'বাঙ্গালীর ইতিহাস' বইটির লেখক কে?
A
নীহাররঞ্জন রায়
B
আর সি মজুমদার
C
অধ্যাপক আব্দুল করিম
D
অধ্যাপক সুনীতিকুমার সেন
উত্তরের বিবরণ
• 'বাঙ্গালীর ইতিহাস' বইটির লেখক - নীহাররঞ্জন রায়।
নীহাররঞ্জন রায়:
- তিনি ভারতের শেষ বহুশাস্ত্রজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম একজন।
- মানব অভিজ্ঞতার রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিকগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনে নীহাররঞ্জন রায় এর প্রয়াস পরিণতি লাভ করেছে তাঁর প্রধান সাহিত্যকর্ম বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থে।
তাঁর রচিত গ্রন্থ:
- Maurya and Sunga Art,
- বাঙ্গালীর ইতিহাস,
- Nationalism in India,
- Idea and Image of Indian Art.
তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনা হচ্ছে:
- Mughal Court Painting,
- The Sikh Gurus and the Sikh Society,
- Dutch Activities in the East,
- An Approach to Indian Art.
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 4 months ago
শামসুর রাহমানের রচিত উপন্যাস -
Created: 1 week ago
A
পতঙ্গ পিঞ্জর
B
প্রেম একটি লাল গোলাপ
C
রৌদ্র করোটিতে
D
অদ্ভুত আঁধার এক
শামসুর রাহমান একজন খ্যাতনামা কবি ও সাংবাদিক, যিনি বাংলা সাহিত্যের বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর জন্ম ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে। শামসুর রাহমানের কবিতার প্রতি আকর্ষণ প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৬০ সালে, যখন তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ "প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে" প্রকাশিত হয়।
তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘স্বাধীনতা তুমি’ এবং ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’ মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুদ্ধকালীন সময়ে লেখা কবিতাগুলি ‘বন্দী শিবির থেকে’ নামে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। এই কবিতাগুলি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের অমূল্য স্মৃতিরূপে চিহ্নিত হয়।
শামসুর রাহমান কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও বেশ কিছু উপন্যাসও রচনা করেন, যার মধ্যে অদ্ভুত আঁধার এক অন্যতম। ১৯৮৫ সালে এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। তাঁর অন্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে অক্টোবাস, নিয়ত মন্তাজ, এবং এলো সে অবেলায়।
শামসুর রাহমানের কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে,
-
প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে,
-
রৌদ্র করোটিতে,
-
বিধ্বস্ত নীলিমা,
-
নিরালোকে দিব্যরথ,
-
নিজ বাসভূমে,
-
বন্দী শিবির থেকে,
-
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা,
-
আমি অনাহারী,
-
প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে,
-
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ,
-
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়,
-
হরিণের হাড়,
-
তুমি নিঃশ্বাস তুমি হৃদস্পন্দন।
এছাড়া, ‘পতঙ্গ পিঞ্জর’ উপন্যাসের রচয়িতা শওকত ওসমান, এবং ‘প্রেম একটি লাল গােলাপ’ উপন্যাসের লেখক রশীদ করীম।
0
Updated: 1 week ago
'কবর' নাটক কার রচনা?
