পুঁথি সাহিত্যের আদি ও শ্রেষ্ঠ কবি কে?
A
শাহ মুহম্মদ সগীর
B
ফকির গরিবুল্লাহ
C
আলাওল
D
সৈয়দ হামজা
উত্তরের বিবরণ
ফকির গরীবুল্লাহ এবং পুঁথি সাহিত্য
-
পুঁথি সাহিত্যের প্রথম, শ্রেষ্ঠ ও সার্থক কবি: ফকির গরীবুল্লাহ
-
জীবনকাল: আনুমানিক ১৬৮০–১৭৭০
-
অবদান: ‘আমীর হামজা’ রচনা করে বাংলা পুঁথি সাহিত্যের সূচনা
পুঁথি সাহিত্য:
-
আঠারো থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত বিস্তৃত, বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা
-
ভাষার মিশ্রণ: আরবি, উর্দু, ফারসি ও হিন্দি
-
মূলত মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে রচিত এবং পাঠকও মুসলমান সম্প্রদায়
-
দোভাষী পুঁথি বা পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম ও সার্থক কবি: ফকির গরীবুল্লাহ
-
মর্সিয়া সাহিত্যের আদি কবি: শেখ ফয়জুল্লাহ
ফকির গরীবুল্লাহ রচিত কাব্যসমূহ:
-
আমীর হামজা (প্রথম অংশ)
-
সোনাভান
-
জঙ্গনামা
-
সত্যপীরের পুঁথি
-
ইউসুফ জোলেখা
-
বিশেষ উল্লেখ: ফকির গরীবুল্লাহ না থাকলে উত্তর হবে সৈয়দ হামজা।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদ রচনা করেন কে?
Created: 2 months ago
A
চণ্ডীদাস
B
জয়দেব
C
বিদ্যাপতি
D
জ্ঞানদাস
বৈষ্ণব পদাবলি
-
স্বরূপ: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কাব্য ফসল
-
প্রথম পদকর্তা: জয়দেব
-
প্রথম নিদর্শন: ‘গীতগোবিন্দম্’ (রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে; সংস্কৃত ভাষায় রচিত)
-
বাংলা ভাষায় প্রথম পদ: চণ্ডীদাস
-
বিদ্যাপতি: পরবর্তীতে ব্রজবুলি ভাষায় বৈষ্ণব পদ রচনা করেছেন
0
Updated: 2 months ago
বিজন ভট্টাচার্য রচিত 'নবান্ন' গ্রন্থটি কোন প্রকার সাহিত্য?
Created: 1 month ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
কাব্যগ্রন্থ
D
প্রবন্ধ
• 'নবান্ন' নাটক:
- নবান্ন পঞ্চাশের মন্বন্তরের পটভূমিকায় কৃষক জীবনের দুঃখ দুর্দশা ও জীবন সংগ্রামের কাহিনি অবলম্বনে রচিত নাটক।
- নবনাট্য আন্দোলনের পথিকৃৎ বিজন ভট্টাচার্য এই নাটকের মাধ্যমে বাংলা নাট্যধারায় অবদান রাখেন।
- পঞ্চাশের মন্বন্তর, সমকালীন জাতীয় আন্দোলন, মেহনতি মানুষের চাহিদা ইত্যাদি প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ কৃষক সমাজের দুঃখ-দুর্দশা, তাদের সংগ্রাম, সফলতা- ব্যর্থতা নাটকের মূল সুর।
• বিজন ভট্টাচার্যের বিখ্যাত নাটক:
- নবান্ন,
- জনপদ,
- কলঙ্ক,
- মরাচাঁদ,
- অবরোধ,
- গোত্রান্তর ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
পদসঙ্গীত ধারার রূপকার ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
জয়দেব
B
গোবিন্দদাস
C
বিদ্যাপতি
D
চণ্ডীদাস
বিদ্যাপতি বাংলা সাহিত্যে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম, যদিও তিনি বাঙালি কবি ছিলেন না। তাঁর পদসঙ্গীত ও বৈষ্ণব কবিতা বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। বিশেষত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক ব্রজবুলি পদ রচনায় তিনি অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
-
বিদ্যাপতি বৈষ্ণব কবি এবং পদসঙ্গীত ধারার রূপকার হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি মৈথিলি মাতৃভাষা ছাড়াও সংস্কৃত, অবহট্ঠট ও ব্রজবুলি ভাষায় পদাবলি রচনা করেন।
-
শৈব বংশে জন্মগ্রহণ করায় বহু শৈবসঙ্গীতও রচনা করেছিলেন।
-
তিনি ‘মৈথিল কোকিল’ ও ‘অভিনব জয়দেব’ নামে খ্যাত। অন্যান্য উপাধির মধ্যে ছিল নব কবিশেখর, কবিরঞ্জন, কবিকণ্ঠহার, পণ্ডিত ঠাকুর, সদুপাধ্যায় ও রাজপণ্ডিত।
-
তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি ব্রজবুলিতে রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলি। বিদ্যাপতি সহস্রাধিক পদ রচনা করেছিলেন, যার মধ্যে পাঁচ শতাধিক পদে রাধাকৃষ্ণের উল্লেখ রয়েছে। অন্য পদগুলিতেও প্রেমলীলা বিষয়ক ধারা বহন করে।
-
মিথিলার রাজসভায় তিনি সংস্কৃত ও প্রাকৃত সাহিত্যের ভাষা, ছন্দ, শব্দ ও অলঙ্কারের ভাণ্ডার থেকে প্রেরণা নিয়ে রাধার প্রেমকে বর্ণনা করেন।
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “বিদ্যাপতির কবিতা স্বর্ণহার, বিদ্যাপতির গান মুরজবীণাসঙ্গিনী স্ত্রীকণ্ঠগীতি।”
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদ্যাপতির কাব্যকে “রাজকণ্ঠের মণিমালা” বলে অভিহিত করেছেন।
0
Updated: 1 month ago