হুমায়ুন আজাদের রচিত “সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে” কি ধরনের রচনা?
A
প্রবন্ধ
B
উপন্যাস
C
কবিতা
D
নাটক
উত্তরের বিবরণ
হুমায়ুন আজাদের রচিত “সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে” এটি একটি কবিতা।
হুমায়ুন আজাদ:
- হুমায়ুন আজাদ ছিলেন একজন কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গবেষক ও ভাষাবিজ্ঞানী।
- তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল বিক্রমপুরের রাড়িখালে জন্মগ্রহণ করেন।
- তার সাহিত্যজীবনের শুরু হয় কাব্যরচনার মাধ্যমে।
কবিতা:
- অলৌকিক ইস্টিমার (প্রথম কাব্যগ্রন্থ),
- কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু,
- জ্বলো চিতাবাঘ,
- সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে,
- যতোই গভীরে যায় মধু, যতোই ওপরে যাই নীল, ইত্যাদি।
উপন্যাসসমূহ:
- ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল,
- সবকিছু ভেঙে পড়ে,
- রাজনীতিবিদগণ,
- পাক সার জমিন সাদ বাদ, ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত নন কে?
Created: 1 month ago
A
চণ্ডীচরণ মুনশী
B
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
C
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
D
তারিণীচরণ মিত্র
✦ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
প্রতিষ্ঠা:
-
লর্ড ওয়েলেসলী, ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন।
ভাষা বিভাগ:
-
বাংলাসহ ভারতের বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা ও প্রসারের জন্য প্রতিষ্ঠিত।
-
উইলিয়ম কেরীকে স্থানীয় ভাষা বিভাগের প্রধান নিয়োগ করা হয়।
-
১৮০১ সালের মে মাসে উইলিয়ম কেরী বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
-
১৮০৫ সালের মধ্যে কলেজে মোট ১২টি অনুষদ খোলা হয়।
বাংলা সাহিত্যে অবদান:
-
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা গদ্যের প্রাতিষ্ঠানিক বিকাশ ঘটে।
-
এখানে পণ্ডিত ও অনুবাদকরা বাংলা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক, অনুবাদ ও মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন।
-
বাংলা গদ্যের আদিরূপ গড়ে ওঠে।
প্রধান পণ্ডিতগণ:
-
উইলিয়ম কেরী
-
রামরাম বসু
-
গোলকনাথ শর্মা
-
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
-
তারিণীচরণ মিত্র
-
রাজীবলочন
-
চণ্ডীচরণ মুনশী
-
হরপ্রসাদ রায় প্রমুখ
উৎস:
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 1 month ago
মধ্যুযুগের সাহিত্য ধারাগুলোর মধ্যে কোনটি ব্যতিক্রম?
Created: 1 month ago
A
জীবনী সাহিত্য
B
অনুবাদ সাহিত্য
C
লোক সাহিত্য
D
নাথ সাহিত্য
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগকাল ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এই সময়ের সাহিত্য মূলত ধর্মকেন্দ্রিক, যেখানে মানবিক বিষয়াদি তুলনামূলকভাবে গৌণ।
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ:
-
মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ধর্মকেন্দ্রিকতা, মানবতাসহ অন্যান্য বিষয়গুলো গৌণ।
-
প্রধান সাহিত্যধারা:
-
বৈষ্ণব সাহিত্য
-
মঙ্গলকাব্য
-
শাক্তপদ
-
অনুবাদ সাহিত্য
-
নাথ সাহিত্য
-
জীবনী সাহিত্য বা চরিত সাহিত্য
-
লোক সাহিত্যধারা
-
-
এই ধারাগুলোর মধ্যে বৈষ্ণব সাহিত্যধারা পরিমাণে ও গুণে সবচেয়ে সমৃদ্ধ।
-
মধ্যযুগে প্রচলিত 'কানু ছাড়া গীত নাই' উক্তি বৈষ্ণবধারার প্রাধান্যকে নির্দেশ করে।
-
লোক সাহিত্যধারা মধ্যযুগের অন্যান্য ধারার থেকে ব্যতিক্রম; এখানে ধর্ম বা দেব-দেবীর চেয়ে মানুষের গুরুত্ব, প্রণয় ও কামনাকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
'গীতগোবিন্দম্' কাব্যটি কোন ভাষায় রচিত?
Created: 1 month ago
A
বাংলা
B
সংস্কৃত
C
ব্রজবুলি
D
হিন্দি
বৈষ্ণব পদাবলি বাংলা মধ্যযুগীয় সাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি। এতে মূলত রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা ও ভক্তিরসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কবি তাঁদের কবিত্বশক্তি প্রকাশ করেছেন। এ ধারার সূচনা ও বিকাশে একাধিক কবির অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
বৈষ্ণব পদাবলি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ফসল।
-
জয়দেব বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম পদকর্তা হিসেবে পরিচিত। তাঁর রচিত গীতগোবিন্দম্ আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন হলেও এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
-
বিদ্যাপতি প্রথম ব্রজবুলি ভাষায় বৈষ্ণব পদ রচনা করেন।
-
বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলি রচনার সূচনা করেন চণ্ডীদাস।
-
বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম সংকলক ছিলেন বাবা আউল মনোহর দাস।
-
বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম সংকলনের নাম পদসমুদ্র।
-
পদসমুদ্র সংকলনে প্রায় ১৫ হাজার পদ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
বৈষ্ণব পদাবলিতে কৃষ্ণের প্রধান প্রেমিকা শ্রীরাধাকে নায়িকা বলা হয়। এখানে নায়িকার আটটি অবস্থা বর্ণিত হয়েছে।
-
এই কাব্যে পাঁচটি রস উল্লেখযোগ্য:
১. শান্তরস
২. দাস্যরস
৩. সখ্যরস
৪. বাৎসল্যরস
৫. মধুররস
0
Updated: 1 month ago