জীবনানন্দ দাশের রচিত উপন্যাস কোনটি?
A
ঝরা পালক
B
বনলতা সেন
C
মাল্যবান
D
মহাপৃথিবী
উত্তরের বিবরণ
জীবনানন্দ দাশ এবং তাঁর সাহিত্যকর্ম
-
উপন্যাস: মাল্যবান (আরও একটি উপন্যাস: সুতীর্থ)
-
জীবনানন্দ দাশ:
-
জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯, বরিশাল
-
পিতৃনিবাস: বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রাম
-
পিতা: সত্যানন্দ দাশ (স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক)
-
মাতা: কুসুমকুমারী দাশ (কবি)
-
মৃত্যু: ২২ অক্টোবর ১৯৫৪, কলকাতা (ট্রম দুর্ঘটনার পর)
-
-
উপাধি:
-
ধুসরতার কবি
-
তিমির হননের কবি
-
রূপসী বাংলার কবি
-
নির্জনতার কবি
-
-
সাহিত্যকর্ম:
-
কাব্যগ্রন্থ: ঝরা পালক, ধূসর পাণ্ডু লিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা
-
উপন্যাস: মাল্যবান, সুতীর্থ
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: কবিতার কথা
-
0
Updated: 1 month ago
আলাওল কার আদেশে 'পদ্মাবতী' কাব্যটি রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
দৌলত কাজীর আদেশে
B
দৌলত উজির বাহরাম খানের আদেশে
C
কানাহরি দত্তের আদেশে
D
মাগন ঠাকুরের আদেশে
পদ্মাবতী কাব্য
-
রচয়িতা: আলাওল
-
মহত্ব: মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় প্রণয়কাব্য।
-
উৎস: হিন্দি কবি মালিক মুহাম্মদ জায়সির পদুমাবৎ কাব্যের বাংলা অনুবাদ।
-
রচনার সময়: ১৬৫১ খ্রিষ্টাব্দ, আরাকান রাজ সাদ থদোমিন্তারের রাজত্বকালে, মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে।
-
কাব্যের গঠন: দুইটি পর্বে বিভক্ত
-
চিতোররাজ রত্নসেন সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতী অর্জন করেন।
-
দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি পদ্মাবতী লাভের ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
-
আলাওল (আনুমানিক ১৬০৭–১৬৮০)
-
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং সর্বাধিক গ্রন্থপ্রণেতা।
-
মোট কাব্যসংখ্যা: ৭টি
আখ্যানকাব্য:
-
পদ্মাবতী (১৬৪৮)
-
সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী (১৬৫৯)
-
সপ্তপয়কর (১৬৬৫)
-
সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল (১৬৬৯)
-
সিকান্দরনামা (১৬৭৩)
নীতিকাব্য:
-
তোহফা (১৬৬৪)
সঙ্গীতবিষয়ক কাব্য:
-
রাগতালনামা
0
Updated: 1 month ago
'সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই' উক্তিটি কার?
Created: 4 days ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র
B
বিবেকানন্দ
C
রবীন্দ্রনাথ
D
চন্ডীদাস
বাংলা সাহিত্য ও দর্শনের ইতিহাসে “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” উক্তিটি মানবতাবাদের এক অমর বার্তা হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে আছে। এই গভীর ও অনন্য উক্তির রচয়িতা হলেন চণ্ডীদাস, যিনি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের এক প্রখ্যাত বৈষ্ণব কবি। চণ্ডীদাস মানবপ্রেম ও ভক্তিভাবের মাধ্যমে ধর্ম, জাতিভেদ ও সামাজিক ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে মানুষের মহত্বকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর এই উক্তি শুধু একটি বাক্য নয়, বরং এটি ছিল মধ্যযুগের সামাজিক ও ধর্মীয় সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে মানবতার এক শক্তিশালী প্রতিবাদ।
চণ্ডীদাস ছিলেন বাংলা বৈষ্ণব পদাবলীর এক গুরুত্বপূর্ণ কবি, যিনি প্রেম, ভক্তি ও মানবতাকে মিলিয়ে এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষের ভেতরেই ঈশ্বরের প্রকাশ ঘটে, তাই মানুষের সেবা ও ভালোবাসাই প্রকৃত ধর্ম। সেই চিন্তা থেকেই তাঁর বিখ্যাত উক্তি— “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।” এটি মূলত ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার নয়, বরং মানুষের মর্যাদাকে সর্বোচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠার ঘোষণা।
