“তােমারেই যেন ভালােবাসিয়াছি শত রূপে শত বার/জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।” - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কবিতার অংশ?
A
অনন্ত প্রেম
B
উপহার
C
ব্যক্ত প্রেম
D
শেষ উপহার
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "মানসী" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘অনন্ত প্রেম’ কবিতার উল্লেখযোগ্য পঙ্ক্তিগুলো গভীর প্রেমের অনুভূতি প্রকাশ করে। কবিতায় প্রিয়তমকে শত রূপে, শতবার, জনমে জনমে ভালোবাসার অমর অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।
কবিতায় চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়ে গীতহার গাঁথার মাধ্যমে প্রেমের গভীরতা এবং উপহারের প্রতিফলন ফুটে উঠেছে।
- 
"মানসী" কাব্যগ্রন্থ: - 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত এটি ১৮৯০ সালে প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি কবির কাব্যকলার পূর্ণ প্রতিষ্ঠামূলক গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। 
- 
বুদ্ধদেব বসু এই কাব্যকে “রবীন্দ্র-কাব্যের অণুবিশ্ব” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। 
- 
গ্রন্থে মোট ৬৬টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত। 
- 
রবীন্দ্রনাথ নিজে লিখেছেন, “নূতন আবেষ্টনে এই কবিতাগুলি সহসা যেন নবদেহ ধারণ করল।” 
 
- 
- 
মানসীর কবিতার বিভাজন: - 
কবিতাগুলো মূলত দুই ভাগে বিভক্ত: একদিকে অতীত জীবনের পিছুটানমূলক কবিতা এবং অন্যদিকে নবযৌবনের নিরুদ্ধ উদ্দীপনার খরদীপ্তি। 
 
- 
- 
উল্লেখযোগ্য কবিতাসমূহ: - 
উপহার 
- 
নিস্ফল উপহার 
- 
ক্ষণিক মিলন 
- 
নিস্ফল কামনা 
- 
অহল্যার প্রতি 
- 
নবদম্পতির প্রেমালাপ 
- 
মানসিক অভিসার 
- 
পুরুষের উক্তি 
- 
নারীর উক্তি 
- 
ব্যক্ত প্রেম 
- 
গুপ্ত প্রেম 
- 
অনন্ত প্রেম 
- 
শেষ উপহার 
 
- 
- 
‘অনন্ত প্রেম’ কবিতা: - 
কবিতায় প্রেমিক বা প্রিয়তমকে চিরকাল ধরে অনন্তভাবে ভালোবাসার অনুভূতি ফুটে উঠেছে। 
- 
প্রেমের গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে গীতহার ও উপহারের প্রতীকী ব্যবহার দ্বারা। 
- 
পঙ্ক্তিগুলোর পুনরাবৃত্তি ও ছন্দ প্রেমের স্থায়িত্ব এবং যুগপৎ অনুভূতির জোরদার প্রতিফলন ঘটায়। 
 
- 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
'হৈমন্তী' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি-
Created: 1 month ago
A
ছোটগল্প
B
উপন্যাস
C
প্রবন্ধ
D
কাব্যগ্রন্থ
‘হৈমন্তী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ছোটগল্প, যা সমাজের নানান সমস্যার দিকে আলোকপাত করে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো হৈমন্তী, যার ডাকনাম ছিল শিশির, এবং তাঁর স্বামীর নাম অপু। গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় মাসিক সবুজপত্র পত্রিকায়।
- 
গল্পের উল্লেখযোগ্য চরিত্র: - 
হৈমন্তী (শিশির) 
- 
গৌরীশংকর 
- 
অপু 
- 
বনমালী 
 
- 
- 
গল্পের কিছু বিখ্যাত উক্তি: - 
“জ্যৈষ্ঠের খররোদ্রই তো জ্যৈষ্ঠের অশ্রুশূণ্য রোদন।” 
- 
“আমি পাইলাম ইহাকে পাইলাম।” 
- 
“সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ।” 
 
- 
- 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য সামাজিক গল্প: - 
দেনাপাওনা 
- 
দান প্রতিদান 
- 
হৈমন্তি 
- 
ছুটি 
- 
পোস্টমাস্টার 
- 
কাবুলিওয়ালা 
 
- 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
'নৌকাডুবি' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত-
Created: 1 month ago
A
নাটক
B
ছোটগল্প
C
উপন্যাস
D
শিশুতোষ গ্রন্থ
নৌকাডুবি
- 
রচয়িতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
- 
ধরন: উপন্যাস 
- 
প্রকাশ: ১৩১০-১১ বঙ্গাব্দে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় 
- 
বিষয়: জটিল পারিবারিক সম্পর্ক ও সমস্যা 
- 
প্রধান চরিত্র: রমেশ, হেমনলিনী, কমলা, অন্নদাবাবু 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- 
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা, জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার 
- 
পিতা: মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
- 
পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর 
- 
অবস্থান: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান 
রবীন্দ্রনাথের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
- 
বউ ঠাকুরাণীর হাট 
- 
রাজর্ষি 
- 
চোখের বালি 
- 
নৌকাডুবি 
- 
ঘরে-বাইরে 
- 
যোগাযোগ 
উৎস:
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম তারিখ কত?
Created: 3 weeks ago
A
২১ বৈশাখ
B
২২ শ্রাবণ
C
১১ জ্যেষ্ঠ
D
২৫ বৈশাখ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন এক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তি, যিনি বাংলা সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক ছিলেন। ১৯১৩ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা তাঁকে এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠিত করে। তাঁর জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে। পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। তিনি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান ছিলেন। জীবনের বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলাদেশের শাহজাদপুর, পতিসর, কালিগ্রাম ও শিলাইদহে অবস্থান করেছেন। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) তিনি জোড়াসাঁকোর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
- 
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে গীতাঞ্জলি, গীতিমাল্য, সোনার তরী, চিত্রা প্রভৃতি। 
- 
‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্যই তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। 
- 
তাঁর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃত। 
- 
তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতনে, যা আজও বিশ্বখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 
- 
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ। 
- 
তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে নাইট উপাধি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে। 
- 
তাঁর সাহিত্যকর্মে মানবতা, প্রকৃতি, প্রেম, সমাজচেতনা ও আত্মিক মুক্তির গভীর প্রতিফলন দেখা যায়। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 weeks ago