Created: 3 months ago
A
শহীদুল্লাহ কায়সার
B
জহির রায়হান
C
মুনীর চৌধুরী
D
সত্যেন সেন
বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিকী নাটক হিসেবে স্থান করে নিয়েছে মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’। এটি মূলত রচিত হয়েছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের উত্তাল পটভূমিতে।
লেখক নিজেই তখন কারাগারে বন্দি। সেই বন্দিদশায়, ১৯৫৩ সালে কারাগারে থাকা রাজবন্দিদের সহায়তায় প্রথম অভিনীত হয় এই নাটকটি। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
কাহিনির সারসংক্ষেপ
Irwin Shaw-এর বিখ্যাত নাটক "Bury The Dead" (১৯৩৬) অবলম্বনে দেশীয় প্রেক্ষাপটে ‘কবর’ নাটকটি নির্মিত। এতে দেখা যায়, ভাষা আন্দোলনের এক মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহতদের মৃতদেহ শহরের বাইরে গভীর রাতে গোপনে কবরস্থ করতে আনা হয়। এ কাজে নেতৃত্ব দেয় এক পুলিশ ইন্সপেক্টর হাফিজ এবং তার সহযোগী এক নেতা, যার নাম নাটকে উল্লেখ করা হয়নি।
তবে মিছিলে নিহত এসব আন্দোলনকারীর মৃতদেহ এতটাই বিকৃত যে, ধর্মীয় প্রথা মেনে দাফন না করে তারা একত্রে মাটি চাপা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়ায় গোর খোদক এবং এক পাগল, যিনি নিজেকে মুর্দা ফকির হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি জানান, এ লাশগুলো শহীদের—তাদের কবর দেওয়া যাবে না। নাটকের এক মোক্ষম মুহূর্তে দেখা যায়, মৃতদেহগুলো জীবন্ত হয়ে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেয়: “আমরা কবরে যাব না।” এই দৃশ্য দেখে ইন্সপেক্টর ও নেতা দুজনেই আতঙ্কে পালিয়ে যায়।
নাট্যকার মুনীর চৌধুরী পরিচিতি
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বলিষ্ঠ বক্তা। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর, মানিকগঞ্জ শহরে। প্রগতিশীল চিন্তাধারায় বিশ্বাসী মুনীর চৌধুরী বামপন্থী রাজনীতি ও সংস্কৃতি আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
তাঁর মৌলিক নাটকসমূহ:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
অনুবাদ নাটকসমূহ:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago
'আবোল-তাবোল' কার লেখা?
Created: 3 months ago
A
উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী
B
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
C
সুকুমার রায়
D
সত্যজিৎ রায়
'আবোল-তাবোল'-এর রচয়িতা সুকুমার রায়
বাংলা শিশুসাহিত্যের এক অনন্য নাম সুকুমার রায়। তিনি ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ ও প্রযুক্তিনিপুণ ব্যক্তিত্ব। এই বিশিষ্ট রায় পরিবারের আদি নিবাস ছিল ময়মনসিংহ জেলার মসুয়া গ্রামে।
সুকুমার রায় শুধু একজন কবিই নন, ছিলেন ব্যঙ্গ-রসিকতার এক নিপুণ কারিগর। তাঁর পুত্র সত্যজিৎ রায় পরবর্তীতে বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্রকার হিসেবে অস্কার লাভ করেন।
সাহিত্যকর্মসমূহ:
সুকুমার রায়ের সাহিত্যকর্ম মূলত কিশোর ও শিশু পাঠকদের জন্য হলেও প্রাপ্তবয়স্করাও তাঁর রচনায় বিমোহিত হন।
কবিতা সংকলন:
-
আবোল-তাবোল (ব্যঙ্গ ও কল্পনাপ্রবণ ছড়ার এক অমর সংকলন)
-
খাই খাই (খাবার নিয়ে মজার ছড়াসমূহ)
গল্প ও সংকলন:
-
হযবরল – এক স্বপ্নময় ও রহস্যঘেরা গল্প
-
পাগলা দাশু – কৌতুক ও ব্যঙ্গ-রসের সংমিশ্রণে ভরপুর একটি গল্প সংকলন
নাট্যকর্ম:
-
চলচিত্তচঞ্চরী – সমাজ ও মনস্তত্ত্বভিত্তিক নাটক
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
অবাক জলপান
-
লক্ষণের শক্তিশেল
-
হেশোরাম হুশিয়ারের ডায়েরি
-
ঝালাপালা ও অন্যান্য নাটক
-
বহুরূপী
সুকুমার রায়ের সাহিত্যকর্মে রস, ছন্দ, ব্যঙ্গ ও কল্পনার এক অপরূপ মিশ্রণ রয়েছে যা বাংলা সাহিত্যে আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক ও প্রিয়।
উৎস:
ড. সৌমিত্র শেখর সম্পাদিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা গ্রন্থ এবং ‘হ-য-ব-র-ল’ গ্রন্থের ভূমিকা।
0
Updated: 3 months ago