বিহারীলাল চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
A
স্বপ্নদর্শন
B
সঙ্গীত শতক
C
সারদা মঙ্গল
D
সাধের আসন
উত্তরের বিবরণ
বিহারীলাল চক্রবর্তী এবং তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ
-
শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ: সারদা মঙ্গল
-
বিহারীলাল চক্রবর্তী:
-
জন্ম: ১৮৩৫, কলকাতার নিমতলা
-
বাংলা সাহিত্যে আধুনিক গীতিকবিতার পথপ্রদর্শক
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগুরু হিসেবে খ্যাত
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘সারদা মঙ্গল’ পাঠের পরে তাঁকে ‘ভোরের পাখি’ নামে অভিহিত করেন
-
মৃত্যু: ২৪ মে ১৮৯৪
-
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
স্বপ্নদর্শন
-
সঙ্গীত শতক
-
বন্ধু-বিয়োগ
-
প্রেম প্রবাহিণী
-
নিসর্গ সন্দর্শন
-
বঙ্গসুন্দরী
-
সারদা মঙ্গল
-
নিসর্গ সঙ্গীত
-
মায়াদেবী
-
দেবরাণী
-
বাউল বিংশতি
-
সাধের আসন
-
-
সম্পাদিত পত্রিকা:
-
পূর্ণিমা
-
সাহিত্য সংক্রান্তি
-
অবোধ বন্ধু
-
-
নোট:
-
সাধের আসন হল বিহারীলাল চক্রবর্তীর শেষ কাব্যগ্রন্থ।
-
0
Updated: 1 month ago
‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্য কোথায় অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
B
ঢাকা সেনানিবাসে
C
জয়দেবপুর চৌরাস্তায়
D
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান
-
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত ‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্য তাঁর সৃষ্টি।
-
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অধিকাংশ ভাস্কর্য তাঁর হাতে নির্মিত।
-
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ভাস্কর আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে মিলিত হয়ে জয়দেবপুর চৌরাস্তায় ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ভাস্কর্য নির্মাণে কাজ করেন। এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রথম ভাস্কর্য।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য:
-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ‘জাগ্রত বাংলা’
-
ঢাকা সেনানিবাসে ‘বিজয় কেতন’
-
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’
-
আগারগাঁওয়ে সরকারি কর্মকমিশন প্রাঙ্গণে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’
-
মাদারীপুরে ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’
-
জীবনবৃত্তান্ত:
-
জন্ম: ১৯৪৬ সালের ১৬ মার্চ, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার সহশ্রাম গ্রাম।
-
সম্মাননা: ২০০৬ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদক।
-
মৃত্যু: ২০ জুলাই, ২০২৫, ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে, বয়স ৭৯ বছর।
0
Updated: 2 months ago
'জ্ঞানতাপস' হিসেবে অধিক পরিচিত ছিলেন -
Created: 2 weeks ago
A
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
মুহাম্মদ আবদুল হাই
D
মোহাম্মদ নজিবর রহমান
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের এক অসামান্য বাঙালি ব্যক্তিত্ব, যিনি ভাষাবিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন ও শিক্ষা—সবক্ষেত্রেই সমানভাবে কৃতিত্বের ছাপ রেখেছেন। তিনি ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি একজন বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক, ও দার্শনিক, যিনি জীবনের প্রতিটি স্তরে জ্ঞানচর্চাকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছিলেন।
-
তাঁর প্রজ্ঞা, সাধনা ও গবেষণার গভীরতার জন্য তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ নামে খ্যাত।
-
ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ওপর অসাধারণ দক্ষতার কারণে তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ বলা হয়।
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তিনি জাতিসত্তা সম্পর্কে ঐতিহাসিক উক্তি করেছিলেন—
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
এই উক্তি পরবর্তী প্রজন্মের জাতীয় চেতনার ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। -
তাঁর প্রণীত ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ (১৯৫৯) বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিবর্তন বিষয়ক এক অমূল্য গবেষণাগ্রন্থ, যা ভাষাতত্ত্বের ক্ষেত্রে এক প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত।
তাঁর ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
বাংলা সাহিত্যের কথা
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনা করেন, যা বাংলা ভাষার আঞ্চলিক বৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জীবন ও কর্ম বাংলা ভাষা ও জাতিসত্তার বিকাশে এক অনন্য অবদান রেখে গেছে, যা আজও শ্রদ্ধা ও অনুপ্রেরণার উৎস।
0
Updated: 2 weeks ago
'কায়কোবাদ' এর উপাধি কোনটি?
Created: 2 months ago
A
কবিকঙ্কন
B
কাব্যভূষণ
C
শান্তিপুরের কবি
D
কবিকন্ঠহার
কায়কোবাদ (কাজেম আল কোরায়েশী)
জন্ম: ১৮৫৭, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা গ্রাম।
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ কাজেম আল কোরেশী
সাহিত্যিক নাম: কায়কোবাদ
কাব্যভূষণ, বিদ্যাভূষণ ও সাহিত্যরত্ন উপাধিতে ভূষিত।
বৈশিষ্ট্য:
বাঙালি মুসলমান কবিদের মধ্যে প্রথম সনেট ও মহাকাব্য রচয়িতা।
মাত্র তেরো বছর বয়সে প্রথম কাব্য বিরহবিলাপ প্রকাশিত।
উপাধি: কাব্যভূষণ
অন্যান্য মধ্যযুগ ও নবযুগের কবিদের উপাধি
‘কবিকন্ঠহার’ → বিদ্যাপতি
‘শান্তিপুরের কবি’ → মোজাম্মেল হক
‘কবিকঙ্কন’ → মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
📖 উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago