হুমায়ুন আজাদের রচিত “সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে” কি ধরনের রচনা?
A
প্রবন্ধ
B
উপন্যাস
C
কবিতা
D
নাটক
উত্তরের বিবরণ
হুমায়ুন আজাদের রচিত “সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে” এটি একটি কবিতা।
হুমায়ুন আজাদ:
- হুমায়ুন আজাদ ছিলেন একজন কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গবেষক ও ভাষাবিজ্ঞানী।
- তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল বিক্রমপুরের রাড়িখালে জন্মগ্রহণ করেন।
- তার সাহিত্যজীবনের শুরু হয় কাব্যরচনার মাধ্যমে।
কবিতা:
- অলৌকিক ইস্টিমার (প্রথম কাব্যগ্রন্থ),
- কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু,
- জ্বলো চিতাবাঘ,
- সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে,
- যতোই গভীরে যায় মধু, যতোই ওপরে যাই নীল, ইত্যাদি।
উপন্যাসসমূহ:
- ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল,
- সবকিছু ভেঙে পড়ে,
- রাজনীতিবিদগণ,
- পাক সার জমিন সাদ বাদ, ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
কীর্তনের নতুন পদ্ধতির স্রষ্টা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন মধ্যযুগের কোন কবি?
Created: 1 month ago
A
বিদ্যাপতি
B
রামনিধি গুপ্ত
C
জ্ঞানদাস
D
মালাধর বসু
জ্ঞানদাস সম্ভবত ষোল শতকে বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চণ্ডীদাসের কাব্যাদর্শ অনুসরণ করে, নিজের মৌলিক প্রতিভা সংযুক্ত করে রাধাকৃষ্ণের লীলাবর্ণনার মাধ্যমে মানবমানবীর শাশ্বত প্রেমবেদনা প্রকাশ করেছেন। জ্ঞানদাস ছিলেন চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য।
-
তিনি প্রথম ষোড়শ-গোপাল রূপ বর্ণনা করে পদ রচনা করেন।
-
রচিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ: মাথুর ও মুরলীশিক্ষা, যা বৈষ্ণবগীতিকাব্যের মূল্যবান সংকলন।
-
জ্ঞানদাস একজন সঙ্গীতজ্ঞ এবং কীর্তনের নতুন পদ্ধতির স্রষ্টা হিসেবে খ্যাত।
-
পদ রচনা ব্রজবুলি ও বাংলায় করেছেন, তবে বাংলা পদে কৃতিত্ব বেশি।
-
পদাবলিতে সৌন্দর্যের ব্যঞ্জনা এবং আবেগের সূক্ষ্ম কারুকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
তিনি মানবজীবনের বায়ুমণ্ডলে বসে বৃন্দাবনের কিশোর-কিশোরীর লীলা প্রত্যক্ষ করে শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য কোনটি?
Created: 2 months ago
A
মেঘনাদবধ কাব্য
B
বীরাঙ্গনা কাব্য
C
বাঁধন-হারা
D
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
রচয়িতা: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
প্রকাশকাল: ১৮৬২
-
ধরণ: পত্রকাব্য (বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য)
-
সংখ্যা: ১১ টি পত্র
-
প্রেরণা: রোমান কাব্য হেরোইদাইদস
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
জন্ম: ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদ তীর, সাগরদাঁড়ি গ্রাম
-
অভিনবত্ব: বাংলাভাষার সনেট প্রবর্তক ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক
-
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
-
বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য)
-
মেঘনাদবধ কাব্য (বাংলা সাহিত্যের প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য)
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য (গীতিকাব্য)
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
বাঁধন-হারা (১৯২৭) – কাজী নজরুল ইসলাম রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস
0
Updated: 2 months ago
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের কবি ছিলেন-
Created: 1 month ago
A
বসন্তরঞ্জন রায়
B
বড়ু চণ্ডীদাস
C
কানাহরি দত্ত
D
জ্ঞানদাস
• 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য:
- বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন স্বীকৃত।
- ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুথি আবিষ্কার করেন।
- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন আবিষ্কারের সময় গ্রন্থের প্রথম পৃষ্ঠায় এর কোনো নাম পাওয়া যায়নি। সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় এর নাম দেন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন। একে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভও বলা হয়।
- ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় পুথিটি 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
- পুথির প্রথম দুটি এবং শেষপৃষ্ঠা পাওয়া যায়নি বলে এর নাম ও কবির নাম স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
- কবির ভণিতায় 'চণ্ডীদাস' এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে 'বড়ু চণ্ডীদাস' পাওয়া যাওয়ায় এই গ্রন্থের কবি হিসেবে বড়ু চণ্ডীদাসকে গ্রহণ করা হয়।
- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন গীতি-আলেখ্য। রাধাকৃষ্ণের প্রণয়লীলা এর বিষয়বস্তু। মোট ১৩ খণ্ডে ৪১৮টি পদে এটি বিন্যস্ত।
এ কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র:
- কৃষ্ণ,
- রাধা,
- বড়ায়ি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ড. মাহবুবুল আলম।
0
Updated: 1 month ago