চণ্ডীদাসের এই বক্তব্যের মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক দিক রয়েছে।
প্রথমত, তিনি সমাজে প্রচলিত জাতপাত, ধর্মীয় ভেদাভেদ এবং আচার-অনুষ্ঠানের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তাঁর মতে, মানুষ জন্মগতভাবে সমান, তাই কোন জাতি, বর্ণ বা ধর্ম মানুষের মূল সত্তাকে নির্ধারণ করতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, তাঁর এই ধারণা মানবিক মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠা করে। চণ্ডীদাস মনে করতেন, মানুষের মধ্যে করুণা, ভালোবাসা ও সততা থাকলেই ঈশ্বরপ্রেম পূর্ণতা পায়।
তৃতীয়ত, তাঁর এই দর্শন মূলত বৈষ্ণব ধর্মের “ভক্তি ও প্রেম”-এর দার্শনিক ভিত্তির ওপর দাঁড়ালেও, তা মানবতাবাদে পরিণত হয়।
চণ্ডীদাসের সময়টা ছিল এমন এক যুগ, যখন সমাজে কঠোর জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা, এবং ধর্মীয় কুসংস্কার প্রচলিত ছিল। সেই সময় দাঁড়িয়ে তিনি মানুষের প্রতি ভালোবাসাকে ঈশ্বরের চেয়েও উঁচু বলে ঘোষণা করেন। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গি তখনকার সামাজিক নিয়মের জন্য একপ্রকার বিপ্লবী ঘোষণা ছিল। ফলে, তাঁর রচনাগুলো শুধু ভক্তিমূলক কবিতা নয়, বরং মানবপ্রেমের ঘোষণাপত্র হিসেবেও পরিচিত।
এই উক্তিটি পরবর্তীকালে অনেক সাহিত্যিক, দার্শনিক এবং সমাজসংস্কারকের চিন্তায় প্রভাব ফেলেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও চণ্ডীদাসের এই মানবতাবাদী ভাবধারায় গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তাঁর লেখায় এবং গানে মানবপ্রেম ও মানবমর্যাদার যে বিশুদ্ধ প্রকাশ দেখা যায়, তার উৎস এই চণ্ডীদাসীয় চিন্তাধারার সঙ্গে যুক্ত।
সুতরাং, “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” শুধুমাত্র একটি উক্তি নয়; এটি বাংলা সাহিত্য ও মানবসভ্যতার এক চিরন্তন দিকনির্দেশনা। এই কথাটি আমাদের শেখায়, মানবতার চেয়ে বড় কিছু নেই—ধর্ম, জাতি, কিংবা বর্ণ নয়; মানুষই সত্যের প্রতীক, কারণ মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরের প্রতিফলন নিহিত।
0
Updated: 4 days ago
'নেমেসিস' নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম কী?
Created: 2 weeks ago
A
সুরজিত নন্দী
B
সিরাজ আলী
C
সব্যসাচী
D
নীল মাধব
বাংলা আধুনিক নাট্যধারার সূচনালগ্নে নুরুল মোমেন ছিলেন এক অগ্রগামী নাট্যকার, যিনি নাটকে একাধারে সামাজিক বাস্তবতা, মনস্তত্ত্ব ও নৈতিক বোধের সমন্বয় ঘটিয়েছেন। তাঁর রচিত ‘নেমেসিস’ নাটকটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ এটি বাংলাদেশের আধুনিক নাট্যরূপের ভিত্তি স্থাপন করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘নেমেসিস’ নুরুল মোমেন রচিত একটি শ্রেষ্ঠ নাটক।
-
নাটকটি রচিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯–১৯৪৩)-এর প্রেক্ষাপটে এবং ১৯৪৪ সালে লেখা হয়ে ‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
এটি ১৯৪৮ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সুরজিত নন্দী, যিনি একজন স্কুলমাস্টার।
-
নাটকটি একাধারে মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক বাস্তবতার নাটক, যেখানে সমকালীন দুর্ভিক্ষ, মজুতদারদের পিশাচবৃত্তি ও নিরন্ন মানুষের হাহাকার বাস্তবভাবে চিত্রিত হয়েছে।
-
নাটকের অন্যান্য চরিত্র: নৃপেন বোস, সুলতা, অসীম, অমল বাবু, ইয়াকুব প্রমুখ।
-
‘নেমেসিস’ নাটকটি বাংলাদেশের নাট্যসাহিত্যে একাঙ্কিক নাটকের পথিকৃৎ রচনা হিসেবেও বিবেচিত।
নুরুল মোমেন রচিত অন্যান্য বিখ্যাত নাটক:
-
যদি এমন হতো
-
নয়া খান্দান
-
আলোছায়া
-
আইনের অন্তরালে
-
শতকরা আশি
-
রূপলেখা
-
যেমন ইচ্ছা তেমন
0
Updated: 2 weeks ago