয়ায় খ্রিস্টীয় অষ্টম শতক পর্যন্ত জীবিত ছিল। 
কিছু পণ্ডিত হিত্তিকে ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষার সমগোত্রীয় এবং সমান স্তরের ভাষা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
- 
ড. সুকুমার সেন হিত্তির মূল ভাষার নাম ‘ইন্দো-হিট্টীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। 
- 
হিত্তি ও তোখারিক ভাষার আবিষ্কারের পরও ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষার কেন্তুম ও শতম বিভাগ অস্বীকার করা যায় না। 
- 
আধুনিক ভাষাতাত্ত্বিকগণ কেন্তুম ও শতমের ভিত্তিতে ভাষার শ্রেণিবিন্যাসে কার্যকরভাবে কাজ করছেন। 
- 
সুতরাং, হিত্তি ও তোখারিক ভাষা আবিষ্কারের পরও কেন্টুম ও শতমের নামকরণ ও গুরুত্ব অপরিবর্তিত রয়েছে। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
কোনটির অভাবে চিঠি লেখার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়?
Created: 1 month ago
A
প্রেরকের ঠিকানা
B
প্রাপকের ঠিকানা
C
পত্র গর্ভ
D
স্বাক্ষর ও তারিখ
প্রাপকের ঠিকানার অভাবে চিঠি লেখার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। কারণ প্রাপকের ঠিকানার অভাবে চিঠি উপযুক্ত স্থানে পৌঁছাবে না। এইজন্য প্রাপকের ঠিকানার অভাবে চিঠিকে "ডেড লেটার" বলা হয়।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন সাহিত্যিক আততায়ীর হাতে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন?
Created: 2 months ago
A
আবুল হাসান
B
হুমায়ুন কবির
C
সোমেন চন্দ
D
কল্যাণ মিত্র
সোমেন চন্দ
- 
সোমেন চন্দ মূলত একজন সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। 
- 
জন্ম: ২৪ মে ১৯২০, বালিয়া গ্রাম, পলাশ, নরসিংদী। 
- 
পূর্ণ নাম: সোমেন্দ্র কুমার চন্দ। 
- 
তিনি ঢাকার প্রগতি লেখক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। 
- 
তাঁর বিখ্যাত ছোটগল্প ‘ইঁদুর’ বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে। 
- 
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ জানিয়েছেন, ‘ইঁদুর’ গল্পটি পড়ে তিনি সাহিত্য রচনার প্রেরণা পেয়েছিলেন। 
- 
মৃত্যু: ৮ মার্চ ১৯৪২, ঢাকায় ফ্যাসিবাদ সমর্থকদের হাতে ছুরিকাঘাতে নিহত। 
রচিত গ্রন্থসমূহ:
- 
সংকেত ও অন্যান্য গল্প 
- 
বনস্পতি ও অন্যান্য গল্প 
- 
সোমেন চন্দের গল্পগুচ্ছ 
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি অশুদ্ধ?
Created: 2 months ago
A
অহিংস - সহিংস
B
প্রসন্ন - বিষণ্ণ
C
দোষী - নির্দোষী
D
নিষ্পাপ - পাপিনী
বাংলা ভাষায় শব্দের বিপরীত রূপ সবসময় গঠনগতভাবে মিলিয়ে বানানো হয় না। অনেক সময় আমরা ভুল করে দুটো শব্দকে জোড়া দিই, কিন্তু তা সঠিক হয় না। যেমন—
- 
"দোষী-নির্দোষী" লেখা অশুদ্ধ। 
 সঠিক হলো: দোষী ↔ নির্দোষ (অর্থাৎ দোষ আছে যার / দোষ নেই যার)।
আরও কিছু সঠিক বিপরীত শব্দের উদাহরণ—
- 
প্রসন্ন ↔ বিষণ্ন 
- 
অহিংস ↔ সহিংস 
- 
নিষ্পাপ ↔ পাপী/পাপিনী 
এভাবে দেখা যায়, সঠিক বিপরীত শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ স্পষ্ট হয়।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা — ড. হায়াৎ মামুদ
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago