চর্যাপদ মূলত কোন ধর্মের সাধকরা রচনা করেন?
A
শাক্ত সাধক
B
বৈষ্ণব সাধক
C
বৌদ্ধ সহজিয়া
D
জৈন সাধক
উত্তরের বিবরণ
"চর্যাপদ: বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন" সম্পর্কিত তথ্য-
আবিষ্কার:
• ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী — ১৯০৭ সালে — নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
• পরবর্তীতে, ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগ্চী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
চর্যাপদের পরিচয়:
• চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার — প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
• এটি বাংলা সাহিত্যের — আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
• চর্যাগুলো রচনা করেন — বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
• চর্যাপদে — বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা ও দার্শনিক চিন্তাধারা ফুটে উঠেছে।
• চর্যাপদের ভাষায় বাংলা, অর্ধমাগধী, প্রাকৃত, সংস্কৃত ও দেশজ শব্দের মিশ্রণ আছে।
অনুবাদ:
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন — কীর্তিচন্দ্র।
• এই অনুবাদের সূত্রেই চর্যাপদ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য জানা যায়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যে ‘স্বভাব কবি' হিসেবে পরিচিত?
Created: 2 months ago
A
গোলাম মোস্তফা
B
নবীনচন্দ্র সেন
C
হাসন রাজা
D
গােবিন্দচন্দ্র দাস
গোবিন্দচন্দ্র দাস
-
জন্ম: ১৮৫৫ সালের ১৬ জানুয়ারি, ঢাকা জেলার ভাওয়ালের জয়দেবপুর
-
পরিচয়: বাংলা সাহিত্যের ‘স্বভাব কবি’
-
সাহিত্যিক অবদান: রবীন্দ্রনাথের সমকালে আধুনিক গীতিকবিতার ধারায় কবিতা রচনা করে খ্যাতি অর্জন
-
ব্যক্তিগত জীবন:
-
প্রথম পত্নী: সারদাসুন্দরী (মৃত্যুর সাত বছর পর দ্বিতীয় বিয়ে)
-
কবিতার মাধ্যমে প্রথম পত্নীকে অমর করেছেন
-
-
উল্লেখযোগ্য: বাংলা সাহিত্যে তার কবিতার স্বতন্ত্র স্বভাব ও সরলতা
অন্যান্য ছদ্মনাম
-
গোলাম মোস্তফা: সিতারা-ই-ইমতিয়াজ, কাব্য সুধাকর
-
অহিদুর রেজা: হাসান রাজা
0
Updated: 2 months ago
নওয়াব ফয়জুন্নেসার রচিত ‘রূপজালাল’ গ্রন্থটি কী ধরনের রচনা?
Created: 2 weeks ago
A
নাটক
B
ঐতিহাসিক উপন্যাস
C
আত্মজীবনীমূলক রচনা
D
কাব্যগ্রন্থ
বাংলা সমাজে নারীশিক্ষা ও সমাজকল্যাণে অসাধারণ ভূমিকা রেখে গেছেন নওয়াব ফয়জুন্নেসা। তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম নারী যিনি ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত হন। সাহিত্য, সমাজসেবা ও নারীজাগরণে তাঁর অবদান উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা সমাজে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছিলেন একজন জমিদার, নারীশিক্ষার প্রবর্তক, সমাজসেবক ও কবি।
-
তিনি ১৮৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
জমিদারি লাভের আগেই তিনি সমাজকল্যাণ ও দরিদ্রজনের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
-
তাঁর জনহিতৈষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৮৯ সালে মহারানী ভিক্টোরিয়া তাঁকে ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যা কোনো বাংলা নারীর জন্য প্রথম ঘটনা।
-
‘বান্ধব’, ‘ঢাকা প্রকাশ’, ‘মুসলমান বন্ধু’, ‘সুধাকর’ ও ‘ইসলাম প্রচারক’ প্রভৃতি বাংলা পত্রিকা তাঁর আর্থিক সহায়তা পেত।
-
তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যিক নারী, যার রচনা সমাজবাস্তবতা ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘রূপজালাল’ (১৮৭৬) — গদ্য ও পদ্য মিলিত একটি রূপকধর্মী আত্মজীবনীমূলক কাব্য, যেখানে তিনি তাঁর বিড়ম্বিত দাম্পত্য জীবনের করুণ কাহিনি তুলে ধরেছেন।
-
এছাড়া তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ হলো ‘সঙ্গীতসার’ ও ‘সঙ্গীতলহরী’।
-
তিনি ১৯০৩ সালে স্বগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত হন।
-
তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৪ সালে তাঁকে (মরণোত্তর) একুশে পদক প্রদান করা হয়।
0
Updated: 2 weeks ago
‘তারাবাঈ' নাটকটির লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
B
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
C
আবদুল্লাহ আল মামুন
D
মামুনুর রশিদ
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (ডি.এল. রায়)
-
জন্ম: ১৯ জুলাই ১৮৬৩, নদীয়া জেলা, কৃষ্ণনগর
-
মৃত্যু: ১৭ মে ১৯১৩, কলকাতা
-
পেশা: কবি, নাট্যকার, সুরকার, গীতিকার
-
পরিবার: অগ্রজ রাজেন্দ্রলাল ও হরেন্দ্রলালও সাহিত্যিক
সাহিত্যিক কার্যক্রম:
-
ছাত্রজীবনে: আর্য্যগাথা
-
বিলেতে: Lyrics of Ind
-
১৯০৫ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন কেন্দ্রিক গণজাগরণমূলক গান রচনা
ঐতিহাসিক নাটক:
-
তারাবাঈ
-
প্রতাপ-সিংহ
-
দুর্গাদাস
-
নূরজাহান
-
মেবার পতন
-
সাজাহান
-
চন্দ্রগুপ্ত
-
সিংহলবিজয়
সামাজিক নাটক:
-
পরপারে
-
বঙ্গনারী
নোট: তারাবাঈ উপন্যাস লিখেছেন ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
0
Updated: 1 month ago