'বাঙ্গালীর ইতিহাস' বইটির লেখক কে?
A
নীহাররঞ্জন রায়
B
আর সি মজুমদার
C
অধ্যাপক আব্দুল করিম
D
অধ্যাপক সুনীতিকুমার সেন
উত্তরের বিবরণ
• 'বাঙ্গালীর ইতিহাস' বইটির লেখক - নীহাররঞ্জন রায়।
নীহাররঞ্জন রায়:
- তিনি ভারতের শেষ বহুশাস্ত্রজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম একজন।
- মানব অভিজ্ঞতার রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিকগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনে নীহাররঞ্জন রায় এর প্রয়াস পরিণতি লাভ করেছে তাঁর প্রধান সাহিত্যকর্ম বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থে।
তাঁর রচিত গ্রন্থ:
- Maurya and Sunga Art,
- বাঙ্গালীর ইতিহাস,
- Nationalism in India,
- Idea and Image of Indian Art.
তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনা হচ্ছে:
- Mughal Court Painting,
- The Sikh Gurus and the Sikh Society,
- Dutch Activities in the East,
- An Approach to Indian Art.
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
'মোদের গরব, মোদের আশা/আ-মরি বাংলা ভাষা' রচিয়তা-
Created: 3 months ago
A
রামনিধি গুপ্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
অতুল প্রসাদ সেন
D
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
🔹 ‘মোদের গরব মোদের আশা / আ-মরি বাঙলা ভাষা’ — এই অনুপ্রেরণাদায়ী গানটি রচনা করেছিলেন অতুলপ্রসাদ সেন। ষাটের দশকে পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সময় এই গানটি আন্দোলনকারীদের মধ্যে প্রবল উদ্দীপনা জাগিয়েছিল।
🔹 অতুলপ্রসাদ সেন (জন্ম: ১৮৭১, ঢাকা):
-
তিনি একজন বিশিষ্ট কবি, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন।
-
বাংলা গানে তিনিই প্রথম ঠুমরির প্রয়োগ করেন।
-
‘মোদের গরব, মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা’ তাঁর বিখ্যাত দেশাত্মবোধক গান।
-
তাঁর গানের সংকলনগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘কয়েকটি গান’ ও ‘গীতিগুচ্ছ’।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 3 months ago
মধুসূদন দত্ত রচিত 'বীরাঙ্গনা'-
Created: 3 months ago
A
মহাকাব্য
B
পত্রকাব্য
C
গীতিকাব্য
D
আখ্যানকাব্য
‘বীরাঙ্গনা কাব্য’
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ একটি পত্রকাব্য, যা বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের প্রথম রচনা।
-
এটি ১৮৬২ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এই কাব্যগ্রন্থটি রোমান কবি ওভিড-এর ‘Heroides’ কাব্যের অনুসরণে রচিত হয়েছে।
-
এতে মোট ১১টি চিঠির আকারে কবিতা রয়েছে, যেখানে পৌরাণিক নারীরা আধুনিক চেতনায় নিজেদের প্রেম, আবেগ ও কামনার কথা ব্যক্ত করেছে।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ ও সনেটের প্রবর্তক হিসেবে তিনি প্রসিদ্ধ।
-
প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন তাঁর নাটক ‘পদ্মাবতী’-তে (দ্বিতীয় অঙ্ক, দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাব্যগ্রন্থ হলো ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’।
-
তাঁর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘The Captive Lady’ (ইংরেজিতে রচিত)।
📖 তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য)
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
📚 উল্লেখযোগ্য গদ্য অনুবাদ:
-
‘হেক্টরবধ’ (গদ্যে রচিত অনুবাদ)
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
'বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত' কে রচনা করেন?
Created: 2 months ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
সুকুমার সেন
C
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
মুহম্মদ এনামুল হক
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান বাঙালি ব্যক্তিত্ব, যিনি ভারতের উপমহাদেশে দার্শনিক, শিক্ষক এবং বহুভাষাবিদ হিসেবে সুপরিচিত।
‘জ্ঞানতাপস’ নামে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়াও, তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ নামেও অভিহিত করা হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে জাতিসত্তা সম্পর্কে তাঁর বিখ্যাত উক্তি ছিল, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার থেকেও অধিক সত্য আমরা বাঙালি।”
এই উক্তি বাঙালির ঐক্য ও পরিচয়ের গুরুত্বকে রূপায়িত করে। ১৯৫৯ সালে তিনি ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ নামক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন, যা বাংলা ভাষার ইতিহাস ও বিকাশকে তুলে ধরে।
ড. শহীদুল্লাহর ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘বাঙ্গালা ব্যাকরণ’, ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ ইত্যাদি। পাশাপাশি তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেন।

0
Updated: 18 hours ago