A
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি
B
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি
C
তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি
D
তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি
উত্তরের বিবরণ
তাড়িত, দন্তমূলীয়, দন্ত্য এবং তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের জন্য উচ্চারণ পদ্ধতির ওপর দৃষ্টি দেওয়া হয়।
-
তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি
তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের সামনের অংশ মূর্ধায় বা দন্তমূলের একটু উপরে একবার ছোঁয়ায় হয়।-
উদাহরণ: বাড়ি, মূঢ় – ড়, ঢ়
-
-
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।-
উদাহরণ: নানা, রাত, লাল, সালাম – ন, র, ল, স
-
-
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের সাথে লাগিয়ে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।-
উদাহরণ: তাল, থালা, দাদা, ধান – ত, থ, দ, ধ
-
-
তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি
তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।-
উদাহরণ: চাচা, ছাগল, জাল, ঝড়, শসা – চ, ছ, জ, ঝ, শ
-
এই ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোর পার্থক্য মূলত উচ্চারণের স্থল এবং জিভের অবস্থানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।

0
Updated: 7 hours ago
'আকাশে তো আমি রাখিনাই মোর উড়িবার ইতিহাস।' -এই বাক্যে 'আকাশে' শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
কর্তৃকারকে সপ্তমী
B
কর্মকারকে সপ্তমী
C
অপাদান কারকে তৃতীয়া
D
অধিকরণ কারকে সপ্তমী
অধিকরণ কারক
-
অধিকরণ কারক হল সেই কারক যা ক্রিয়ার আধার নির্দেশ করে। অর্থাৎ, এটি ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান, কাল বা ভাবকে বোঝায়।
-
সহজভাবে বলতে গেলে, অধিকরণ কারক হলো ক্রিয়াপদের সঙ্গে সম্পর্কিত সময়, স্থান বা বিষয়ের তথ্য।
-
বাক্যে ক্রিয়াপদ কোন স্থানে, কখন বা কিভাবে সম্পন্ন হচ্ছে তা প্রকাশ করতে অধিকরণ কারক ব্যবহৃত হয়।
-
অধিকরণ কারকের ক্ষেত্রে সাধারণত সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয়, যেমন – এ, য়, তে ইত্যাদি।
উদাহরণ হিসেবে, ‘‘আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস’’ বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি স্থান নির্দেশ করছে এবং এতে সপ্তমী বিভক্তি ‘এ’ যুক্ত রয়েছে। তাই ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারকের একটি উদাহরণ।
অধিকরণ কারকের আরও কিছু উদাহরণ:
-
“তৈল আছে” – এখানে ‘আছে’ ক্রিয়া এবং ‘তৈল’ শব্দের সঙ্গে সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত।
-
“কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল” – ‘কাননে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে” – এখানে ‘পাঠে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি আছে।
-
“পাতায় পাতায় পড়ে শিশির নিশির” – ‘পাতায়’ শব্দটি অধিকরণ কারকের উদাহরণ।
-
“বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি” – এখানে ‘বাংলাদেশ’ শব্দে কোনো বিভক্তি না থাকায় শূন্য বিভক্তি প্রযোজ্য।
-
“বন্যেরা বনে সুন্দর” – ‘বনে’ শব্দটি সপ্তমী বিভক্তিতে আছে।
-
“ছাদে পানি আছে” – ‘ছাদে’ শব্দেও সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“কপালের লিখন যায় না খণ্ডন” – ‘কপালের’ শব্দে ষষ্ঠী বিভক্তি রয়েছে, যা অধিকরণ কারকের একটি বিশেষ ক্ষেত্রে পড়ে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ), মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি ভাষার বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 2 weeks ago
A
ইশারা বা অঙ্গভঙ্গি
B
অর্থদ্যোতকতা
C
মানুষের কণ্ঠনিঃসৃত ধ্বনি
D
জনসমাজের ব্যবহার যোগ্যতা
ভাষার মূল উপাদান ধ্বনি। ধ্বনির সাহায্যে ভাষার সৃষ্টি হয়। আবার ধ্বনি সৃষ্টি হয় বাগযন্ত্রের দ্বারা। মানুষের কন্ঠ নিঃসৃত বাক সংকেতের সংগঠন কে ভাষা বলে।
গলনালি, মুখবিবর, কন্ঠ, জিহ্বা, তালু, দাঁত, নাক ইত্যাদি বাক প্রত্যঙ্গকে বাকযন্ত্র বলে। ইশারা বা অঙ্গভঙ্গির সাহাযে মনের ভাব সম্পুর্ণ রূপে প্রকাশ পাই না। তাই এটি ভাষার অন্তর্ভুক্ত নয়।

0
Updated: 2 weeks ago
‘নবপৃথিবী’–এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 1 week ago
A
নব ও পৃথিবী
B
নব পৃথিবী যার
C
নব যে পৃথিবী
D
নব পৃথিবীর ন্যায়
'নবপৃথিবী'- এর সঠিক ব্যাসবাক্য নব যে পৃথিবী। যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।

0
Updated: 1 week ago