পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কে ছিলেন?
A
সামছুল হক
B
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
C
আতাউর রহমান
D
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
উত্তরের বিবরণ
আওয়ামী মুসলিম লীগ
-
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল পাকিস্তান পরবর্তী সময়ে পূর্ব বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল।
প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটি:
-
সভাপতি: মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
-
সাধারণ সম্পাদক: সামছুল হক
-
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: শেখ মুজিবুর রহমান
-
সহ-সভাপতি: আতাউর রহমান ও আব্দুস সালাম খান
পরবর্তী নেতৃত্বের পরিবর্তন:
-
১৯৫৩ সালের ৩–৫ জুলাই অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের দ্বিতীয় সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
-
১৯৬৬ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
প্রসঙ্গত, শুরুতে দলের নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরে ১৯৫৫ সালে “মুসলিম” শব্দটি বাদ দিয়ে এর নামকরণ করা হয় আওয়ামী লীগ, যাতে সকল ধর্মের মানুষকে রাজনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

0
Updated: 23 hours ago
আওয়ামী লীগের ছয়-দফা কোন সালে পেশ করা হয়েছিল?
Created: 3 months ago
A
১৯৬৫ সালে
B
১৯৬৬ সালে
C
১৯৬৭ সালে
D
১৯৬৮ সালে
ছয় দফা আন্দোলন
১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের লাহোরে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২৩ মার্চ, ১৯৬৬ সালে এই দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়।
এই ছয় দফা দাবি বাঙালি জাতির "মুক্তির সনদ" নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার স্পষ্ট দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়।
ছয় দফা দাবির মূল বিষয়বস্তু ছিলঃ
-
প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা।
-
কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সীমিতকরণ – শুধু প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে রাখা।
-
মুদ্রা বা আর্থিক নীতির ক্ষমতা – পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক মুদ্রা বা একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
-
রাজস্ব, কর ও শুল্ক সংক্রান্ত ক্ষমতা – সম্পূর্ণভাবে প্রাদেশিক সরকারের অধীনে রাখা।
-
বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ – পূর্ব পাকিস্তানের জন্য নিজস্ব বাণিজ্য নীতি ও বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অধিকার নিশ্চিত করা।
-
আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন – প্রদেশের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার জন্য নিজস্ব মিলিশিয়া বা আধা-সামরিক বাহিনী গঠনের অধিকার।
এই ছয় দফা দাবিই পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে কাজ করে।
উৎস:
পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
(প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক)

0
Updated: 3 months ago