কার নেতৃত্বে ফারাক্কা লং মার্চ সংঘটিত হয়?
A
এ.কে. ফজলুল হক
B
নওয়াব আব্দুল লতিফ
C
মাওলানা ভাসানী
D
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
উত্তরের বিবরণ
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি সাধারণভাবে মাওলানা ভাসানী নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ভাসানী ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার ধনপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
ফারাক্কা লং মার্চ
- 
১৯৭৬ সালের ১৬ই মে ভারতের ফারাক্কা বাঁধের বিরোধিতা করে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে একটি বিশাল মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেন। 
- 
এই ঐতিহাসিক গণআন্দোলনটি “ফারাক্কা লং মার্চ” নামে পরিচিত। 
- 
আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল ফারাক্কা বাঁধের কারণে পদ্মা নদীতে পানির প্রবাহ কমে যাওয়া এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে মারাত্মক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার প্রতিবাদ জানানো। 
- 
মাওলানা ভাসানী তখন ৯০ বছরের বেশি বয়সেও জনগণের নেতৃত্ব দিয়ে এই লং মার্চ পরিচালনা করেন, যা তাঁর রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও জনগণের প্রতি অঙ্গীকারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি একটি বামপন্থী রাজনৈতিক দল?
Created: 1 month ago
A
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
B
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি
C
জাতীয় পার্টি
D
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বামপন্থী রাজনৈতিক দল, যা ১৯৫৭ সালের জুলাই মাসে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয়। দলের জন্ম প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে তীব্র আদর্শিক মতবিরোধ ছিল। ১৯৫৭ সালের ৬-১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের কাগমারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি মাওলানা ভাসানী ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ বিষয়ে দলের ডানপন্থী অংশ সোহরাওয়ার্দীর অবস্থানকে সমর্থন করে, আর বামপন্থী অংশ মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে স্বাধীন ও জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি এবং পূর্ব পাকিস্তানের সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে অবস্থান নেয়। এর ফলে আওয়ামী লীগ ভেতরে ভেতরে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং একই বছরের ১৮ মার্চ ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
পরে আওয়ামী লীগের বামপন্থী অংশের উদ্যোগে ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ২৪-২৫ জুলাই গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়।
- 
ন্যাপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের মাহমুদুল হক ওসমানী। 
- 
গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে হাজী মুহাম্মদ দানেশ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, আবদুল মতিন, ওয়ালি খান প্রমুখ ছিলেন। 
উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) মূলত ডানপন্থী রাজনৈতিক দল, বিপরীতে ন্যাপ বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী দল হিসেবে আলাদা রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রেখেছে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
জনমত গঠন
B
শান্তি রক্ষা করা
C
রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভ
D
জনগণের সেবা করা
রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভ ও সরকার গঠন
- 
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হল রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্জন এবং সরকার গঠন। 
- 
ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে তারা নিজেদের কর্মসূচি ও মতাদর্শ বাস্তবায়ন করে। 
- 
আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একাধিক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। 
- 
শাসক দলের লক্ষ্য হল ক্ষমতায় স্থায়ী থাকা। 
- 
বিরোধী দলের লক্ষ্য হল নিজেদের আদর্শ ও নীতিমালার ভিত্তিতে শাসক দলকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং সরকারের কার্যক্রম যাচাই করা। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 weeks ago
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
দলীয় সংগঠন থাকা
B
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা
C
রাজনৈতিক ক্ষমতা গ্রহণ করা
D
দলীয় সংগঠন না থাকা
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী
- 
কোন দলীয় সংগঠন নেই; নির্দলীয় সংগঠন। 
- 
লক্ষ্য: রাজনৈতিক ক্ষমতা গ্রহণ নয়, বরং সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে নিজেদের স্বার্থ বা দাবি আদায় করা। 
- 
দলের মতো কর্মসূচি নেই; শুধু গোষ্ঠীর স্বার্থ পূরণের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। 
- 
নির্বাচনে প্রার্থী দেয় না এবং সরাসরি প্রচারণা চালায় না। 
- 
অনেক সময় পছন্দের প্রার্থীকে অর্থ বা জনবল দিয়ে সহযোগিতা করে। 
- 
কিছু দেশে কখনও কখনও পছন্দের দলের পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নেয়। 
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago