কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘কুহেলিকা’ উপন্যাসটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
A
ভারতী
B
নওরোজ
C
বিজলী
D
সাপ্তাহিক সংবাদ
উত্তরের বিবরণ
‘কুহেলিকা’ উপন্যাসটি নওরোজ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
‘কুহেলিকা’ উপন্যাস:
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত এই উপন্যাসটি ১৯৩৪ বঙ্গাব্দে ‘নওরোজ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- এটি রাজনৈতিক উপন্যাস, যার রাজনৈতিক প্রসঙ্গ অত্যন্ত বড় ক্যানভাসে তুলে ধরা হয়েছে।
উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি:
"ইহারা মায়াবিনীর জাত। ইহারা সকল কল্যাণের পথে মায়াজাল পাতিয়া রাখিয়াছে। ইহারা গহন পথের কণ্টক, রাজপথের দস্যু।"
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
- জাহাঙ্গীর (নায়ক),
- তাহমিনা,
- চম্পা,
- ফিরদৌস বেগম।
0
Updated: 1 month ago
'চর্যাগীতিকোষবৃত্তি' নামে মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
B
রাজেন্দ্রলাল মিত্র
C
কীর্তিচন্দ্র
D
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
চর্যাপদ ও প্রাচীন বাংলার পদসংগ্রহ
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে তৃতীয় নেপাল সফরে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে প্রাচীন কিছু সাহিত্য পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় এগুলো বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়:
-
চর্যাচর্যবিনিশ্চয়
-
সরহপাদ ও কৃষ্ণপাদের দোহা
-
ডাকার্ণব-এর চারটি পুঁথি
-
গ্রন্থের নাম: ‘হাজার বছরের পুরাণ: বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’
-
-
এগুলোর মধ্যে একমাত্র চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ই প্রাচীন বাংলায় লেখা, বাকিগুলো অপভ্রংশ ভাষায় রচিত।
ভাষাতাত্ত্বিক ও ধর্মমত বিশ্লেষণ
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় Origin and Development of the Bengali Language (ODBL) গ্রন্থে এসব পদসংগ্রহের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৭ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যার তিব্বতি অনুবাদ প্রকাশ করেন।
পদসংগ্রহের নাম সম্পর্কিত তথ্য
-
মুনিদত্তের সংস্কৃত টীকানুসারে পদসংগ্রহের নাম ছিল ‘আশ্চর্যচর্যাচয়’।
-
নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে নাম দেওয়া হয়েছিল ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী দুটি নাম মিলিয়ে ‘চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়’ নামকরণ করেন।
-
কীর্তিচন্দ্র মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ ছিল ‘চর্যাগীতিকোষবৃত্তি’।
-
আধুনিক পণ্ডিতদের অনুমান: মূল সংকলনের নাম ছিল ‘চর্যাগীতিকোষ’, সংস্কৃত টীকার নাম ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 1 month ago
'রাজবন্দীর রোজনামচা' স্মৃতিকথার রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
জহির রায়হান
C
শহীদুল্লাহ কায়সার
D
শেখ মুজিবুর রহমান
শহীদুল্লাহ কায়সার
-
জন্ম: ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে
-
প্রকৃত নাম: আবু নঈম মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ
-
পেশা: লেখক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী
স্মৃতিকথা:
-
রাজবন্দীর রোজনামচা (প্রকাশিত: ১৯৬২)
উপন্যাস:
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
-
কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
ভ্রমণবৃত্তান্ত:
-
পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ
উল্লেখ্য:
-
রাজবন্দীর জবানবন্দী – কাজী নজরুল ইসলাম
-
শয়তানের জবানবন্দি – আরজ আলী মাতুব্বর
-
কারাগারের রোজনামোচা – শেখ মুজিবর রহমান
0
Updated: 1 month ago
'লাইলী মজনু' কাব্যের মূল উপাখ্যান কোন দেশের?
Created: 2 months ago
A
পাকিস্থান
B
ইরান
C
ইরাক
D
শামদেশ
লায়লী মজনু
-
লায়লী মজনু কাব্যের রচয়িতা দৌলত উজির বাহরাম খান।
-
রচনাকাল নিয়ে মতভেদ রয়েছে—আহমদ শরীফের মতে ১৫৪৩-১৫৫৩ সালের মধ্যে, আর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে ১৬৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রচিত।
-
এটি পারস্যের কবি জামি-এর লায়লী ওয়া মজনুন কাব্যের ভাবানুবাদ।
-
কাব্যের উপাখ্যানের দেশ ইরান।
-
এতে আধ্যাত্মিকতার তুলনায় মানবিক প্রবৃত্তি বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।
-
কাহিনির প্রধান চরিত্র আমিরপুত্র কায়েশ ও বণিককন্যা লায়লী।
0
Updated: 2 months ago